ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদকের আখড়া! by আল মাসুদ নয়ন
মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বর্তমানে মাদক উদ্যানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে চলে মাদক সেবনসহ মাদক কেনা-বেচা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাগমকে কেন্দ্র করে সেখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫ শতাধিক দোকান।সেখানে রাতে দেওয়া হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎসংযোগও।
সূত্র জানায়, একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য শিখা চিরন্তন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত তাদের দখলে রেখে বিভিন্ন রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এছাড়া বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীর সদস্যরা আড্ডাচ্ছলে এ উদ্যান থেকে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলেও বিশ্বস্ত সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে ওঠা লালন চর্চাকেন্দ্রের আশপাশে হিজবুত তাহরীর সদস্যরা এসে লালনবিরোধী বিভিন্ন কথা-বার্তা বলে জনতাকে আকৃষ্ট করে। পরবর্তী সময়ে তাদের নিজস্ব পন্থা অনুসরণে ইসলামের পথে চলার আহ্বান জানায়। তাদের সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি বিষয়ে এ উদ্যানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদকের স্পটে পরিণত করেছে একটি চক্র। এখানে দেহ ব্যবসাসহ নানা ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমও চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একজন সংস্কৃতিকর্মী বাংলানিউজকে বলেন, তিনি প্রতিদিনই অফিসের কাজ শেষ করে পার্কে আসেন ক্ষণিক বিশ্রামের জন্য, কখনও বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। তিনি দেখেছেন একটি চক্র সাধারণ মানুষের হাতে কৌশলে মাদক তুলে দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে। এসব দেখে তিনি সন্ধ্যার পর পার্কে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
মূলত শাহবাগকে কেন্দ্র করে চারুকলা ইনস্টিটিউট, ছবির হাট এবং টিএসসি এলাকায় আড্ডা-গল্পে জমে ওঠেন সৃজনশীল মানুষেরা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাগম হয় বলে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে পার্কের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। একটি চক্র এসব দোকানপাট বসাতে সহযোগিতা করছে বলেও সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীদের গ্রেফতার করছে। গতকাল রাতেও ৩৪ জনকে ধরে আনা হয়েছে। তবে মাদক ব্যবসায়ীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
সন্ধ্যার পর লোকজনদের উদ্যান থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীর সদস্যরা উদ্যানে সক্রিয় রয়েছে কিনা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বধীনতার সংগ্রাম।’ পাকিস্তানি বাহিনীও এই উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল।
এছাড়া বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত হিযবুত তাহরীর সদস্যরা আড্ডাচ্ছলে এ উদ্যান থেকে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলেও বিশ্বস্ত সূত্রটি জানিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গড়ে ওঠা লালন চর্চাকেন্দ্রের আশপাশে হিজবুত তাহরীর সদস্যরা এসে লালনবিরোধী বিভিন্ন কথা-বার্তা বলে জনতাকে আকৃষ্ট করে। পরবর্তী সময়ে তাদের নিজস্ব পন্থা অনুসরণে ইসলামের পথে চলার আহ্বান জানায়। তাদের সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি বিষয়ে এ উদ্যানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মাদকের স্পটে পরিণত করেছে একটি চক্র। এখানে দেহ ব্যবসাসহ নানা ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমও চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একজন সংস্কৃতিকর্মী বাংলানিউজকে বলেন, তিনি প্রতিদিনই অফিসের কাজ শেষ করে পার্কে আসেন ক্ষণিক বিশ্রামের জন্য, কখনও বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য। তিনি দেখেছেন একটি চক্র সাধারণ মানুষের হাতে কৌশলে মাদক তুলে দিয়ে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে। এসব দেখে তিনি সন্ধ্যার পর পার্কে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
মূলত শাহবাগকে কেন্দ্র করে চারুকলা ইনস্টিটিউট, ছবির হাট এবং টিএসসি এলাকায় আড্ডা-গল্পে জমে ওঠেন সৃজনশীল মানুষেরা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাগম হয় বলে অবৈধ দোকানপাট বসিয়ে পার্কের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। একটি চক্র এসব দোকানপাট বসাতে সহযোগিতা করছে বলেও সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রতিদিনই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদকসেবীদের গ্রেফতার করছে। গতকাল রাতেও ৩৪ জনকে ধরে আনা হয়েছে। তবে মাদক ব্যবসায়ীদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
সন্ধ্যার পর লোকজনদের উদ্যান থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে কিংবা নিষিদ্ধঘোষিত হিজবুত তাহরীর সদস্যরা উদ্যানে সক্রিয় রয়েছে কিনা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বধীনতার সংগ্রাম।’ পাকিস্তানি বাহিনীও এই উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল।
No comments