ছিনতাই আতঙ্কে ঢাকায় ফেরা মানুষ
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরা মানুষ ছিনতাই আতঙ্কে রয়েছে। রাজধানীতে পুলিশ টহল চলছে ঢিলেঢালা। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নেই পুলিশের রাত্রিকালীন চেকপোস্ট। ফাঁকা-প্রায় রাজধানীর কোথাও চোখে পড়ার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। গ্রাম থেকে কর্মস্থলে ফিরে আসা মানুষের জন্যও নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ সুযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। এখন গ্রাম থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে আসা মানুষের সঙ্গে থাকা গহনা আর মোবাইল ফোন টার্গেট করেই হামলে পড়ছে এসব দুর্বৃত্ত।
সদর রাস্তা থেকে একটু গলি পথে পা রাখলেই ছিনতাই আতঙ্ক। এছাড়া এ ছিনতাই আতঙ্কের সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজধানীর ফাঁকা রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনা। ঈদের ছুটির পর নগরীতে শতাধিক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। পুলিশের টহল আর চেকপোস্ট না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সহজেই পালিয়ে যাচ্ছে বেপরোয়া গতির গাড়িগুলো।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ছুটি শেষে লোকজন আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে এসব টার্মিনাল লোকজনে ঠাসা। এছাড়া গাবতলী, মহাখালী টার্মিনাল ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। সিটি সার্ভিসের বাস সংকটের কারণে যথাসময়ে তারা বাসায় যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় তাদের মধ্যে রয়েছে ছিনতাই আতঙ্ক।
শুক্রবার ভোরে লঞ্চ থেকে নেমে সদরঘাট থেকে সবুজবাগের বাসায় ফিরছিলেন কাওসার নামে এক ব্যবসায়ী। রায়সাহেব বাজার মোড়ে রিকশা থামিয়ে ছিনতাইকারী তার মোবাইল সেট নিয়ে যায়। একইদিন রাতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বংশালের বাসায় ফেরার পথে নগদ ৬শ' টাকা ও মোবাইল সেটটি হারিয়েছেন সুনীল চন্দ্র দাস নামে কবি নজরুল কলেজের এক ছাত্র। তিনি জানান, গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ারের সামনে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।
পিরোজপুর থেকে বাসে আসা কোরবান আলী জানান, ভোররাতে তিনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে নামেন। রাস্তায় নিরাপত্তার অভাবে তাকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সমকালকে বলেন, পুলিশের টহল ঢিলেঢালা বলাটা ঠিক হবে না। ঈদের পরে পুলিশের অনেক সদস্য ছুটি নিয়েছেন। এ কারণেই পুলিশের টহল কমেছে। যা আছে তা দৃশ্যমান নয়। তিনি বলেন, ২-৪ দিনের মধ্যেই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ছুটি শেষে লোকজন আবার ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এ কারণে এসব টার্মিনাল লোকজনে ঠাসা। এছাড়া গাবতলী, মহাখালী টার্মিনাল ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনসহ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড়। সিটি সার্ভিসের বাস সংকটের কারণে যথাসময়ে তারা বাসায় যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় তাদের মধ্যে রয়েছে ছিনতাই আতঙ্ক।
শুক্রবার ভোরে লঞ্চ থেকে নেমে সদরঘাট থেকে সবুজবাগের বাসায় ফিরছিলেন কাওসার নামে এক ব্যবসায়ী। রায়সাহেব বাজার মোড়ে রিকশা থামিয়ে ছিনতাইকারী তার মোবাইল সেট নিয়ে যায়। একইদিন রাতে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বংশালের বাসায় ফেরার পথে নগদ ৬শ' টাকা ও মোবাইল সেটটি হারিয়েছেন সুনীল চন্দ্র দাস নামে কবি নজরুল কলেজের এক ছাত্র। তিনি জানান, গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ারের সামনে তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।
পিরোজপুর থেকে বাসে আসা কোরবান আলী জানান, ভোররাতে তিনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে নামেন। রাস্তায় নিরাপত্তার অভাবে তাকে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা জোনের উপ-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সমকালকে বলেন, পুলিশের টহল ঢিলেঢালা বলাটা ঠিক হবে না। ঈদের পরে পুলিশের অনেক সদস্য ছুটি নিয়েছেন। এ কারণেই পুলিশের টহল কমেছে। যা আছে তা দৃশ্যমান নয়। তিনি বলেন, ২-৪ দিনের মধ্যেই এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
No comments