শেষ টেস্টে নিষিদ্ধ ধোনি-প্রশ্ন উঠেছে নেতৃত্ব নিয়েও
২০১৩ সালের পর আর টেস্ট খেলতে চাই না'_ বলে মহা ফাঁপরে পড়ে গেছেন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। সৌরভ গাঙ্গুলি, সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রী থেকে শুরু করে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রায় সব বোদ্ধাই বলছেন, যার টেস্ট খেলার ইচ্ছা নেই তাকে কেন নেতৃত্বে রাখা হচ্ছে এভাবে? একের পর এক সফরে নেতৃত্ব দিতে দিতে অনেক ক্লান্তও হয়ে পড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
বিদেশের মাটিতে টানা সাত টেস্ট হারের পর 'কুল ক্যাপ্টেন' নামে পরিচিত ধোনিকে নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠে গেছে। তার সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এলো শেষ টেস্টে ধোনির নিষেধাজ্ঞা। ১২ মাসের মধ্যে দু'বার স্লো ওভার রেটের শাস্তিস্বরূপ অ্যাডিলেড টেস্টে খেলতে পারবেন না তিনি।
আইসিসি নতুন যে নিয়মগুলো প্রবর্তন করেছে তার মধ্যে একটি হলো, যদি ১২ মাসের মধ্যে স্লো ওভার রেটের কারণে কোনো দলের দু'বার শাস্তি হয় তাহলে সেই দলের অধিনায়ক অটোমেটিক পরের টেস্টে নিষিদ্ধ হবেন। গত বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজ টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন ধোনি। এরপর গতকাল শেষ হওয়া পার্থ টেস্টেও স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পাচ্ছেন তিনি। ম্যাচ ফির ৪০ ভাগ কাটা হবে তার। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। এ শাস্তির বিপক্ষে আপিল করারও সুযোগ নেই। নতুন এই নিয়মের প্রথম বলি হলেন ধোনি। অ্যাডিলেডে ধোনি না থাকার অর্থ তার ডেপুটি বিরেন্দর শেবাগই নেতৃত্ব দেবেন শেষ টেস্টে। এর আগে তিন টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে দুটিতে জয় পেয়েছিলেন শেবাগ। ধোনির পরিবর্তে অ্যাডিলেডে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে তরুণ উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার। যেটা হবে তার দ্বিতীয় টেস্ট।
চার বছরের অধিনায়কত্ব জীবনে এ রকম সন্ধিক্ষণে আর কখনও দাঁড়াননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বিপর্যয়ের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটমহল তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ধোনি না থাকলেই মনে হয় ভারত জিতে যেত। অথচ কে বলবে মাত্র কয়েক মাস আগেই তিনি ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতের নন্দিত অধিনায়ক!
কলকাতার আনন্দবাজারের মতে, 'এরই মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্টের জন্য চেন্নাইতে কাল বসছে নির্বাচক কমিটির বৈঠক। অধিনায়ক বদল নিয়ে কথা হতে পারে ওখানে। আগের রাতে নির্বাচকদের কারও কারও সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, বিদেশে ধোনির নেতৃত্বগুণ ভীষণভাবে মাইক্রোস্কোপের তলায় পড়েছে। ধোনির বিকল্প নিয়েও ভাবা হচ্ছে। তার বিকল্প হতে পারতেন বীরেন্দর শেবাগ। বহু দিন ধরে সহ-অধিনায়ক; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যাটসম্যান শেবাগের চলতি ফর্ম। কাঁধের চোট সারিয়ে ফেরার পর ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করলেও টেস্টের ফর্ম ভয়াবহ।' আনন্দবাজারের আরেকটি রিপোর্টে লেখা হয়েছে, '২০১৩ সালে ধোনি টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে মনের অজান্তেই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। সেটা হলো, তার টেস্ট খেলার ইচ্ছা নেই। এ কারণে, এখনই ধোনিকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বের হাতে ভারতীয় দলকে তুলে দেওয়া উচিত। সেটা হোক অ্যাডিলেড থেকেই।' অ্যাডিলেড টেস্টে না চাইলেও ভারতের অধিনায়ক হচ্ছেন শেবাগ। দেখা যাক তিনি সে ম্যাচে কী করতে পারেন।
আইসিসি নতুন যে নিয়মগুলো প্রবর্তন করেছে তার মধ্যে একটি হলো, যদি ১২ মাসের মধ্যে স্লো ওভার রেটের কারণে কোনো দলের দু'বার শাস্তি হয় তাহলে সেই দলের অধিনায়ক অটোমেটিক পরের টেস্টে নিষিদ্ধ হবেন। গত বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজ টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পেয়েছিলেন ধোনি। এরপর গতকাল শেষ হওয়া পার্থ টেস্টেও স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি পাচ্ছেন তিনি। ম্যাচ ফির ৪০ ভাগ কাটা হবে তার। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। এ শাস্তির বিপক্ষে আপিল করারও সুযোগ নেই। নতুন এই নিয়মের প্রথম বলি হলেন ধোনি। অ্যাডিলেডে ধোনি না থাকার অর্থ তার ডেপুটি বিরেন্দর শেবাগই নেতৃত্ব দেবেন শেষ টেস্টে। এর আগে তিন টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে দুটিতে জয় পেয়েছিলেন শেবাগ। ধোনির পরিবর্তে অ্যাডিলেডে উইকেটের পেছনে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে তরুণ উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার। যেটা হবে তার দ্বিতীয় টেস্ট।
চার বছরের অধিনায়কত্ব জীবনে এ রকম সন্ধিক্ষণে আর কখনও দাঁড়াননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় নজিরবিহীন বিপর্যয়ের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটমহল তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ধোনি না থাকলেই মনে হয় ভারত জিতে যেত। অথচ কে বলবে মাত্র কয়েক মাস আগেই তিনি ছিলেন বিশ্বকাপজয়ী ভারতের নন্দিত অধিনায়ক!
কলকাতার আনন্দবাজারের মতে, 'এরই মধ্যে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্টের জন্য চেন্নাইতে কাল বসছে নির্বাচক কমিটির বৈঠক। অধিনায়ক বদল নিয়ে কথা হতে পারে ওখানে। আগের রাতে নির্বাচকদের কারও কারও সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে, বিদেশে ধোনির নেতৃত্বগুণ ভীষণভাবে মাইক্রোস্কোপের তলায় পড়েছে। ধোনির বিকল্প নিয়েও ভাবা হচ্ছে। তার বিকল্প হতে পারতেন বীরেন্দর শেবাগ। বহু দিন ধরে সহ-অধিনায়ক; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ব্যাটসম্যান শেবাগের চলতি ফর্ম। কাঁধের চোট সারিয়ে ফেরার পর ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করলেও টেস্টের ফর্ম ভয়াবহ।' আনন্দবাজারের আরেকটি রিপোর্টে লেখা হয়েছে, '২০১৩ সালে ধোনি টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে মনের অজান্তেই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। সেটা হলো, তার টেস্ট খেলার ইচ্ছা নেই। এ কারণে, এখনই ধোনিকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্বের হাতে ভারতীয় দলকে তুলে দেওয়া উচিত। সেটা হোক অ্যাডিলেড থেকেই।' অ্যাডিলেড টেস্টে না চাইলেও ভারতের অধিনায়ক হচ্ছেন শেবাগ। দেখা যাক তিনি সে ম্যাচে কী করতে পারেন।
No comments