আবাসন শিল্প-বাধাগুলো সরাতে হবে
বাংলাদেশে শিল্প হিসেবে আবাসন শিল্প বিকশিত হতে পারেনি। শুরু থেকেই আবাসন শিল্পের বিকাশের পথ রুদ্ধ করে রেখেছে নানা প্রতিবন্ধকতা। বিশেষ করে সরকারের সঙ্গে আবাসন শিল্পের সম্পর্ক যেন অনেকটাই বিমাতাসুলভ। আবাসন শিল্পের সমস্যাগুলো নিরসনের কোনো চেষ্টা সরকারের তরফ থেকে আছে বলে মনে হয় না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবাসন শিল্পে বন্ধ্য পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে তাঁদের তরফ থেকে সরকারের কাছে এর আগে বিভিন্ন সময়
নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকার বাজেট প্রণয়নের মাধ্যমে এ খাতের মন্দা অবস্থা কাটিয়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে পারত, কিন্তু তা হয়নি।
বর্তমানে আবাসন শিল্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেবা সংযোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের অভাবে প্রায় ১৬ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। পাওয়া যাচ্ছে না পানি ও গ্যাস সংযোগ। এসব সংকটের পাশাপাশি আবাসন শিল্পের আরেকটি বড় সমস্যা ড্যাপ। আবাসন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বাস্তবসম্মত ড্যাপ বাস্তবায়ন চাইছেন। এটা না হলে বহু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি আবাসন প্রকল্পের জন্য যে ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা-২০০৪ প্রণয়ন করে বিগত জোট সরকার, সেই স্ববিরোধী বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বর্তমান সরকারও বিপাকে পড়ে। ফলে বিধিমালা যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় এই সরকারের আমলে। এর অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিধিমালাটি সময়োপযোগী করার জন্য একাধিক বৈঠক করে নতুন নতুন প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই প্রস্তাব সংযোজন করে এখন পর্যন্ত বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়নি। এর পেছনে একটি চক্রের অদৃশ্য হাত থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা একেবারে অমূলক নাও হতে পারে। ওদিকে জলাধার আইন এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ড্যাপ ইস্যুটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও বাস্তবতার নিরিখে সুরাহা করার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকেই। এ সুযোগে স্বয়ং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জলাশয় ভরাট করে প্লট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি আবাসন খাতের ১৭৪টি প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে বিধিমালা সংস্কারের কথা বলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।
আবাসন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো অনেক শিল্প গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। আবাসন শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলে এর সহায়ক শিল্পও বাধাগ্রস্ত হবে। এই শিল্পের সঙ্গে যেমন অনেক লোকের জীবন ও জীবিকা জড়িয়ে আছে, তেমনি এর সহায়ক শিল্পগুলোও আজ দেশে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। অথচ আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিনিয়োগ ফেরত আসছে না। বিনিয়োগ উঠে না এলে নতুন করে বিনিয়োগ হবে না। অন্যদিকে যাঁরা ফ্ল্যাট বা প্লট কিনেছেন, তাঁরাও এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তিলে তিলে গড়ে তোলা সঞ্চয় থেকে যে ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা হয়েছিল, সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা। অথচ জাতীয় অর্থনীতিতে ২১ শতাংশ অবদান রাখছে আবাসন শিল্প।
নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন সব মানুষেরই থাকে। অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে সরকার সব মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। দেশে বেসরকারি আবাসন শিল্প বিকশিত হতে পারত। কিন্তু সরকার-সৃষ্ট বাধা এখন আবাসন শিল্পকে বিকশিত হতে দিচ্ছে না। দেশের মানুষের স্বার্থেই এসব বাধা সরিয়ে নিতে হবে। আবাসন শিল্পকে বিকশিত হতে দিতে হবে।
বর্তমানে আবাসন শিল্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেবা সংযোগ। বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের অভাবে প্রায় ১৬ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে আবাসন ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। পাওয়া যাচ্ছে না পানি ও গ্যাস সংযোগ। এসব সংকটের পাশাপাশি আবাসন শিল্পের আরেকটি বড় সমস্যা ড্যাপ। আবাসন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বাস্তবসম্মত ড্যাপ বাস্তবায়ন চাইছেন। এটা না হলে বহু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বেসরকারি আবাসন প্রকল্পের জন্য যে ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা-২০০৪ প্রণয়ন করে বিগত জোট সরকার, সেই স্ববিরোধী বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বর্তমান সরকারও বিপাকে পড়ে। ফলে বিধিমালা যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় এই সরকারের আমলে। এর অংশ হিসেবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিধিমালাটি সময়োপযোগী করার জন্য একাধিক বৈঠক করে নতুন নতুন প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই প্রস্তাব সংযোজন করে এখন পর্যন্ত বিধিমালাটি চূড়ান্ত করা হয়নি। এর পেছনে একটি চক্রের অদৃশ্য হাত থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা একেবারে অমূলক নাও হতে পারে। ওদিকে জলাধার আইন এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। ড্যাপ ইস্যুটি বিজ্ঞানভিত্তিক ও বাস্তবতার নিরিখে সুরাহা করার বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকেই। এ সুযোগে স্বয়ং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জলাশয় ভরাট করে প্লট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি আবাসন খাতের ১৭৪টি প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে বিধিমালা সংস্কারের কথা বলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।
আবাসন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরো অনেক শিল্প গড়ে উঠেছে বাংলাদেশে। আবাসন শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হলে এর সহায়ক শিল্পও বাধাগ্রস্ত হবে। এই শিল্পের সঙ্গে যেমন অনেক লোকের জীবন ও জীবিকা জড়িয়ে আছে, তেমনি এর সহায়ক শিল্পগুলোও আজ দেশে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। অথচ আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের বিনিয়োগ ফেরত আসছে না। বিনিয়োগ উঠে না এলে নতুন করে বিনিয়োগ হবে না। অন্যদিকে যাঁরা ফ্ল্যাট বা প্লট কিনেছেন, তাঁরাও এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন। তিলে তিলে গড়ে তোলা সঞ্চয় থেকে যে ফ্ল্যাট বা প্লট কেনা হয়েছিল, সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা। অথচ জাতীয় অর্থনীতিতে ২১ শতাংশ অবদান রাখছে আবাসন শিল্প।
নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন সব মানুষেরই থাকে। অন্য দেশের মতো আমাদের দেশে সরকার সব মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে না। দেশে বেসরকারি আবাসন শিল্প বিকশিত হতে পারত। কিন্তু সরকার-সৃষ্ট বাধা এখন আবাসন শিল্পকে বিকশিত হতে দিচ্ছে না। দেশের মানুষের স্বার্থেই এসব বাধা সরিয়ে নিতে হবে। আবাসন শিল্পকে বিকশিত হতে দিতে হবে।
No comments