আসাদের পতন ‘অনিবার্য’: যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফরি ফেল্টম্যান বলেছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতন ‘অনিবার্য’। এদিকে আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের নেতা ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট আসাদকে পদত্যাগের পর রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
নিকট প্রাচ্যবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফরি ফেল্টম্যান গত বুধবার মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্যদের এ কথা জানান। সিরিয়ায় গত বুধবারও বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর গুলিতে আটজন গণতন্ত্রকামী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন।
ফেল্টম্যান বলেন, ‘আরব বিশ্বের প্রায় সব নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁরাও আমার সঙ্গে একমত যে প্রেসিডেন্ট আসাদের সময় শেষ হয়ে আসছে। সিরিয়ায় পরিবর্তন ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ অনিবার্য।’ তিনি বলেন, আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ প্রেসিডেন্ট আসাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদকে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করতেই আরব নেতারা এ প্রস্তাব দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সিরিয়া চিঠি দেওয়ার পর সিনেট প্যানেলকে এসব কথা জানান ফেল্টম্যান। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমের পাঠানো ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ওয়াশিংটন সিরিয়া ও এর জনগণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অস্ত্রধারী পক্ষগুলোকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে।
সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের ব্যাপারে বিশ্বনেতারা একমত হতে পারছেন না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপে এখন পর্যন্ত বিরোধিতা করে আসছে। এদিকে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক গত বুধবার সিরিয়া সরকারকে কোনো ধরনের তহবিল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিরিয়ায় মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রেসিডেন্ট আসাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে সরকার। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। দিনের পর দিন বিক্ষোভকারীদের হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং পাশ্চাত্য অবরোধ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত পদত্যাগের কোনো ইঙ্গিত দেননি প্রেসিডেন্ট আসাদ। তবে ২ নভেম্বর আরব লিগের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি রোডম্যাপে স্বাক্ষর করে সিরিয়া সরকার। এতে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা, উত্তেজনাপূর্ণ শহরগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তবে এ প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, গত বুধবার সেনাদের গুলিতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২ নভেম্বর আরব লিগের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি রোডম্যাপে স্বাক্ষর করলেও এরপর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে।
সিরিয়া সরকারের মতে, এ রক্তপাতের জন্য ‘সন্ত্রাসী’ ও ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীরাই দায়ী। আর এ সন্ত্রাসীরা দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা পেয়ে আসছে।
নিকট প্রাচ্যবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেফরি ফেল্টম্যান গত বুধবার মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্যদের এ কথা জানান। সিরিয়ায় গত বুধবারও বিক্ষোভে সেনাবাহিনীর গুলিতে আটজন গণতন্ত্রকামী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন।
ফেল্টম্যান বলেন, ‘আরব বিশ্বের প্রায় সব নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁরাও আমার সঙ্গে একমত যে প্রেসিডেন্ট আসাদের সময় শেষ হয়ে আসছে। সিরিয়ায় পরিবর্তন ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ অনিবার্য।’ তিনি বলেন, আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ প্রেসিডেন্ট আসাদকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাব দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদকে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করতেই আরব নেতারা এ প্রস্তাব দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে সিরিয়া চিঠি দেওয়ার পর সিনেট প্যানেলকে এসব কথা জানান ফেল্টম্যান। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমের পাঠানো ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ওয়াশিংটন সিরিয়া ও এর জনগণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অস্ত্রধারী পক্ষগুলোকে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে।
সিরিয়ার ওপর জাতিসংঘের অবরোধ আরোপের ব্যাপারে বিশ্বনেতারা একমত হতে পারছেন না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও রাশিয়া সিরিয়ার ওপর অবরোধ আরোপে এখন পর্যন্ত বিরোধিতা করে আসছে। এদিকে ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক গত বুধবার সিরিয়া সরকারকে কোনো ধরনের তহবিল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিরিয়ায় মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রেসিডেন্ট আসাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী ব্যবহার করছে সরকার। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর গুলিতে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। দিনের পর দিন বিক্ষোভকারীদের হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং পাশ্চাত্য অবরোধ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত পদত্যাগের কোনো ইঙ্গিত দেননি প্রেসিডেন্ট আসাদ। তবে ২ নভেম্বর আরব লিগের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি রোডম্যাপে স্বাক্ষর করে সিরিয়া সরকার। এতে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা, উত্তেজনাপূর্ণ শহরগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং রাজবন্দীদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
তবে এ প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। একটি মানবাধিকার সংগঠন জানিয়েছে, গত বুধবার সেনাদের গুলিতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ২ নভেম্বর আরব লিগের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি রোডম্যাপে স্বাক্ষর করলেও এরপর গত মঙ্গলবার পর্যন্ত সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে।
সিরিয়া সরকারের মতে, এ রক্তপাতের জন্য ‘সন্ত্রাসী’ ও ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টিকারীরাই দায়ী। আর এ সন্ত্রাসীরা দেশের বাইরে থেকে নানাভাবে সহযোগিতা পেয়ে আসছে।
No comments