রিমান্ডে প্রেমিক রেহান-আদৃতা হত্যার দায় থেকে বাঁচতে আইনের বই পড়ি by আতাউর রহমান
'আদৃতাকে হত্যার পর চিন্তা করলাম, যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন আমাকে বাঁচতে হবে। তাই শক্ত হলাম। আইনের ছাত্র হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের দায় থেকে বাঁচতে আইনের বই পড়া শুরু করলাম। আইনের ফাঁকগুলো খুঁজলাম। তাই থানা পুলিশ দু'দফা জিজ্ঞাসাবাদ করলেও তাদের সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ পড়েছিলাম।'মডেলকন্যা তাহিয়া তাবাসসুম আদৃতা হত্যায় জড়িত প্রেমিক আশিস কর্মকার ওরফে রেহান গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দেন।
তিনদিনের রিমান্ডের প্রথম দিন গতকাল শনিবার রেহানকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো সময় রেহান স্বাভাবিক ছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা জানান, মডেলকন্যা আদৃতার সঙ্গে পরিচয়, প্রেম, একসঙ্গে বসবাস থেকে শুরু করে হত্যা, সবকিছুই অকপটে স্বীকার করেছেন রেহান। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, আদৃতা তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছেন। আদৃতা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছিল জানিয়ে রেহান জানান, 'আমি এ ধরনের উগ্র মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না।' বিয়ের চাপ দেওয়াতে আদৃতাকে হত্যা করা হয়েছে_ গোয়েন্দাদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেহান জানান, আদৃতাকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। তবে সেদিন আদৃতাই ক্ষেত্রটা তৈরি করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রেহান জানান, আদৃতাকে হত্যার পর তাকে যাতে কেউ সন্দেহ না করে এ জন্য পালিয়ে যাননি। আইনের ছাত্র হিসেবে বিভিন্ন ধারা মুখস্থ থাকায় হত্যার পর আদৃতার শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন, যাতে পুলিশ ধারণা করে, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সব আলামতই মুছে ফেলেন। হত্যাকাণ্ডের পুরো মোটিভই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ দু'দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেও হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি আন্দাজ করতে পারেনি।
আদৃতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদারক কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রেহান ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ। তার মন খুব শক্ত। একটি মেয়েকে হত্যার পর সামান্যতম বিচলিত হননি তিনি। উপরন্তু হত্যার দায় থেকে বাঁচার জন্য নানা নাটক সাজিয়েছেন। আইনের বই পড়ে বাঁচার পথ খুঁজেছেন। তবে গোয়েন্দাদের কৌশলের কাছে তার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ডিবি কর্মকর্তারা জানান, মডেলকন্যা আদৃতার সঙ্গে পরিচয়, প্রেম, একসঙ্গে বসবাস থেকে শুরু করে হত্যা, সবকিছুই অকপটে স্বীকার করেছেন রেহান। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, আদৃতা তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তার জীবনটা তছনছ করে দিয়েছেন। আদৃতা তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেছিল জানিয়ে রেহান জানান, 'আমি এ ধরনের উগ্র মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না।' বিয়ের চাপ দেওয়াতে আদৃতাকে হত্যা করা হয়েছে_ গোয়েন্দাদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেহান জানান, আদৃতাকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। তবে সেদিন আদৃতাই ক্ষেত্রটা তৈরি করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রেহান জানান, আদৃতাকে হত্যার পর তাকে যাতে কেউ সন্দেহ না করে এ জন্য পালিয়ে যাননি। আইনের ছাত্র হিসেবে বিভিন্ন ধারা মুখস্থ থাকায় হত্যার পর আদৃতার শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন, যাতে পুলিশ ধারণা করে, ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সব আলামতই মুছে ফেলেন। হত্যাকাণ্ডের পুরো মোটিভই ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ফলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ দু'দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেও হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়টি আন্দাজ করতে পারেনি।
আদৃতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদারক কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, রেহান ধূর্ত প্রকৃতির মানুষ। তার মন খুব শক্ত। একটি মেয়েকে হত্যার পর সামান্যতম বিচলিত হননি তিনি। উপরন্তু হত্যার দায় থেকে বাঁচার জন্য নানা নাটক সাজিয়েছেন। আইনের বই পড়ে বাঁচার পথ খুঁজেছেন। তবে গোয়েন্দাদের কৌশলের কাছে তার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
No comments