রাতারাতি ধনী বানানো আর নয় !-এমএলএম আইনের খসড়া আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠবে by কিসমত খোন্দকার
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানিগুলোকে (এমএলএম) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১১ অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য সচিব মোঃ গোলাম হোসেন স্বাক্ষরিত ডাইরেক্ট সেল আইনের চূড়ান্ত খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়। আইনের খসড়াটি অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও আমাদের দেশে তা নেই। ফলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অভাবের সুযোগ নিয়ে এমএলএম কোম্পানিগুলো রাতারাতি ধনী বানানোর লোভ দেখিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আসছিল। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোম্পানি কোনোভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১১ অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার।
সূত্র জানায়, খসড়া আইনটিতে গ্রাহকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে জেল-জরিমানাসহ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এতে। পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত ব্যবসায় লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। এতে প্রস্তাবিত কোম্পানির নাম, অফিস ঠিকানা, ওয়েব অ্যাড্রেস, টেলিফোন/ফ্যাক্স/ই-মেইল এবং বোর্ড অব ডাইরেক্টরসসহ প্রত্যেক সদস্যের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ঠিকানা নির্দিষ্ট ফরমে উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতার বিবরণ, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, পাসপোর্টের অনুলিপি, টেলিফোন নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর এবং প্রত্যেকের ই-নম্বরও এতে রাখতে হবে। সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত আইনে কোম্পানি যেসব পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসা করবে, সেগুলোর মান সংরক্ষণে গৃহীত পদক্ষেপের বিবরণ, পণ্যের সংগ্রহ/ক্রয়/উৎপাদন খরচের কত শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রয়মূল্য ধরা হবে তা উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া বহুস্তর বিপণন কার্যক্রমের জন্য কোম্পানি মোট কত স্তরে এ পণ্য ও সেবা বণ্টন করবে তারও উল্লেখ করতে হবে যথাযথভাবে। বহুস্তর বিপণন কার্যক্রমের জন্য কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকতে হবে_ অংশগ্রহণকারী/সদস্য/ক্রেতা-পরিবেশক/বিক্রয়কর্মীকে কোম্পানি কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ করতে পারবে না, যাতে নির্দিষ্ট পয়েন্ট/টার্গেট অর্জন বা নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা সেবা বিক্রির ব্যর্থতার জন্য তাকে আর্থিকভাবে দণ্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি বহুস্তর বিপণন কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকতে হবে_ কোনো সদস্য/ক্রেতা/পরিবেশককে প্রতারিত করবেন না।
সূত্র জানায়, আইনটিতে কোম্পানিগুলো যেসব পণ্য বিক্রি করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো_ গৃহস্থালি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, প্রসাধন ও টয়লেট্রিজ, হারবাল, টেলিমার্কেটিং, কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ, টেলিকমিউনিকেশন সেবা বা ব্যবহারযোগ্য পণ্য এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পণ্য ও সেবা।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি নিবন্ধিত কোম্পানি রয়েছে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অনেক কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। ২০০২ সালে ডাইরেক্ট সেল কোম্পানি হিসেবে ১৬টি, ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি এবং ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭০টি কোম্পানি আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নেয়। তবে ২০১০ সালের শেষদিক থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক নিবন্ধন প্রদান বন্ধ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে এমএলএম নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে এবং তার ওপর স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয়। কিন্তু মতামতে দেখা যায়, কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে শুধু নীতিমালা দিয়ে কাজ হবে না। এ জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে আইনের খসড়া তৈরির জন্য ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তৈরিকৃত খসড়ার ওপর স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার মতামত নেওয়া হয়। এর পর গত বছর ১ আগস্ট ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১১র ওপর একটি সেমিনারের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানেও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিনিধিদের মতামত ও সুপারিশ নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত ডাইরেক্ট সেল আইনে ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা এবং ২টি তফসিল রয়েছে। এ জন্য আলাদা একটি পরিদফতর করা হবে। প্রস্তাবিত পরিদফতরের প্রধান হিসেবে একজন নিয়ন্ত্রক থাকবেন এবং তার কার্যালয় হবে ঢাকায়। নিয়ন্ত্রক ডাইরেক্ট সেল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান, বাতিলকরণ, স্থগিত ও পুনর্বহাল করতে পারবে।
সূত্র জানায়, খসড়া আইনটিতে গ্রাহকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে জেল-জরিমানাসহ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে এতে। পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ সংক্রান্ত ব্যবসায় লাইসেন্স প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। এতে প্রস্তাবিত কোম্পানির নাম, অফিস ঠিকানা, ওয়েব অ্যাড্রেস, টেলিফোন/ফ্যাক্স/ই-মেইল এবং বোর্ড অব ডাইরেক্টরসসহ প্রত্যেক সদস্যের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক ঠিকানা নির্দিষ্ট ফরমে উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতার বিবরণ, ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, পাসপোর্টের অনুলিপি, টেলিফোন নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর এবং প্রত্যেকের ই-নম্বরও এতে রাখতে হবে। সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত আইনে কোম্পানি যেসব পণ্যের মাধ্যমে ব্যবসা করবে, সেগুলোর মান সংরক্ষণে গৃহীত পদক্ষেপের বিবরণ, পণ্যের সংগ্রহ/ক্রয়/উৎপাদন খরচের কত শতাংশ লভ্যাংশ যোগ করে বিক্রয়মূল্য ধরা হবে তা উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া বহুস্তর বিপণন কার্যক্রমের জন্য কোম্পানি মোট কত স্তরে এ পণ্য ও সেবা বণ্টন করবে তারও উল্লেখ করতে হবে যথাযথভাবে। বহুস্তর বিপণন কার্যক্রমের জন্য কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকতে হবে_ অংশগ্রহণকারী/সদস্য/ক্রেতা-পরিবেশক/বিক্রয়কর্মীকে কোম্পানি কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ করতে পারবে না, যাতে নির্দিষ্ট পয়েন্ট/টার্গেট অর্জন বা নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বা সেবা বিক্রির ব্যর্থতার জন্য তাকে আর্থিকভাবে দণ্ড দেওয়া হবে। পাশাপাশি বহুস্তর বিপণন কোম্পানিকে প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকতে হবে_ কোনো সদস্য/ক্রেতা/পরিবেশককে প্রতারিত করবেন না।
সূত্র জানায়, আইনটিতে কোম্পানিগুলো যেসব পণ্য বিক্রি করতে পারবে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো_ গৃহস্থালি, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, প্রসাধন ও টয়লেট্রিজ, হারবাল, টেলিমার্কেটিং, কৃষি যন্ত্রপাতি ও উপকরণ, টেলিকমিউনিকেশন সেবা বা ব্যবহারযোগ্য পণ্য এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পণ্য ও সেবা।
রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টি নিবন্ধিত কোম্পানি রয়েছে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ছাড়া অনেক কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। ২০০২ সালে ডাইরেক্ট সেল কোম্পানি হিসেবে ১৬টি, ২০০৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি এবং ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭০টি কোম্পানি আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নেয়। তবে ২০১০ সালের শেষদিক থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক নিবন্ধন প্রদান বন্ধ রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে এমএলএম নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে এবং তার ওপর স্টেক হোল্ডারদের মতামত নেওয়া হয়। কিন্তু মতামতে দেখা যায়, কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে শুধু নীতিমালা দিয়ে কাজ হবে না। এ জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সে লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে আইনের খসড়া তৈরির জন্য ১৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তৈরিকৃত খসড়ার ওপর স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস্ অব বাংলাদেশ, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থার মতামত নেওয়া হয়। এর পর গত বছর ১ আগস্ট ডাইরেক্ট সেল আইন-২০১১র ওপর একটি সেমিনারের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেখানেও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিনিধিদের মতামত ও সুপারিশ নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত ডাইরেক্ট সেল আইনে ১৩টি অধ্যায়, ৫০টি ধারা এবং ২টি তফসিল রয়েছে। এ জন্য আলাদা একটি পরিদফতর করা হবে। প্রস্তাবিত পরিদফতরের প্রধান হিসেবে একজন নিয়ন্ত্রক থাকবেন এবং তার কার্যালয় হবে ঢাকায়। নিয়ন্ত্রক ডাইরেক্ট সেল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য লাইসেন্স প্রদান, বাতিলকরণ, স্থগিত ও পুনর্বহাল করতে পারবে।
No comments