রেলইঞ্জিন থেকে তেল চুরি-রেলওয়ের আরও চার কর্মচারী বরখাস্ত

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলইঞ্জিনের তেল চুরির ঘটনায় গতকাল রোববার রেলওয়ের আরও চারজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে নয়জনকে বরখাস্ত করা হলো। এদিকে পার্বতীপুর রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে চোরাই তেল রাখার ঘরটি গতকাল দুপুরে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


তেল চুরির ঘটনা তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি গতকাল সারা দিন পার্বতীপুর রেলস্টেশন, ইয়ার্ড ও লোকোশেড এলাকা পরিদর্শন করে। তদন্ত দলের সদস্যরা হলেন: প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (রাজশাহী) দুলাল কুমার রায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ড্যান্ট (রাজশাহী) আমিনুর রশিদ ও বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (পাকশী) পংকজ কুমার সাহা। যে রেলইঞ্জিন থেকে তেল বের করে নেওয়ার ছবি প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে, সেটি শনাক্ত করার চেষ্টা করে তদন্ত কমিটি। প্রাথমিকভাবে ইঞ্জিনটি (নম্বর ৬২১১) শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
গত শনিবার প্রথম আলোয় ‘রেলইঞ্জিন থেকে তেল চুরি: নেতৃত্বে বহিষ্কৃত নেতা, বড় চক্র জড়িত’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গতকাল পর্যন্ত নয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
গতকাল ওই রেলইঞ্জিনের দুজন চালক সাব-লোকোমাস্টার নাজমুল হক সরকার ও সহকারী লোকোমাস্টার আরিফুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া ১১ জানুয়ারি রাতে টহলরত জিআরপি পুলিশের সদস্য শওকত আলী ও শফিকুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
পার্বতীপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, তেল চুরির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য শনিবার রাতভর শহরের বিভিন্ন মহল্লায় দফায় দফায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গতকাল দুপুরে তদন্ত দলের উপস্থিতিতে রেলওয়ে পুলিশ পার্বতীপুর রেলস্টেশনের পূর্ব পাশে চোরাই তেল রাখার ঘরটি গুঁড়িয়ে দেয়।
তদন্ত দলের প্রধান বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী দুলাল কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তেল চুরির ঘটনায় যাঁরা জড়িত বলে জানা গেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্যদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.