এই মনমানসিকতার পরিবর্তন হবে কবে?-বিনা মূল্যের বীজে জনপ্রতিনিধিদের ভাগ
জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সেবা করার নাম করেই নির্বাচন করেন, নির্বাচনের সময় সেই প্রতিশ্রুতিই দেন। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর উল্টোটাই দেখা যায়। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের ক্ষেত্রেই বিষয়টি সত্য। আইলাদুর্গত মানুষকে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য দেওয়া ধানবীজ কৃষকদের কাছে বিক্রি করছেন আর কেউ নন, ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা! যশোরের অভয়নগর আইলাদুর্গত একটি এলাকা।
এখানকার আটটি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য ৪০ মেট্রিক টন ধানবীজ দিয়েছে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি)। আর এই ধানবীজ বিতরণ করছে বেসরকারি সংস্থা ‘সুশীলন’। অভিযোগ উঠেছে, তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা এই ধানবীজ বরাদ্দ করতে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়েছেন। স্থানীয় কৃষকদের পক্ষ থেকেই যখন অভিযোগ উঠেছে, তখন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে না নিয়ে উপায় নেই। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে বীজ কিনে তা আবার কৃষকদের কাছে বিক্রির জন্য সংগ্রহও করেছেন বীজ ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী তা স্বীকারও করেছেন। বোঝা যায়, এই বীজ বিতরণ নিয়ে নয়ছয় ভালোভাবেই হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে যেসব ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, তাঁরা কেউ জোরালোভাবে তা অস্বীকারও করতে পারেননি। ধানবীজ পৌঁছানোর খরচ বাবদ অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ধানবীজ বিতরণের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরির সহায়তায় এই ধানবীজ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যন্ত পৌঁছানো, এমনকি খালাস পর্যন্ত সব খরচ তাঁরাই বহন করেছেন। তা-ই যদি হয়ে থাকে, তবে কৃষকদের কাছে পৌঁছানো বাবদ খরচের অর্থ দাবি করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।
দুর্গত মানুষের জন্য কোনো সহায়তার ওপর যদি জনপ্রতিনিধিরা ভাগ বসাতে শুরু করেন, তবে তাঁরা কি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেন? কিন্তু বাস্তবে এটাই যেন আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। অভয়নগরের তিনটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের দেশের সামগ্রিক বাস্তবতা থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। জনপ্রতিনিধিদের এ ধরনের মনমানসিকতার কীভাবে পরিবর্তন করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক ও আইনগতভাবে দেখার পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।
অভিযোগ উঠেছে যেসব ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে, তাঁরা কেউ জোরালোভাবে তা অস্বীকারও করতে পারেননি। ধানবীজ পৌঁছানোর খরচ বাবদ অর্থ নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু ধানবীজ বিতরণের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইরির সহায়তায় এই ধানবীজ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) পর্যন্ত পৌঁছানো, এমনকি খালাস পর্যন্ত সব খরচ তাঁরাই বহন করেছেন। তা-ই যদি হয়ে থাকে, তবে কৃষকদের কাছে পৌঁছানো বাবদ খরচের অর্থ দাবি করার কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।
দুর্গত মানুষের জন্য কোনো সহায়তার ওপর যদি জনপ্রতিনিধিরা ভাগ বসাতে শুরু করেন, তবে তাঁরা কি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের দাবি করতে পারেন? কিন্তু বাস্তবে এটাই যেন আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। অভয়নগরের তিনটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের দেশের সামগ্রিক বাস্তবতা থেকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। জনপ্রতিনিধিদের এ ধরনের মনমানসিকতার কীভাবে পরিবর্তন করা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রশাসনিক ও আইনগতভাবে দেখার পাশাপাশি সামাজিক উদ্যোগের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।
No comments