লোকমানের শোকসভায় বক্তারা-আসামিদের ধরা না হলে নরসিংদীবাসী রাজপথে নামবে by সুমন বর্মণ,
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞা বলেছেন, 'এমপি সাহেব, আপনি একজন রাজনীতিবিদ। লোকমান হোসেনও ছিলেন রাজনীতিবিদ। তাই লোকমান হত্যার দায়িত্ব আপনার কাঁধে তুলে নিতে হবে। যদি প্রশাসনের কোনো গাফিলতি থাকে তা দূর করতে হবে। আসামিদের ধরুন। তা না হলে নরসিংদীবাসী রাজপথে নামবে। আমরা রাজপথ বন্ধ করতে চাই না। হরতাল দিয়ে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা লোকমান হত্যার বিচার চাই। তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা চাই।'
সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নরসিংদীর জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেনের স্মরণে গতকাল শনিবার আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে আবদুল মতিন স্থানীয় সংসদ সদস্য লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হীরুকে (বীরপ্রতীক) উদ্দেশ করে এসব কথা বলেন। নরসিংদীর নওয়াববাড়ী এলাকায় কামাল উদ্দিন ভূঞা পৌর ঈদগাহ মাঠে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। 'নরসিংদী পৌরবাসী' ব্যানারে এই শোকসভার আয়োজন করা হয়।
শোকসভায় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই লোকমান হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাঁদের বাধ্য করা হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, 'মামলা করা হয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পরও আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের কোনো আলামত দেখছি না। শুধু শুনছি তদন্ত হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।'
এমপির উদ্দেশে শফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের প্রিয় নেতাকে যারা হত্যা করেছে সেই ঘাতকদের খুঁজে বের করুন। এটা নরসিংদীবাসীর দাবি। আপনি যদি প্রশাসনের মতো বক্তব্য দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন আমরা তা মানতে রাজি নই। আমরা এর কার্যকারিতা দেখতে চাই।'
অনুষ্ঠানে এমপি লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, 'লোকমানকে হারিয়ে শুধু আপনারা কাঁদছেন না, আমিও কাঁদছি। তাই আমিও আপনাদের দাবির সঙ্গে একমত। কথা দিচ্ছি, যারা লোকমানকে হত্যা করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমিও ঘরে ফিরে যাব না।'
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরো বক্তব্য দেন নরসিংদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র জহির আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল, সদর উপজেলার মহিষাশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ফররুখ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) এস এম মাহফুজুল হক নরসিংদীর পুলিশ সুপার ম. মুহিদের সঙ্গে লোকমান হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সভা করেছেন। সভা শেষে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার হলেও ঘটনার ১২ দিন পরও কেন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি_সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, মামলাটি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের সদর দপ্তর তদারক করছে।
খোকনের মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
এদিকে নরসিংদীর বাজির মোড়ে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। বিকেলে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, খায়রুল কবীর খোকনের স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ দীপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা খায়রুল কবীর খোকনের মুক্তি দাবি করেন। একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ইরান।
শোকসভায় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, শিগগিরই লোকমান হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাঁদের বাধ্য করা হবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, 'মামলা করা হয়েছে। আসামিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পরও আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের কোনো আলামত দেখছি না। শুধু শুনছি তদন্ত হচ্ছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।'
এমপির উদ্দেশে শফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের প্রিয় নেতাকে যারা হত্যা করেছে সেই ঘাতকদের খুঁজে বের করুন। এটা নরসিংদীবাসীর দাবি। আপনি যদি প্রশাসনের মতো বক্তব্য দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন আমরা তা মানতে রাজি নই। আমরা এর কার্যকারিতা দেখতে চাই।'
অনুষ্ঠানে এমপি লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হীরু বলেন, 'লোকমানকে হারিয়ে শুধু আপনারা কাঁদছেন না, আমিও কাঁদছি। তাই আমিও আপনাদের দাবির সঙ্গে একমত। কথা দিচ্ছি, যারা লোকমানকে হত্যা করেছে তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমিও ঘরে ফিরে যাব না।'
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরো বক্তব্য দেন নরসিংদী পৌরসভার প্যানেল মেয়র জহির আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সামসুল আলম রাখিল, সদর উপজেলার মহিষাশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক ফররুখ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) এস এম মাহফুজুল হক নরসিংদীর পুলিশ সুপার ম. মুহিদের সঙ্গে লোকমান হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সভা করেছেন। সভা শেষে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার হলেও ঘটনার ১২ দিন পরও কেন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি_সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, মামলাটি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের সদর দপ্তর তদারক করছে।
খোকনের মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ
এদিকে নরসিংদীর বাজির মোড়ে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। বিকেলে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, খায়রুল কবীর খোকনের স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বীন মোহাম্মদ দীপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা খায়রুল কবীর খোকনের মুক্তি দাবি করেন। একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির একাংশের নেতা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন ইরান।
No comments