চামড়া পাচারের আশঙ্কা গৌরনদীতে by মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া,
বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও উজিরপুরের চামড়া ব্যবসায়ীরা কোরবানির চামড়া নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন। চামড়ার চাহিদা না থাকায় ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে গেছে। তাঁদের অভিযোগ, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের চামড়া ক্রয়ের অভিনব কৌশলে চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভারতে চামড়া পাচারের কাজে নেমেছেন।গৌরনদীর টরকী বন্দরের হাওলাদার চামড়ার আড়তের মালিক ফিরোজ হাওলাদারসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সারা বছর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে প্রতিবছরই অনেক টাকা বকেয়া থাকে ট্যানারি মালিকদের কাছে।
কিন্তু কোরবানির ঈদে ট্যানারি মালিকরা ব্যাংক ঋণ পেয়ে বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি চামড়া ক্রয়ের জন্য অগ্রিম টাকা ব্যবসায়ীদের দাদন দিতেন। যুগ যুগ ধরে বিশ্বস্ততার সঙ্গে এ পদ্ধতিতে চামড়া ব্যবসা চললেও এবার ট্যানারি মালিকদের ভিন্নরূপ দেখেছেন গৌরনদীর ব্যবসায়ীরা। অগ্রিম টাকা দেওয়া তো দূরের কথা, বকেয়া পরিশোধ না করেই ট্যানারি মালিকরা সরাসরি বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চামড়া ক্রয়ের জন্য নিজস্ব কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে বিপুল চামড়া সংগ্রহ করেন। ফলে পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীরা পড়েন বিপাকে। আগৈলঝাড়ার চামড়া ব্যবসায়ী মুকুল শরীফ ও সাদ্দাম হোসেনের অভিযোগ_ট্যানারি মালিকরা কোরবানির মৌসুমে ব্যাংক লোন পেলেও এখানকার চামড়া ব্যবসায়ীরা কোনো ব্যাংক লোন পান না। সারা বছরের চামড়া সরবরাহের জন্য বিপুল টাকা আটকা পড়েছে ট্যানারি মালিকদের কাছে। একদিকে পুঁজিসংকট অপরদিকে ট্যানারি মালিকদের সরাসরি চামড়া সংগ্রহের কৌশলের কাছে এখানকার ব্যবসায়ীদের হাত গুটিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে তাঁরা জানান।
উজিরপুরের চামড়া ব্যবসায়ী স্বজল হোসেন জানান, পেশাদার চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শত শত মানুষ সারা বছর ব্যস্ত থাকলেও এবার কোরবানির মৌসুমে তারা একেবারেই বেকার হয়ে গেলেন।
উজিরপুরের চামড়া ব্যবসায়ী স্বজল হোসেন জানান, পেশাদার চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত শত শত মানুষ সারা বছর ব্যস্ত থাকলেও এবার কোরবানির মৌসুমে তারা একেবারেই বেকার হয়ে গেলেন।
No comments