কোচাশহরের হোসিয়ারি শিল্প-বছরে ২০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র উৎপাদন by শামীম রেজা ডাফরুল,
শীতের আগমনের শুরুতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহর হোসিয়ারি শিল্পের কারিগররা। নাওয়া-খাওয়ার ফুরসত পর্যন্ত নেই। হোসিয়ারি শিল্প শহর হিসেবে খ্যাত কোচাশহরের ঘরে ঘরে এখন চলছে হোসিয়ারি মেশিনের খুটখাট আওয়াজে শীতবস্ত্র তৈরির কাছ। এ কাজে পুরুষদের পাশাপাশি গৃহবধূ, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও শ্রম দিচ্ছেন সমানতালে।
নিভৃত এ পল্লীর প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মেধা ও শ্রম কাজে লাগিয়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার শীতবস্ত্র তৈরি করে দেশের চাহিদার তিন-চতুর্থাংশ মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। নীরব বিপল্গব ঘটে যাওয়া এ এলাকাটি হচ্ছে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরসহ এর আশপাশের ৫টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম। সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে কোচাশহরের এ হোসিয়ারি শিল্পের গার্মেন্টের মতোই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশাল অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ শহর থেকে সোজা পূর্ব দিকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোচাশহর ইউনিয়ন। এর পাশাপাশি মহিমাগঞ্জ, শালমারা, শিবপুরসহ গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গড়ে উঠেছে এ শীতবস্ত্র তৈরির হোসিয়ারি কারখানা। সবুজ ছায়াঘেরা পেপুলিয়া, ভাগগাড়ী, শক্তিপুর, ধর্মা, সিঙ্গা, বাইচপুর, মুকুন্দপুর, সুধারধাপ, রতনপুর, ছয়ঘড়িয়া, ধারাইকান্দি, নয়ারহাট, কুমিড়াডাঙ্গা, উলিপুর, পুনতাইর, জগদীশপুর, বনগ্রাম, মহিমাগঞ্জ, খিলিবাড়ী, আরজি সাহাপুর, পাঠানপাড়া, মীরুপারা, ফতুপাড়া, শ্রীমুখ, বালুয়া, মালংচা, সোনারপাড়াসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই গত তিন দশকে প্রায় ২০ হাজার মেশিন নিয়ে ২ হাজার শীতবস্ত্র তৈরির হোসিয়ারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে এখানে কে আলী হোসিয়ারি নামে একটি সোয়েটার কারখানাও স্থাপিত হয়েছে। সেখানে প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে। এসব কারখানায় দিন-রাত তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, মাফলার, কার্ডিগান, মোজা, টুপি, বেবিসেটসহ বিভিন্ন শীতবস্ত্র। এসব কারখানায় তৈরি শীতবস্ত্র দেশের উৎপাদিত শীতবস্ত্রের তিন-চতুর্থাংশ। বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এলাকায় গড়ে উঠেছে শিল্প শহর। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। এসব কারখানায় উৎপাদিত সোয়েটার, মাফলার, কার্ডিগান, হাতমোজা, টুপি, বেবিসেটসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পঞ্চগড়, নিলফামারী, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ফরিদপুর, পাবনা, টাঙ্গাইলসহ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক ব্যবসায়ী আবার এ কোচাশহরে ২০ লাখ থেকে কোটি টাকা লগি্ন করে পুরো মৌসুমের তৈরি এসব শীতবস্ত্র কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি করছেন। এ এলাকার শত শত কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ কারখানাগুলোতে কাজসহ শীতবস্ত্র কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী, স্কুল-কলেজপড়ূয়া ছেলেমেয়েসহ বাড়ির গৃহবধূরাও বাড়ির কাজের ফাঁকে, অবসর সময়ে সুই-সুতা দিয়ে হাতমোজা, টুপি, সোয়েটার, সুতায় রঙ, লাটিমে সুতা তোলা, মাফলার ইস্ত্রি, প্যাকিং করা প্রভৃতি কাজ করে আলাদা অর্থ উপার্জন করছেন। এক কথায়, এ এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ হোসিয়ারি শিল্পের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। কোচাশহরে তৈরি এসব শীতবস্ত্র তৈরির প্রধান উপাদান সুতার সিংহভাগই আমদানি করতে হয় তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারি শিল্পের ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে এসব সুতা আমদানি করে থাকেন। কোচাশহরের ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত এসব সুতা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে কিনে এনে শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করছেন। একটি হ্যান্ড মেশিন থেকে শুরু করে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার হ্যান্ড ও পাওয়ার মেশিন নিয়ে এসব কারখানায় বছরে ৭-৮ মাস কাজ চলে। কোনো কোনো বড় কারখানাতে আবার সারাবছরই কাজ চলে। এসব কারখানায় ৫ থেকে ১০০ পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। মাফলার ১০০, সোয়েটার দেড়শ' ও মোজা তৈরির জন্য ৭০ টাকা করে শ্রমিকরা মজুরি পেয়ে থাকে। তাদের সহযোগী হিসেবে আবার শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও প্রতিদিন ৭০-৮০ টাকা করে রোজগার করেন। এ এলাকায় বর্তমানে দেড় থেকে ২০০ স্বয়ংক্রিয় মেশিন নিয়ে ছোট-বড় প্রায় ২ হাজার শীতবস্ত্র তৈরির হোসিয়ারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এখানে তৈরি শীতবস্ত্র সোয়েটার, কার্ডিগান, বেবিসেট, মোজা, মাফলার, টুপি দেশের চাহিদার তিন-চতুর্থাংশ মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কোচাশহর বন্দর থেকে উত্তর দিকে একটি পিচঢালা পথসহ আঁকাবাঁকা মেঠোপথের দু'ধারে সবুজ শ্যামল গাছগাছালি ঘেরা গ্রামগুলোর প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দিন-রাত হোসিয়ারি মেশিনের খুটখাট ছন্দময় শব্দ, চরকায় সুতা তোলা, সুতা রঙ করা, বোতাম লাগানো, প্যাক করা আর বাড়ির গৃহবধূদের হাতে টুপি বানানোর এক অপূর্ব দৃশ্য যে কাউকে অভিভূত করবে। চোখে পড়বে সড়কের দু'পাশে অসংখ্য ছোট-বড় দোকানে এখানকার তৈরি রঙবেরঙের বিভিন্ন শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। এ ছাড়া নয়ারহাটে এসব শীতবস্ত্রের হাট বসে প্রতিদিন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এসব দোকানে ঘুরে পছন্দমতো শীতবস্ত্র ক্রয় করেন। শীতের আগমনের শুরু থেকেই পাইকার, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কর্মচারীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কোচাশহরসহ আশপাশের এলাকা।
গোবিন্দগঞ্জ শহর থেকে সোজা পূর্ব দিকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোচাশহর ইউনিয়ন। এর পাশাপাশি মহিমাগঞ্জ, শালমারা, শিবপুরসহ গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই গড়ে উঠেছে এ শীতবস্ত্র তৈরির হোসিয়ারি কারখানা। সবুজ ছায়াঘেরা পেপুলিয়া, ভাগগাড়ী, শক্তিপুর, ধর্মা, সিঙ্গা, বাইচপুর, মুকুন্দপুর, সুধারধাপ, রতনপুর, ছয়ঘড়িয়া, ধারাইকান্দি, নয়ারহাট, কুমিড়াডাঙ্গা, উলিপুর, পুনতাইর, জগদীশপুর, বনগ্রাম, মহিমাগঞ্জ, খিলিবাড়ী, আরজি সাহাপুর, পাঠানপাড়া, মীরুপারা, ফতুপাড়া, শ্রীমুখ, বালুয়া, মালংচা, সোনারপাড়াসহ প্রায় ৫০টি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই গত তিন দশকে প্রায় ২০ হাজার মেশিন নিয়ে ২ হাজার শীতবস্ত্র তৈরির হোসিয়ারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে এখানে কে আলী হোসিয়ারি নামে একটি সোয়েটার কারখানাও স্থাপিত হয়েছে। সেখানে প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করে। এসব কারখানায় দিন-রাত তৈরি হচ্ছে সোয়েটার, মাফলার, কার্ডিগান, মোজা, টুপি, বেবিসেটসহ বিভিন্ন শীতবস্ত্র। এসব কারখানায় তৈরি শীতবস্ত্র দেশের উৎপাদিত শীতবস্ত্রের তিন-চতুর্থাংশ। বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এলাকায় গড়ে উঠেছে শিল্প শহর। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। এসব কারখানায় উৎপাদিত সোয়েটার, মাফলার, কার্ডিগান, হাতমোজা, টুপি, বেবিসেটসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পঞ্চগড়, নিলফামারী, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, ফরিদপুর, পাবনা, টাঙ্গাইলসহ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কয়েক ব্যবসায়ী আবার এ কোচাশহরে ২০ লাখ থেকে কোটি টাকা লগি্ন করে পুরো মৌসুমের তৈরি এসব শীতবস্ত্র কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি করছেন। এ এলাকার শত শত কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ কারখানাগুলোতে কাজসহ শীতবস্ত্র কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী, স্কুল-কলেজপড়ূয়া ছেলেমেয়েসহ বাড়ির গৃহবধূরাও বাড়ির কাজের ফাঁকে, অবসর সময়ে সুই-সুতা দিয়ে হাতমোজা, টুপি, সোয়েটার, সুতায় রঙ, লাটিমে সুতা তোলা, মাফলার ইস্ত্রি, প্যাকিং করা প্রভৃতি কাজ করে আলাদা অর্থ উপার্জন করছেন। এক কথায়, এ এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ হোসিয়ারি শিল্পের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। কোচাশহরে তৈরি এসব শীতবস্ত্র তৈরির প্রধান উপাদান সুতার সিংহভাগই আমদানি করতে হয় তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারি শিল্পের ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে এসব সুতা আমদানি করে থাকেন। কোচাশহরের ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত এসব সুতা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে কিনে এনে শীতবস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করছেন। একটি হ্যান্ড মেশিন থেকে শুরু করে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার হ্যান্ড ও পাওয়ার মেশিন নিয়ে এসব কারখানায় বছরে ৭-৮ মাস কাজ চলে। কোনো কোনো বড় কারখানাতে আবার সারাবছরই কাজ চলে। এসব কারখানায় ৫ থেকে ১০০ পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। মাফলার ১০০, সোয়েটার দেড়শ' ও মোজা তৈরির জন্য ৭০ টাকা করে শ্রমিকরা মজুরি পেয়ে থাকে। তাদের সহযোগী হিসেবে আবার শিশু, কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও প্রতিদিন ৭০-৮০ টাকা করে রোজগার করেন। এ এলাকায় বর্তমানে দেড় থেকে ২০০ স্বয়ংক্রিয় মেশিন নিয়ে ছোট-বড় প্রায় ২ হাজার শীতবস্ত্র তৈরির হোসিয়ারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এখানে তৈরি শীতবস্ত্র সোয়েটার, কার্ডিগান, বেবিসেট, মোজা, মাফলার, টুপি দেশের চাহিদার তিন-চতুর্থাংশ মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কোচাশহর বন্দর থেকে উত্তর দিকে একটি পিচঢালা পথসহ আঁকাবাঁকা মেঠোপথের দু'ধারে সবুজ শ্যামল গাছগাছালি ঘেরা গ্রামগুলোর প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দিন-রাত হোসিয়ারি মেশিনের খুটখাট ছন্দময় শব্দ, চরকায় সুতা তোলা, সুতা রঙ করা, বোতাম লাগানো, প্যাক করা আর বাড়ির গৃহবধূদের হাতে টুপি বানানোর এক অপূর্ব দৃশ্য যে কাউকে অভিভূত করবে। চোখে পড়বে সড়কের দু'পাশে অসংখ্য ছোট-বড় দোকানে এখানকার তৈরি রঙবেরঙের বিভিন্ন শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। এ ছাড়া নয়ারহাটে এসব শীতবস্ত্রের হাট বসে প্রতিদিন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এসব দোকানে ঘুরে পছন্দমতো শীতবস্ত্র ক্রয় করেন। শীতের আগমনের শুরু থেকেই পাইকার, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কর্মচারীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কোচাশহরসহ আশপাশের এলাকা।
No comments