নরসিংদীতে মন্ত্রীর ভাই বাচ্চু রিমান্ডে
অবশেষে নরসিংদীর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সালাউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু গ্রেফতার এড়িয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রোববার সকালে তিনি নরসিংদীর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে এক দিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
একই সময় আলোচিত এ মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামি মনোয়ার হোসেন খান মঈন, হিরণ মিয়া,আমীর হোসেন ওরফে আমু ও মামুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাদের মধ্যে আমীর হোসেন ওরফে আমু ও মামুনকেও এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। মেয়র লোকমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই। এ ছাড়া তিনি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। ১ নভেম্বর নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন। এ খুনের ঘটনায় তার ভাই কামরুজ্জামান কামরুল বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। এরপর থেকে মন্ত্রীর ভাই আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ এতদিন তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
সূত্র জানায়, মন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন বাচ্চুসহ গতকাল আত্মসমর্পণকারী অন্য চার আসামি এতদিন নরসিংদীর আশপাশেই আত্মগোপনে ছিলেন। গত সপ্তাহে তারা আদালতে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিলেও গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় আত্মসমর্পণ করেননি। তবে গতকাল ওপর মহলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিন বাচ্চু আত্মসমর্পণের জন্য গতকাল সকাল ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে যান। পরে জেলা আইনজীবী সমিতিতে অবস্থান করে পৌনে ১১টার দিকে তার পক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিমের কাঠগড়ায় ওঠেন। মামলার অন্য চার আসামি সকাল ১০টা থেকেই এজলাসে অবস্থান করেন।
পাঁচ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মামুনুর রশীদ মণ্ডল আদালতকে বলেন, আসামিরা মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তারা এজাহারভুক্ত আসামি। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাই তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষের বিপুলসংখ্যক আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, লোকমান হত্যা মামলায় তারা মোটেই জড়িত নন। তাদের ষড়যন্ত্র করে এ মামলায় জড়িত করা হয়েছে। কাজেই তাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। জামিন পেলে আসামিরা পালিয়ে যাবেন না।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা প্রধান আসামি সালাহউদ্দিন বাচ্চু, ১৩ নম্বর আসামি আমীর হোসেন ওরফে আমু ও ১৪ নম্বর আসামি মামুনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে আদালত ৬ নম্বর আসামি মনোয়ার হোসেন মঈন ও ৭ নম্বর আসামি হিরণ মিয়ার রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আসাদুজ্জামান, এসএ হাদী, ইউনুছ আলী ভূঁইয়া, মমতাজ মহল, সুইটি সাহা, মোঃ শাহাজাহান, এমএ আউয়াল, আঃ বাছেদ প্রমুখ আদালতে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মেয়র লোকমান হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত মোট ১৪ আসামির মধ্যে মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাসুদুর রহমান মুরাদ, আবদুল মতিন সরকার, মিঞা মোহাম্মদ মনজুর ও কবির সরকার আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ছাড়া এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফ হোসেন সরকার ওরফে আশরাফুল সরকার এবং তারেক আহমেদ তারেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি নূরুল ইসলাম ও মোবারক হোসেন মোবা বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া এজাহার বহির্ভূত সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পুলিশ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে হাজি সেলিম, হাজি ফারুক, মাসুদ পারভেজ টিপ্পন, শাহীন মিয়া, মাহফুজ হোসেন সবুজ, কাজী নূরে আলম ওরফে কাজী আলম, নাসির মিয়া, নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফ, আওলাদ হোসেন, সরোয়ার হোসেন ও মীর দেলোয়ার হোসেন শরীফকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে কিলার শরীফ লোকমান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত এবং তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক রিভলবার, ২২ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় কিলার শরীফসহ আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে লোকমান হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন_ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই তার অনুগত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক আদালত এলাকায় ভিড় জমান। তারা সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে এক সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদোজ্জামান, অ্যাডভোকেট এসএ হাদী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আসাদুজ্জামান খোকন, আফজাল হোসেন, মোজাম্মেল হক টিপু, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল করিম ফারুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন টিপু, রায়হানুল ইসলাম লেনিন মন্ত্রীর ভাইয়ের মুক্তি দাবি করে বক্তব্য রাখেন। তারা অবিলম্বে সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।
সূত্র জানায়, মন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন বাচ্চুসহ গতকাল আত্মসমর্পণকারী অন্য চার আসামি এতদিন নরসিংদীর আশপাশেই আত্মগোপনে ছিলেন। গত সপ্তাহে তারা আদালতে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিলেও গ্রিন সিগন্যাল না পাওয়ায় আত্মসমর্পণ করেননি। তবে গতকাল ওপর মহলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
আদালত সূত্র জানায়, সালাহউদ্দিন বাচ্চু আত্মসমর্পণের জন্য গতকাল সকাল ১০টায় আদালত প্রাঙ্গণে যান। পরে জেলা আইনজীবী সমিতিতে অবস্থান করে পৌনে ১১টার দিকে তার পক্ষের আইনজীবীদের নিয়ে মুখ্য বিচারিক হাকিমের কাঠগড়ায় ওঠেন। মামলার অন্য চার আসামি সকাল ১০টা থেকেই এজলাসে অবস্থান করেন।
পাঁচ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক মামুনুর রশীদ মণ্ডল আদালতকে বলেন, আসামিরা মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং তারা এজাহারভুক্ত আসামি। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাই তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড প্রয়োজন। এ সময় আসামিপক্ষের বিপুলসংখ্যক আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, লোকমান হত্যা মামলায় তারা মোটেই জড়িত নন। তাদের ষড়যন্ত্র করে এ মামলায় জড়িত করা হয়েছে। কাজেই তাদের জামিন মঞ্জুর করা হোক। জামিন পেলে আসামিরা পালিয়ে যাবেন না।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিতাই চন্দ্র সাহা প্রধান আসামি সালাহউদ্দিন বাচ্চু, ১৩ নম্বর আসামি আমীর হোসেন ওরফে আমু ও ১৪ নম্বর আসামি মামুনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে আদালত ৬ নম্বর আসামি মনোয়ার হোসেন মঈন ও ৭ নম্বর আসামি হিরণ মিয়ার রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আসাদুজ্জামান, এসএ হাদী, ইউনুছ আলী ভূঁইয়া, মমতাজ মহল, সুইটি সাহা, মোঃ শাহাজাহান, এমএ আউয়াল, আঃ বাছেদ প্রমুখ আদালতে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মেয়র লোকমান হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত মোট ১৪ আসামির মধ্যে মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, মাসুদুর রহমান মুরাদ, আবদুল মতিন সরকার, মিঞা মোহাম্মদ মনজুর ও কবির সরকার আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। এ ছাড়া এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আশরাফ হোসেন সরকার ওরফে আশরাফুল সরকার এবং তারেক আহমেদ তারেককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি নূরুল ইসলাম ও মোবারক হোসেন মোবা বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।
এ ছাড়া এজাহার বহির্ভূত সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পুলিশ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে হাজি সেলিম, হাজি ফারুক, মাসুদ পারভেজ টিপ্পন, শাহীন মিয়া, মাহফুজ হোসেন সবুজ, কাজী নূরে আলম ওরফে কাজী আলম, নাসির মিয়া, নাজমুল হাসান শরীফ ওরফে কিলার শরীফ, আওলাদ হোসেন, সরোয়ার হোসেন ও মীর দেলোয়ার হোসেন শরীফকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে কিলার শরীফ লোকমান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত এবং তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক রিভলবার, ২২ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় কিলার শরীফসহ আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে লোকমান হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন_ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই তার অনুগত শত শত নেতাকর্মী ও সমর্থক আদালত এলাকায় ভিড় জমান। তারা সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর মুক্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে এক সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদোজ্জামান, অ্যাডভোকেট এসএ হাদী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আসাদুজ্জামান খোকন, আফজাল হোসেন, মোজাম্মেল হক টিপু, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুল করিম ফারুক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন টিপু, রায়হানুল ইসলাম লেনিন মন্ত্রীর ভাইয়ের মুক্তি দাবি করে বক্তব্য রাখেন। তারা অবিলম্বে সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।
No comments