জঙ্গি নূরের জন্য আটকে আছে চার্জশিট by সাহাদাত হোসেন পরশ
'মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একজন আসামির জবানবন্দিতে নূর ইসলাম নামে এক জঙ্গির নাম উঠে আসে। তার বাড়ি খুলনায়। দীর্ঘ দিন ধরে সে পলাতক। আমাদের বিশ্বাস তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে সিপিবির বোমা হামলা মামলার তদন্তে নতুন মোড় আসবে। আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। এছাড়া চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। এখন প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। সব কিছু সঠিকভাবে শেষ হওয়ার পর চার্জশিট দেওয়া হবে।
কোনো অপূর্ণ তথ্য রেখে স্পর্শকাতর এ মামলার চার্জশিট আমরা দিতে চাই না।' সিপিবির বোমা হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের বিশেষ অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির পরিদর্শক মৃণালকান্তি সাহা সমকালকে এসব কথা বলেন।
পল্টন ময়দানে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির জনসভায় বোমা হামলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অর্ধশত ব্যক্তি।
এ ঘটনায় সিপিবির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। অভিযোগ আছে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে নিরপরাধ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচনা ও প্রতিবাদের পর মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
সিআইডি সূত্র জানায়, ওই বোমা হামলায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুনঃতদন্তের আগে গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে। পুনঃতদন্তের পর গ্রেফতার করা হয় ১৮ জনকে। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দিতে নূর ইসলাম নামে খুলনার এক জঙ্গির নাম উঠে আসে। ওই বোমা হামলায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে সিআইডি।
সিপিবি সভাপতি মনজুরুল আহসান খান সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন পরও মামলাটির চার্জশিট দাখিল না হওয়া দুঃখজনক। এটা নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। এভাবে মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত হলে মানুষ সরকার, তদন্ত সংস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
সিআইডি সূত্র জানায়, হুজি সদস্যরা মনে করে সিপিবি ইসলামবিরোধী। তারা ইসলামের রীতিনীতি মানে না। তাদের কথাবার্তা, আচরণ ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সিপিবিকে ধ্বংসের টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। ২০০১ সালের ১৯ জানুয়ারি জঙ্গি আরিফ হাসান সুমনের মোহাম্মদপুরের বাসায় তারা কর্মপরিকল্পনা ভাগ করে নিতে বৈঠকে বসে। পরদিন ২০ জানুয়ারিও তারা বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা সিপিবির জনসভাস্থল পল্টনের উদ্দেশে রওনা হয়।
ইতিমধ্যে সিপিবির বোমা হামলা সম্পর্কে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জঙ্গি মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, বোমা হামলায় তিনিসহ ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলো_ জঙ্গি আহসান উল্লাহ কাজল, আরিফ হাসান সুমন ওরফে রাজ্জাক, মাওলানা শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর বদর, মাওলানা সাবি্বর আহমেদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সি, নুর ইসলামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু'জন। ২০০৮ সালের প্রথম দিকে মিরপুর এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন হুজিন সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃণালকান্তি সাহা সমকালকে বলেন, বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শীর্ষ জঙ্গি মুফতি আবদুল হান্নান ও মুফতি মঈন উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সিপিবির বোমা হামলার সঙ্গে ১০-১২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। জড়িতদের মধ্যে দু'জন ভারতে মারা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ আসামি নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে বাকিদের নাম উল্লেখ করে শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে বোমা হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। হামলাকারী জঙ্গি মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে মূল কাহিনী। শনাক্ত হয় ঘটনার পরিকল্পনা ও হামলাকারী ১১ জঙ্গি।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে অতিদ্রুত সিপিবি বোমা হামলা মামলার পুনঃচার্জশিট আলোর মুখ দেখবে। জঙ্গি মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে নেপথ্য ঘটনা। তবে আগামী ২০ জানুয়ারি সিপিবি বোমা হামলার ১১ বছর পূর্ণ হবে। ২০ জানুয়ারির আগে সিপিবি বোমা হামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন একজন সিআইডি কর্মকর্তা।
পল্টন ময়দানে ২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি সিপিবির জনসভায় বোমা হামলা হয়। এতে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন অর্ধশত ব্যক্তি।
এ ঘটনায় সিপিবির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। অভিযোগ আছে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৩ সালে নিরপরাধ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সমালোচনা ও প্রতিবাদের পর মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
সিআইডি সূত্র জানায়, ওই বোমা হামলায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুনঃতদন্তের আগে গ্রেফতার করা হয় ১২ জনকে। পুনঃতদন্তের পর গ্রেফতার করা হয় ১৮ জনকে। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দিতে নূর ইসলাম নামে খুলনার এক জঙ্গির নাম উঠে আসে। ওই বোমা হামলায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে সিআইডি।
সিপিবি সভাপতি মনজুরুল আহসান খান সমকালকে বলেন, দীর্ঘদিন পরও মামলাটির চার্জশিট দাখিল না হওয়া দুঃখজনক। এটা নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। এভাবে মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত হলে মানুষ সরকার, তদন্ত সংস্থার ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।
সিআইডি সূত্র জানায়, হুজি সদস্যরা মনে করে সিপিবি ইসলামবিরোধী। তারা ইসলামের রীতিনীতি মানে না। তাদের কথাবার্তা, আচরণ ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সিপিবিকে ধ্বংসের টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনা করে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। ২০০১ সালের ১৯ জানুয়ারি জঙ্গি আরিফ হাসান সুমনের মোহাম্মদপুরের বাসায় তারা কর্মপরিকল্পনা ভাগ করে নিতে বৈঠকে বসে। পরদিন ২০ জানুয়ারিও তারা বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা সিপিবির জনসভাস্থল পল্টনের উদ্দেশে রওনা হয়।
ইতিমধ্যে সিপিবির বোমা হামলা সম্পর্কে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জঙ্গি মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ। তিনি বলেন, বোমা হামলায় তিনিসহ ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলো_ জঙ্গি আহসান উল্লাহ কাজল, আরিফ হাসান সুমন ওরফে রাজ্জাক, মাওলানা শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর বদর, মাওলানা সাবি্বর আহমেদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, মুফতি আবদুল হান্নান মুন্সি, নুর ইসলামসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু'জন। ২০০৮ সালের প্রথম দিকে মিরপুর এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন হুজিন সদস্য মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে বোমা হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃণালকান্তি সাহা সমকালকে বলেন, বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে শীর্ষ জঙ্গি মুফতি আবদুল হান্নান ও মুফতি মঈন উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সিপিবির বোমা হামলার সঙ্গে ১০-১২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। জড়িতদের মধ্যে দু'জন ভারতে মারা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ আসামি নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে বাকিদের নাম উল্লেখ করে শিগগিরই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে বোমা হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্মীয় অনভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। হামলাকারী জঙ্গি মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর থেকেই বেরিয়ে আসতে শুরু করে মূল কাহিনী। শনাক্ত হয় ঘটনার পরিকল্পনা ও হামলাকারী ১১ জঙ্গি।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, নূর ইসলামকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলে অতিদ্রুত সিপিবি বোমা হামলা মামলার পুনঃচার্জশিট আলোর মুখ দেখবে। জঙ্গি মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে নেপথ্য ঘটনা। তবে আগামী ২০ জানুয়ারি সিপিবি বোমা হামলার ১১ বছর পূর্ণ হবে। ২০ জানুয়ারির আগে সিপিবি বোমা হামলার চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন একজন সিআইডি কর্মকর্তা।
No comments