জাবিতে মশাল মিছিল-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বহিষ্কৃত রাশেদুল ছাত্রত্ব হারান আগেই!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে গতকাল রোববারও ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন ও মশাল মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 'শিক্ষক সমাজ'-এর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষক ও 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর'-এর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
এদিকে স্বাভাবিক ছাত্রত্ব হারানোর পরও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলামকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের ঘটনা প্রহসন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক সমাজের সদস্যরা। গতকাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে ক্লাস হয়নি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করেন। বিভিন্ন বিভাগে অবশ্য দু'একটি ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। উপাচার্যপন্থি শিক্ষকরা এ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেন। এ সময় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। শিক্ষক সমাজের সমন্বয়ক অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি ও শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছনাকারী প্রক্টরের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রক্টর পদত্যাগ না করলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তিনি জানান। এ ছাড়া একই দাবিতে গতকাল দুপুরে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেন ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মশাল মিছিল শেষে অমর একুশের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাহি মাহফুজ, সৌমিত চন্দ জয়দ্বীপ, জাহিদুল ইসলাম জিন্নাহ, মৈত্রী বর্মণ, মাহমুদুল হাসান কলি প্রমুখ।
অছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার!
জুবায়ের হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। ২০০৭-০৮শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষের সমাপনীতে ৩টি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর বিভাগে আর নিয়মিত ক্লাস করেননি তিনি। অংশ নেননি পরীক্ষাতেও। পরিশোধ করেননি হল ও একাডেমিক যাবতীয় খরচ। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রত্ব হারান রাশেদুল ইসলাম। অথচ আবাসিক শিক্ষার্থীর যাবতীয় সুবিধা নিয়ে থেকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে। পরে শহীদ রফিক-জব্বার হলে স্থানান্তরিত হন। অংশ নেন ছাত্রলীগ নামধারীদের যাবতীয় অপকর্মে। সর্বশেষ জুবায়ের হত্যাকাণ্ডেও জড়িত তিনি। এ ব্যাপারে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অস্বচ্ছ মানসিকতা নিয়ে এসব শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করে।
প্রথমবার অকৃতকার্য হওয়ার পর কোনো ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে সরাসরি ৪র্থ বর্ষে ক্লাস করার ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি শুনেছি, সে ৪র্থ বর্ষের সঙ্গে ক্লাসে অংশ নিত। বিষয়টি তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কৌশিক সাহা বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করতে পারব। এ হল থেকে শহীদ রফিক-জব্বার হলে স্থানান্তরের সময় কাগজপত্র দেখে বৈধ শিক্ষার্থীদেরই স্থানান্তর করা হয় বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টির খোঁজ নিতে হবে।
এদিকে গতকাল রোববার সারাদিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়ার পদত্যাগের গুজব। বিষয়টি অস্বীকার করে প্রক্টর বলেন, তিন বছর সফলতার সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডিতে দায়িত্ব পালন করেছি। পদত্যাগের বিষয়টি অবান্তর। অপরদিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছনার বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে এক বিবৃতি দিয়েছেন প্রক্টর।
মশাল মিছিল শেষে অমর একুশের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাহি মাহফুজ, সৌমিত চন্দ জয়দ্বীপ, জাহিদুল ইসলাম জিন্নাহ, মৈত্রী বর্মণ, মাহমুদুল হাসান কলি প্রমুখ।
অছাত্রকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার!
জুবায়ের হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী নন। ২০০৭-০৮শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম বর্ষের সমাপনীতে ৩টি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর বিভাগে আর নিয়মিত ক্লাস করেননি তিনি। অংশ নেননি পরীক্ষাতেও। পরিশোধ করেননি হল ও একাডেমিক যাবতীয় খরচ। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রত্ব হারান রাশেদুল ইসলাম। অথচ আবাসিক শিক্ষার্থীর যাবতীয় সুবিধা নিয়ে থেকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে। পরে শহীদ রফিক-জব্বার হলে স্থানান্তরিত হন। অংশ নেন ছাত্রলীগ নামধারীদের যাবতীয় অপকর্মে। সর্বশেষ জুবায়ের হত্যাকাণ্ডেও জড়িত তিনি। এ ব্যাপারে দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এএসএম আনোয়ারুল্লাহ ভূঁঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অস্বচ্ছ মানসিকতা নিয়ে এসব শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করে।
প্রথমবার অকৃতকার্য হওয়ার পর কোনো ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে সরাসরি ৪র্থ বর্ষে ক্লাস করার ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করে দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, আমি শুনেছি, সে ৪র্থ বর্ষের সঙ্গে ক্লাসে অংশ নিত। বিষয়টি তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কৌশিক সাহা বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে মন্তব্য করতে পারব। এ হল থেকে শহীদ রফিক-জব্বার হলে স্থানান্তরের সময় কাগজপত্র দেখে বৈধ শিক্ষার্থীদেরই স্থানান্তর করা হয় বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টির খোঁজ নিতে হবে।
এদিকে গতকাল রোববার সারাদিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়ার পদত্যাগের গুজব। বিষয়টি অস্বীকার করে প্রক্টর বলেন, তিন বছর সফলতার সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডিতে দায়িত্ব পালন করেছি। পদত্যাগের বিষয়টি অবান্তর। অপরদিকে শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে লাঞ্ছনার বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে এক বিবৃতি দিয়েছেন প্রক্টর।
No comments