স্পট ফিক্সিং থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত-বললেন আকরাম
ম্যাচ পাতানোর ব্যাপারে পাকিস্তানিদেরই কেন সব সময় সন্দেহ করা হয়? কেবল পাকিস্তানিরাই দোষী?'_প্রশ্ন ওয়াসিম আকরামের। তার পরও যেহেতু সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমেরের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাঁদের শাস্তিটা প্রাপ্য বলেই মনে করেন সাবেক এ ফাস্ট বোলার। কিন্তু 'এই তিন পাকিস্তানিই বা কেন এই বিষপাত্র হাতে তুলে নিতে গেল'_আকরাম উপেক্ষা করতে পারছেন না এ প্রশ্নটাও।
'হতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডই এমন অনৈতিক কিছু থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে পারেনি। খেলোয়াড়রা নিশ্চয়ই ফেরেশতা নয়। কিন্তু আমাদের প্রশাসন যদি এই দুর্নীতি রোধ করার ব্যাপারে আরো সক্রিয় থাকত তাহলে আজ হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না।' দুর্নীতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থাই (আইসিসি) যে কতটা অন্ধকারে এবং উদাসীন, ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচে স্পট ফিঙ্ংি ঘটনা সেটাই আবার প্রমাণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আকরাম। তাই পাকিস্তানের এ সাবেক অধিনায়কের পরামর্শ, বিষয়টিকে শুধু তিন পাকিস্তানির অপরাধ ও দণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ভবিষ্যতের জন্য বড় একটা শিক্ষা হিসেবে দেখা উচিত আইসিসির, 'স্পট ফিঙ্ংিয়ের বিচার এবং পাকিস্তানের তিন তরুণ ক্রিকেটারের দণ্ড পাওয়ার ঘটনায় আশা করি সবার চোখ খুলে গেছে। পুরো ঘটনাটাই সবার জন্য একটা শিক্ষা, আইসিসির জন্যও, কারণ ওই ম্যাচের পরই বোঝা হয়ে গেছে দুর্নীতি রোধে তাদের ভূমিকা একেবারেই শূন্য।'
স্বপ্রণোদিত হয়ে আইসিসি ও বোর্ডগুলোকে ওয়াসিম আকরাম কিছু কর্মপ্রক্রিয়াও দেখিয়ে দিয়েছেন, 'আমার পরামর্শ হলো, আইসিসি ও বোর্ড সমন্বিতভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখবে। আইসিসির 'অ্যান্টি করাপশন ইউনিট-'এর উচিত খেলোয়াড়দের ফাঁদগুলো দেখিয়ে দেওয়া। তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতেও রাখা যেতে পারে। ম্যাচ চলার সময়ে এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।' আকরামের পরামর্শগুলো ঠিকমতো কার্যকর হলে হয়তো সুফলও পাওয়া যাবে। কিন্তু আমের-আসিফদের ভাগ্য তাতে পাল্টাবে না। মোহাম্মদ আমের অবশ্য এর মধ্যে তাঁর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পেয়েছেন। বাটও সেই সুযোগ পেতে পারেন। তাঁর আইনজীবীও আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন। এএফপি
স্বপ্রণোদিত হয়ে আইসিসি ও বোর্ডগুলোকে ওয়াসিম আকরাম কিছু কর্মপ্রক্রিয়াও দেখিয়ে দিয়েছেন, 'আমার পরামর্শ হলো, আইসিসি ও বোর্ড সমন্বিতভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ রাখবে। আইসিসির 'অ্যান্টি করাপশন ইউনিট-'এর উচিত খেলোয়াড়দের ফাঁদগুলো দেখিয়ে দেওয়া। তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতেও রাখা যেতে পারে। ম্যাচ চলার সময়ে এটাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।' আকরামের পরামর্শগুলো ঠিকমতো কার্যকর হলে হয়তো সুফলও পাওয়া যাবে। কিন্তু আমের-আসিফদের ভাগ্য তাতে পাল্টাবে না। মোহাম্মদ আমের অবশ্য এর মধ্যে তাঁর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পেয়েছেন। বাটও সেই সুযোগ পেতে পারেন। তাঁর আইনজীবীও আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন। এএফপি
No comments