র ঙ বে র ঙ-ত্বক ফেরাবে বুলেট!
যদি এমন হতো, আপনার শরীরটা বুলেটপ্রুফ, তাহলে পথে-ঘাটে কারও গুলিতে অকালে প্রাণ হারাতে হতো না। তবে এটা আর নিছক স্বপ্ন নয়। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে তা প্রমাণও করেছেন। তারা জানিয়েছেন, বুলেটপ্রুফ পোশাকের মতো মানুষের ত্বককেও এখন বাস্তবে বুলেটপ্রুফ করে তোলা সম্ভব। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ায় এমন চামড়া উদ্ভাবনে সফলও হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষের ত্বক হবে ইস্পাতের চেয়ে দশগুণ বেশি শক্তিশালী। আর তা বুলেট ফেরানোর মতো শক্তিশালী হবে। মজার ব্যাপার হলো, মানুষের এ বুলেটপ্রুফ ত্বক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে মাকড়সার জাল থেকে তৈরি সিল্ক এবং ভেড়ার দুধ!
জেনেটিক প্রক্রিয়ায় জন্ম নেওয়া ভেড়ার দুধ থেকে তারা এক ধরনের প্রোটিন সংগ্রহ করেছেন। মাকড়সার জাল ও ভেড়ার দুধের মিশ্রণ ঘটিয়ে গবেষকরা এমন এক উপাদান তৈরি করেছেন, যা অসম্ভব শক্ত। এ উপাদানটি সহজেই এক ধরনের ফেব্রিক তৈরি করতে পারে। এটি মানবত্বকেও জুড়ে দেওয়া সম্ভব। নেদারল্যান্ডসের ফরেনসিক জেনোমিকস কনসোর্টিয়ামের গবেষক জলিলা ইসাইদি বলেন, কিছু মাকড়সা আছে, যেগুলো বেশ শক্ত ধরনের সিল্ক তৈরি করতে পারে। মাকড়সার দেহে থাকা বিশেষ প্রোটিনের কারণেই এরা এ কাজটি করতে পারে। গবেষকরা প্রথমে কিছু ভেড়ার জিনে এমন পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। এদের দুধে মাকড়সার দেহে থাকা সেই বিশেষ ধরনের প্রোটিন বিদ্যমান থাকে। পরবর্তীতে এ দুধ ঘনীভূত করে তা দিয়ে একটি ধাতুর মতো পদার্থ তৈরি করতে সক্ষম হন, যা ইস্পাতের চেয়ে দশগুণ শক্তিশালী!
মানষের ত্বককে বুলেট থেকে রক্ষা করতে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক যুগে গবেষকরা জ্যাকেটের পরিবর্তে মানুষের ত্বকই বুলেটপ্রুফ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন। তারা মানুষের জিনে কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছেন। জলিলা ইসাইদি বলেন, মানুষের ত্বকে আছে কেরাটিন নামে উপাদান, যা ত্বকের কাঠিন্য নির্ণয় করে। মানুষের জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে এ কেরাটিনের পরিবর্তে শক্তিশালী রেশম উৎপাদন করা মাকড়সার বিশেষ প্রোটিন প্রতিস্থাপন করা হবে। আর এতেই ত্বক হয়ে উঠবে ইস্পাতের চেয়ে কঠিন, যা হবে পুরোপুরি বুলেটপ্রুফ। তবে গবেষকরা এখনও মানুষের ওপর এ ব্যাপারে কোনো পরীক্ষা চালাননি। প্রাথমিকভাবে ভেড়ার দুধ থেকে তারা যে পদার্থটি তৈরি করেছেন, তাতে দশমিক ২২ ক্যালিবার বুলেট চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন মাত্র। তবে মানুষের ত্বক বুলেটের হাত থেকে পুরোপুরি রক্ষার জন্য গবেষকরা তাদের গবেষণা চালিয়ে যাবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাদের আশা, এ ব্যাপারে একদিন সফলতা আসবেই।
হ প্রদীপ সাহা
মানষের ত্বককে বুলেট থেকে রক্ষা করতে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক যুগে গবেষকরা জ্যাকেটের পরিবর্তে মানুষের ত্বকই বুলেটপ্রুফ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন। তারা মানুষের জিনে কিছু পরিবর্তন আনার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছেন। জলিলা ইসাইদি বলেন, মানুষের ত্বকে আছে কেরাটিন নামে উপাদান, যা ত্বকের কাঠিন্য নির্ণয় করে। মানুষের জিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে এ কেরাটিনের পরিবর্তে শক্তিশালী রেশম উৎপাদন করা মাকড়সার বিশেষ প্রোটিন প্রতিস্থাপন করা হবে। আর এতেই ত্বক হয়ে উঠবে ইস্পাতের চেয়ে কঠিন, যা হবে পুরোপুরি বুলেটপ্রুফ। তবে গবেষকরা এখনও মানুষের ওপর এ ব্যাপারে কোনো পরীক্ষা চালাননি। প্রাথমিকভাবে ভেড়ার দুধ থেকে তারা যে পদার্থটি তৈরি করেছেন, তাতে দশমিক ২২ ক্যালিবার বুলেট চালিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন মাত্র। তবে মানুষের ত্বক বুলেটের হাত থেকে পুরোপুরি রক্ষার জন্য গবেষকরা তাদের গবেষণা চালিয়ে যাবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাদের আশা, এ ব্যাপারে একদিন সফলতা আসবেই।
হ প্রদীপ সাহা
No comments