নির্বাচন কমিশন গঠন-স্বাধীন ও শক্তিশালী করাটা বেশি জরুরি
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মাসে। এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য একজন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৫ ফেব্রুয়ারি। আরেক কমিশনারের মেয়াদ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা না হলে শূন্যতা সৃষ্টি হবে। তাই রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ আহ্বান করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল এই সংলাপে অংশ নিয়েছিল।
অন্যান্য রাজনৈতিক দল এ ব্যাপারে কিছু প্রস্তাব রাখলেও প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব রাখেনি। আওয়ামী লীগ বলেছে, এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির যেকোনো উদ্যোগকে তারা সমর্থন জানাবে। আর বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জানানো ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে তেমন কোনো আলোচনাই করেনি। বরং এখন বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে সেটা তারা মেনে নেবে না। ফলে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সাফল্যই প্রশ্নসাপেক্ষ হয়ে পড়েছে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে আমরা বরং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অনেক যৌক্তিক এবং গঠনমূলক প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে সার্চ কমিটি গঠন করা ইত্যাদি। তাঁদের মধ্যেও অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। আবার কোনো কোনো দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনকেই আরো শক্তিশালী করার কথা বলেছে। অনেকে মনে করছেন, রাষ্ট্রপতির এই সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো থেকে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশিষ্ট নাগরিকদের ডেকে আলোচনা করা হলে তা আরো অর্থবহ হতো। অন্যদিকে গত বছরের জুন মাসে নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল। যদিও বিএনপি তাতে অংশ নেয়নি, তবু সেই সংলাপের ভিত্তিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) তিনটি আইন এবং একটি বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছিল। তার মধ্যে ছিল_গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, নির্বাচনী প্রচারের ব্যয় (জনতহবিল) আইন, সিইসি ও ইসি নিয়োগ পদ্ধতি, সীমানা নির্ধারণ আইন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং একটি বিধিমালা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, বিগত তিন বছরে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের সময়ও তারা বলেছিল, ইসিকে শক্তিশালী ও স্বাধীন করা হবে এবং এর ক্ষমতা বাড়ানো হবে। কিন্তু গত ছয় মাসেও ইসির সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও না থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
আমরা বুঝতে পারি না, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে বড় দুটি দলেরই এমন অনীহা কেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, গণতন্ত্রের জন্য সম্মানজনক বিধানও নয়। এই বিধান আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন না থাকার কারণেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলেও যে দেশে কতটা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, তা তো আমরা ২০০৬ সালেও দেখেছি। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়েও জরুরি হচ্ছে, আমাদের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা। আমরা আশা করি, প্রধান দুটি দল এ ব্যাপারে তাদের শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে আমরা বরং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে অনেক যৌক্তিক এবং গঠনমূলক প্রস্তাব পেয়েছি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, এর জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে সার্চ কমিটি গঠন করা ইত্যাদি। তাঁদের মধ্যেও অনেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। আবার কোনো কোনো দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনকেই আরো শক্তিশালী করার কথা বলেছে। অনেকে মনে করছেন, রাষ্ট্রপতির এই সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো থেকে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিশিষ্ট নাগরিকদের ডেকে আলোচনা করা হলে তা আরো অর্থবহ হতো। অন্যদিকে গত বছরের জুন মাসে নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল। যদিও বিএনপি তাতে অংশ নেয়নি, তবু সেই সংলাপের ভিত্তিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) তিনটি আইন এবং একটি বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছিল। তার মধ্যে ছিল_গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, নির্বাচনী প্রচারের ব্যয় (জনতহবিল) আইন, সিইসি ও ইসি নিয়োগ পদ্ধতি, সীমানা নির্ধারণ আইন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং একটি বিধিমালা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, বিগত তিন বছরে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন এবং শক্তিশালী করার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিলের সময়ও তারা বলেছিল, ইসিকে শক্তিশালী ও স্বাধীন করা হবে এবং এর ক্ষমতা বাড়ানো হবে। কিন্তু গত ছয় মাসেও ইসির সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারও না থাকে, তাহলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
আমরা বুঝতে পারি না, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করার ব্যাপারে বড় দুটি দলেরই এমন অনীহা কেন? তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, গণতন্ত্রের জন্য সম্মানজনক বিধানও নয়। এই বিধান আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন না থাকার কারণেই। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলেও যে দেশে কতটা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, তা তো আমরা ২০০৬ সালেও দেখেছি। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চেয়েও জরুরি হচ্ছে, আমাদের নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা। আমরা আশা করি, প্রধান দুটি দল এ ব্যাপারে তাদের শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবে।
No comments