লাভ ৫ কোটি টাকা-ফুলবাড়িয়ার সন্তোষপুর
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও শেরপুর অঞ্চলের আওতায় বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বশিউক) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সন্তোষপুর রাবার প্রকল্প চলতি অর্থবছরে লাভ করেছে ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।ফুলবাড়িয়া সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পাহাড় বেষ্টনীতে ঘেরা আঁকাবাঁকা মেঠোপথ নাওগাঁও ইউনিয়নের সন্তোষপুর বনাঞ্চল এলাকায় ১ হাজার ৩৬ একর জমিতে এই রাবার বাগান অবস্থিত। এটি পর্যটকদের যেমন মন কেড়েছে, তেমনি রাবার কষ আহরণ করে রাবার তৈরিতে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।
গত অর্থবছরে প্রকল্পটির তৈরি রাবার বিক্রি করে লাভ হয়েছিল ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রকল্পের লাভ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। দিন দিন প্রকল্পটি থেকে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় এক সময় বন বিভাগের গজারি বন ছিল। বন ধ্বংসের পর বন বিভাগের কাছ থেকে ১৯৮৯-৯০ সালে রাবার চাষে বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন প্রকল্পটি বরাদ্দ নেয়। প্রকল্পটি প্রাথমিকভাবে ১৯৯২-৯৩ সালে ২ একর জমিতে নার্সারি করে এবং পরের বছর রাবার বাগান তৈরিতে গাছ লাগানোর কাজ শুরু করে।
যেভাবে রাবার কষ সংগ্রহ করে : যেসব রাবার গাছ কষ সংগ্রহ করার মতো, সে গাছগুলোর ৩-৪ ফুট ওপরে ৩০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বিশেষ ধরনের ট্যাপার চাকু দিয়ে গাছের অর্ধেক অংশের ১ মিলিমিটার পরিমাণ গাছের ছাল কর্তন করা হয়। কর্তন করার পর ২-৩ ইঞ্চি নিচে জিআই তারের হ্যাংগারে প্লেইন শিটের নিচে ট্যাপাররা বাটি বসিয়ে দেন। টেপার শ্রমিক ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পর গাছ থেকে বাটিতে আহরিত কষ একটি জারে একত্রিত করে তা মেপে ল্যাটেক্স ভ্যানে জমা দেওয়ার পর রাবার তৈরি কারখানায় আনা হয়। আবার কিছু ট্যাপার বাইসাইকেলে কষের জার সরাসরি কারখানায় এনে মেপে জমা দিয়ে থাকে। ট্যাপারের কাজগুলো সাধারণত এলাকার মহিলা ও পুরুষরাই করে থাকেন। প্রকল্পে তৈরি রাবারের নামকরণ করা হয়েছে দু'ভাগে। একটির নাম মাঠলাম রাবার, অন্যটি কাঠলাম রাবার।
মাটিতে পড়ে যে রাবার অপরিশোধিত থাকে তাকে মাঠলাম রাবার বলে। আর গাছ থেকে যে কষ সরাসারি বাটিতে পড়ে, তাকে কাঠলাম রাবার বলে। ট্যাপারদের কেজিপ্রতি মজুরি দিতে হয় পিক পিরিয়ডে ৪ এবং লিন পিরিয়ডে ৬ টাকা। প্রতি ট্যাপার ৩০০ গাছের কষ সংগ্রহ করে থাকেন। গড়ে একজন ট্যাপার ৫০-৬০ কেজি কষ সংগ্রহ করতে পারেন। সন্তোষপুর রাবার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ ওয়ালিউর রহমান জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কয়েক ব্যক্তি প্রকল্প থেকে রাবার চুরি করে নিয়ে যায়। যে কারণে সরকার বছরে প্রায় কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়। তবে বর্তমানে প্রকল্প থেকে রাবার কষ চুরি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
যেভাবে রাবার কষ সংগ্রহ করে : যেসব রাবার গাছ কষ সংগ্রহ করার মতো, সে গাছগুলোর ৩-৪ ফুট ওপরে ৩০ ডিগ্রি এঙ্গেলে বিশেষ ধরনের ট্যাপার চাকু দিয়ে গাছের অর্ধেক অংশের ১ মিলিমিটার পরিমাণ গাছের ছাল কর্তন করা হয়। কর্তন করার পর ২-৩ ইঞ্চি নিচে জিআই তারের হ্যাংগারে প্লেইন শিটের নিচে ট্যাপাররা বাটি বসিয়ে দেন। টেপার শ্রমিক ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পর গাছ থেকে বাটিতে আহরিত কষ একটি জারে একত্রিত করে তা মেপে ল্যাটেক্স ভ্যানে জমা দেওয়ার পর রাবার তৈরি কারখানায় আনা হয়। আবার কিছু ট্যাপার বাইসাইকেলে কষের জার সরাসরি কারখানায় এনে মেপে জমা দিয়ে থাকে। ট্যাপারের কাজগুলো সাধারণত এলাকার মহিলা ও পুরুষরাই করে থাকেন। প্রকল্পে তৈরি রাবারের নামকরণ করা হয়েছে দু'ভাগে। একটির নাম মাঠলাম রাবার, অন্যটি কাঠলাম রাবার।
মাটিতে পড়ে যে রাবার অপরিশোধিত থাকে তাকে মাঠলাম রাবার বলে। আর গাছ থেকে যে কষ সরাসারি বাটিতে পড়ে, তাকে কাঠলাম রাবার বলে। ট্যাপারদের কেজিপ্রতি মজুরি দিতে হয় পিক পিরিয়ডে ৪ এবং লিন পিরিয়ডে ৬ টাকা। প্রতি ট্যাপার ৩০০ গাছের কষ সংগ্রহ করে থাকেন। গড়ে একজন ট্যাপার ৫০-৬০ কেজি কষ সংগ্রহ করতে পারেন। সন্তোষপুর রাবার প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ ওয়ালিউর রহমান জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কয়েক ব্যক্তি প্রকল্প থেকে রাবার চুরি করে নিয়ে যায়। যে কারণে সরকার বছরে প্রায় কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়। তবে বর্তমানে প্রকল্প থেকে রাবার কষ চুরি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
No comments