উল্টোপথেই হাঁটছে সরকার-তিরস্কারের বদলে পুরস্কার
মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন অবস্থায় তাঁকে পুরস্কৃত করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। গতকাল প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, ‘আলোচিত-সমালোচিত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের আওতায় টেলিযোগাযোগ খাত তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। প্রস্তাব গেছে মন্ত্রিপরিষদে।’ খবর অনুযায়ী, গত ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিজ্ঞান এবং
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ভেঙে দুটি মন্ত্রণালয় করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে যে যুক্তিই দাঁড় করানো হোক না কেন, তার উদ্দেশ্য যে ছিল সৈয়দ আবুল হোসেনকে পুনর্বাসন, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। একটি মন্ত্রণালয়ের কাজে নানাভাবে সমালোচিত হওয়া এবং ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে পুনর্বাসন করতে হবে, কেন তাঁর জন্য নতুন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করতে হবে, তা বোধগম্য নয়।
পরবর্তীকালে আমরা দেখতে পাই, সৈয়দ আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে নবগঠিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টার চিঠিতে জানা গেল, মন্ত্রণালয় ভাগের প্রক্রিয়াটি চলছিল অনেক আগে থেকেই। ২০ ডিসেম্বর সচিব কমিটির বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডাক অংশটিকে ডাকসেবা মন্ত্রণালয় হিসেবে রাখা এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে টেলিযোগাযোগকে জুড়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে দেশের সব কটি মুঠোফোন কোম্পানিসহ টেলিযোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব চলে আসবে। মনে রাখা প্রয়োজন, এ খাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসছে এবং সরকার সর্বাধিক রাজস্ব পাচ্ছে, যে কারণে এই খাতটি সরকারের অর্থভান্ডার হিসেবে পরিচিত।
যে ব্যক্তির কাছে যোগাযোগ তথা দেশের সড়ক, সেতু ও রেলওয়ে নিরাপদ ছিল না, সেই ব্যক্তির কাছে টেলিযোগাযোগের মতো স্পর্শকাতর খাতটি নিরাপদ থাকবে, তা ভাবার কারণ নেই। সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী যে কাউকে যেকোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জনস্বার্থ অগ্রাধিকার পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও এমন কিছু করতে পারেন না, যাতে দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়টি বাদ দিলেও গত তিন বছরে সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সার্বিক যে ব্যর্থতা ও অদক্ষতার ছাপ রেখে এসেছেন, তাতে তাঁর ওপর এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া সমীচীন হবে বলে মনে করি না। এই তিন বছরে কোনো প্রকল্প তিনি সময়মতো শেষ করতে পারেননি। বিদ্যমান সড়ক ও সেতুগুলো কী বেহাল অবস্থায় আছে, তাও দেশবাসীর জানা।
একটি দক্ষ ও কার্যকর সরকারের বৈশিষ্ট্য হলো, যোগ্য ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা আর অযোগ্যকে তিরস্কৃত করা। কিন্তু বর্তমান সরকার উল্টোপথে হাঁটাকেই শ্রেয় মনে করছে। এর পরিণাম কারও জন্য শুভ হবে না।
সৈয়দ আবুল হোসেনকে টেলিযোগাযোগ খাতের দায়িত্ব দেওয়া হলে তার পরিণতিও যে পদ্মা সেতুর মতো হবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
পরবর্তীকালে আমরা দেখতে পাই, সৈয়দ আবুল হোসেনকে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে নবগঠিত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টার চিঠিতে জানা গেল, মন্ত্রণালয় ভাগের প্রক্রিয়াটি চলছিল অনেক আগে থেকেই। ২০ ডিসেম্বর সচিব কমিটির বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ডাক অংশটিকে ডাকসেবা মন্ত্রণালয় হিসেবে রাখা এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে টেলিযোগাযোগকে জুড়ে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে সৈয়দ আবুল হোসেনের হাতে দেশের সব কটি মুঠোফোন কোম্পানিসহ টেলিযোগাযোগ-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব চলে আসবে। মনে রাখা প্রয়োজন, এ খাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসছে এবং সরকার সর্বাধিক রাজস্ব পাচ্ছে, যে কারণে এই খাতটি সরকারের অর্থভান্ডার হিসেবে পরিচিত।
যে ব্যক্তির কাছে যোগাযোগ তথা দেশের সড়ক, সেতু ও রেলওয়ে নিরাপদ ছিল না, সেই ব্যক্তির কাছে টেলিযোগাযোগের মতো স্পর্শকাতর খাতটি নিরাপদ থাকবে, তা ভাবার কারণ নেই। সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী যে কাউকে যেকোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিতে পারেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জনস্বার্থ অগ্রাধিকার পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও এমন কিছু করতে পারেন না, যাতে দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়টি বাদ দিলেও গত তিন বছরে সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে সার্বিক যে ব্যর্থতা ও অদক্ষতার ছাপ রেখে এসেছেন, তাতে তাঁর ওপর এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া সমীচীন হবে বলে মনে করি না। এই তিন বছরে কোনো প্রকল্প তিনি সময়মতো শেষ করতে পারেননি। বিদ্যমান সড়ক ও সেতুগুলো কী বেহাল অবস্থায় আছে, তাও দেশবাসীর জানা।
একটি দক্ষ ও কার্যকর সরকারের বৈশিষ্ট্য হলো, যোগ্য ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা আর অযোগ্যকে তিরস্কৃত করা। কিন্তু বর্তমান সরকার উল্টোপথে হাঁটাকেই শ্রেয় মনে করছে। এর পরিণাম কারও জন্য শুভ হবে না।
সৈয়দ আবুল হোসেনকে টেলিযোগাযোগ খাতের দায়িত্ব দেওয়া হলে তার পরিণতিও যে পদ্মা সেতুর মতো হবে না, তার নিশ্চয়তা কী?
No comments