সেরা চারে থাকলেই দেশে আরেকটি বিশ্বকাপ!

জ বাদে কালই পর্দা উঠছে মহিলা বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের। এতে আয়োজনের পাশাপাশি দলীয় সাফল্যও যদি এক মোহনায় মিশে যায়, তাহলে আরেকটি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগও মিলে যেতে পারে বাংলাদেশের! সেটি ২০১৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় মহিলা বিশ্বকাপের মূল পর্বের সহ-আয়োজক হওয়ার সুযোগ। সে জন্য শর্ত একটাই, এ বাছাই পর্বের সেরা চারটি দলের একটি হয়ে যেতে হবে মূল পর্বে।


বিস্তারিত না বললেও কাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সে রকম আভাসই দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল, 'আমাদের মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজনের খবরও আপনারা খুব শিগগিরই পেয়ে যেতে পারেন।' বাছাই পর্ব আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র অবশ্য আরো গভীরে গিয়ে জানিয়েছে, '২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আইসিসি রীতিমতো মুগ্ধ। এ জন্যই আমরা কোয়ালিফাই করতে পারলে ২০১৩ সালে মহিলা বিশ্বকাপের পরবর্তী আসরের কয়েকটি ম্যাচ বাংলাদেশে হওয়ার সম্ভাবনা বেশ উজ্জ্বল।' যদিও বাংলাদেশ মহিলা দলের পারফরম্যান্স এখন পর্যন্ত অনুজ্জ্বলই। কিছুদিন আগে প্রস্তুতির জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের সবটাতেই হেরে এসেছেন সালমা খাতুনরা। এবার বাছাই পর্ব শুরুর আগেও শ্রীলঙ্কার দুটো প্রস্তুতি ম্যাচের হারে আশাবাদী হওয়ার উপায় নেই খুব একটা। আপাতত তাই ১৯৯৬-এর হাহাকার ফিরে আসার সম্ভাবনাই বেশি। ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফি থেকে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের স্বপ্ন নিয়েই কেনিয়ায় গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটি পূরণ হলে ১৯৯৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশেও। মহিলা বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়ার ক্ষেত্রেও একই শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ শর্ত পূরণ করতে না পারলেও কিন্তু বাছাই পর্বের আয়োজনকে সাফল্যময় করে তুলতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। বিসিবি সভাপতি কাল সে ঘোষণাও দিয়েছেন, 'সফল আয়োজনে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। বড় বড় টুর্নামেন্ট আয়োজনে আমাদের সুনাম বাড়ানোর এটি আরেকটি সুযোগ।' আগেই জানিয়ে রাখা হয়েছিল যে ঢাকার চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠেয় ম্যাচগুলোতে কোনো টিকিটের ব্যবস্থা থাকছে না। গ্যালারি ভরিয়ে তোলার জন্যই এ ব্যবস্থা। বিসিবি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্কুলে ১০ হাজারের মতো গেট পাস পাঠিয়েছে যাতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খেলা দেখতে পারে। তাঁদের নিয়ে আসার জন্য বাসের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। এ আসরে বাংলাদেশ দলের স্পনসর হয়েছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড। আর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ম্যাচগুলো সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা। বাছাই পর্বের 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং জাপান। আর 'এ' গ্রুপে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাষ্ট্র এবং জিম্বাবুয়ে। দুই গ্রুপ থেকে চার সেমিফাইনালিস্ট যাবে মূল পর্বে। আর ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত আগের বিশ্বকাপের সেরা চারে থাকার সুবাদে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং নিউজিল্যান্ড সরাসরিই মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশও মূল পর্বে তাদের সঙ্গী হতে পারলে দেশেই হবে আরেকটি বিশ্বকাপ!

No comments

Powered by Blogger.