রঙ্গব্যঙ্গ-গোলাম আযমের কাল্পনিক সাক্ষাৎকার by মোস্তফা কামাল
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমকে গ্রেপ্তারের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। একসময় গোলাম আযমের বিচারের জন্য গণ-আদালত গঠন করা হয়েছিল। সেই আদালতে তাঁর ফাঁসির আদেশও হয়েছিল। প্রতীকী সেই আদেশে গণমানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছিল। এখন আবার গোলাম আযম আলোচনায়। তাঁর কয়েকজন সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। গোলাম আযমের গ্রেপ্তার নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা শোনা যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে আমরা গোলাম আযমের একটি কাল্পনিক সাক্ষাৎকার এখানে তুলে ধরছি।
প্রশ্ন : আপনি কেমন আছেন?
গোলাম আযম : শরীরটা ভালো নেই। বয়স তো কম হলো না! মনটাও ভীষণ খারাপ।
প্রশ্ন : মন খারাপ কেন?
গোলাম আযম : বুড়ো বয়সে মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছি। এত মানসিক চাপ নিতে পারছি না। এখন মরে যেতে ইচ্ছা করে। আত্মহত্যা যদি পাপ না হতো তাহলে তা-ই করতাম!
প্রশ্ন : বলেন কী!
গোলাম আযম : আর বলবেন না, প্রতিদিনই পত্রিকায় খবর আসে, আমাকে আজকালের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ আমার বাড়ির সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। গোয়েন্দারা নানা রকম ঝামেলা করে। কী যে বিপদে আছি!
প্রশ্ন : গোয়েন্দারা কী ধরনের ঝামেলা করে?
গোলাম আযম : কোথাও যেতে দেয় না। সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখে। কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না। হাঁটতে যাব, সেখানেও গোয়েন্দারা গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে বাড়ির আশপাশে গোয়েন্দাদের আনাগোনা আরো বাড়ে। তাদের যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারি না। এক ধরনের গৃহবন্দি হয়ে আছি। বলতে পারেন, এভাবে বাসায় থাকা আর জেলে থাকা সমান কথা।
প্রশ্ন : মানবতাবিরোধী অপরাধবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে আপনার কর্মকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। তাতে নাকি তারা অনেক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে।
গোলাম আযম : কী তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তা আমি জানি না। তবে আমি আগেও বলেছি, এখনো বলি_তখন এক পক্ষ পাকিস্তান ভেঙে দুই খণ্ড করতে চেয়েছিল, আমরা অখণ্ড পাকিস্তান চেয়েছিলাম। সেটা ছিল রাজনৈতিক লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমরা মানে জামায়াত হেরে গেছে। আওয়ামী লীগ জিতেছে। সেটা ৪০ বছর আগের কথা। এত বছর আগে কে কী করেছিল, কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কোনো দরকার আছে? কে রাজাকার, আলবদর, আর কে মুক্তিযোদ্ধা_এসব নিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই এসব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এটাও তাদের রাজনৈতিক খেলা। এ জন্যই আওয়ামী লীগকে দেখতে পারি না; বুঝলেন! তারা ইতিহাস নিয়ে বড় বেশি নাড়াচাড়া করে। তারা নাকি দিন বদল করবে। কিভাবে করবে? তারা তো আগের চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আরে, দিন বদল করতে হলে সবাইকে নিয়েই তো করতে হবে নাকি! দেশে আমাদের লোকজন কম আছে? আপনি হিসাব করে দেখেন, কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোটার আমাদের ভোট দেয়। তাদের পরিবার-পরিজন আছে। তাহলে আমাদের পক্ষে দেশের লোকসংখ্যার আনুপাতিক হার কত? তা ছাড়া আমাদের সঙ্গে সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশই আছে। সরি সরি, এসব দেশের নাম লিখবেন না। আমি আবেগের ছলে নাম বলে ফেলেছি।
প্রশ্ন : ওই সব দেশের আপত্তির কারণেই কি আপনার গ্রেপ্তার আটকে গেছে?
গোলাম আযম : জানি না। তবে আমাদের তো কিছু বন্ধুবান্ধব আছেই। আমার কিছু হলে তারা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? নিশ্চয়ই তারা ভূমিকা রাখবে। আওয়ামী লীগকে নাকানিচুবানি খাইয়ে তারপর ছাড়বে। ৪০ বছরে আমাদের শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। ইচ্ছা করলেই উপড়ে ফেলা যাবে না।
প্রশ্ন : তার মানে আপনাদের বিচার করাও সম্ভব হবে না!
গোলাম আযম : (হেসে) কিসের বিচার, কার বিচার? এত সহজ? সময় আসুক, কে কার বিচার করবে তা দেখা যাবে। সরকার বারবার গ্রেপ্তারের ভয় দেখাচ্ছে। গ্রেপ্তার করলেই তো পারে। বসে আছে কেন? সরকার জানে, আমাকে গ্রেপ্তার করলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে। সেই আগুন নেভানোর ক্ষমতা সরকারেরও নেই।
প্রশ্ন : আপনি জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি সমর্থন করেন?
গোলাম আযম : সমর্থন না করে উপায় কী? আপনি যদি গায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চান, তাহলে আমি কি চুপ করে থাকব?
প্রশ্ন : অভিযোগ আছে, জামায়াতের লোকরা আওয়ামী লীগে ঢুকে যাচ্ছে?
গোলাম আযম : এটা তো আমাদের কৌশল। আমাদের দলে সার্টিফিকেটধারী কিছু মুক্তিযোদ্ধা আছে! তাদের আওয়ামী লীগে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটিতেও আমাদের লোক ঢুকিয়েছি। কাজেই আমাদের বিচার করা অত সহজ হবে না। তাতে আওয়ামী লীগই নিঃশেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : একাত্তরে আপনারা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। মা-বোনের ইজ্জত লুটেছিলেন!
গোলাম আযম : কে দেখেছে? আপনি দেখেছেন? সব বানানো কথা। গালগল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। যুদ্ধের সময় কত কিছুই তো হয়! তখন পাকিস্তানের লাখ লাখ সৈন্য এ দেশে এসেছিল। তারা কে কী করেছিল তা মনিটর করার দায়িত্ব তো আমাদের ছিল না! তা ছাড়া আমরা কেনই বা মনিটর করব?
প্রশ্ন : আপনারা শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদরবাহিনী গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সদস্যরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। আর ওইসব কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আপনারা?
গোলাম আযম : সারা দেশে তখন গণ্ডগোল চলছিল। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তি কমিটি করেছিলাম। সেটা যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের রাজনৈতিক ভুল হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। রাজাকার-আলবদর বাহিনীর ক্ষেত্রে আমার একই কথা। তার খেসারত তো আমরা দিয়েছি। এখন আমাদের নিয়ে এত টানাহেঁচড়া কেন? পারলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুক। আমাদের রাজনৈতিক দর্শন যদি পাবলিকের কাছে ভালো না লাগে তাহলে আমাদের ছুড়ে ফেলবে। অথচ আমরা টিকে আছি। আমাদের ভোটব্যাংক বাড়ছে। এখন না হয় একটু বিপদে আছি। কিন্তু বিপদ কাটতে কতক্ষণ!
প্রশ্ন : আপনি কি মনে করেন বিপদ কেটে যাবে?
গোলাম আযম : অবশ্যই কেটে যাবে এবং এই বিপদ আওয়ামী লীগের ঘাড়ে গিয়ে চাপবে। আপনি লিখে রাখতে পারেন। একাত্তরে যুদ্ধে হারলেও দেশ কিন্তু আমরাই চালাচ্ছি। বুঝতে পারছেন! হা হা হা!
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
প্রশ্ন : আপনি কেমন আছেন?
গোলাম আযম : শরীরটা ভালো নেই। বয়স তো কম হলো না! মনটাও ভীষণ খারাপ।
প্রশ্ন : মন খারাপ কেন?
গোলাম আযম : বুড়ো বয়সে মানসিক নিপীড়নের শিকার হয়েছি। এত মানসিক চাপ নিতে পারছি না। এখন মরে যেতে ইচ্ছা করে। আত্মহত্যা যদি পাপ না হতো তাহলে তা-ই করতাম!
প্রশ্ন : বলেন কী!
গোলাম আযম : আর বলবেন না, প্রতিদিনই পত্রিকায় খবর আসে, আমাকে আজকালের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশ আমার বাড়ির সামনে এসে ঘোরাঘুরি করে। গোয়েন্দারা নানা রকম ঝামেলা করে। কী যে বিপদে আছি!
প্রশ্ন : গোয়েন্দারা কী ধরনের ঝামেলা করে?
গোলাম আযম : কোথাও যেতে দেয় না। সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখে। কোথাও বেড়াতে যেতে পারি না। হাঁটতে যাব, সেখানেও গোয়েন্দারা গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। রাতে বাড়ির আশপাশে গোয়েন্দাদের আনাগোনা আরো বাড়ে। তাদের যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারি না। এক ধরনের গৃহবন্দি হয়ে আছি। বলতে পারেন, এভাবে বাসায় থাকা আর জেলে থাকা সমান কথা।
প্রশ্ন : মানবতাবিরোধী অপরাধবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল একাত্তরে আপনার কর্মকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করেছে। তাতে নাকি তারা অনেক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে।
গোলাম আযম : কী তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তা আমি জানি না। তবে আমি আগেও বলেছি, এখনো বলি_তখন এক পক্ষ পাকিস্তান ভেঙে দুই খণ্ড করতে চেয়েছিল, আমরা অখণ্ড পাকিস্তান চেয়েছিলাম। সেটা ছিল রাজনৈতিক লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমরা মানে জামায়াত হেরে গেছে। আওয়ামী লীগ জিতেছে। সেটা ৪০ বছর আগের কথা। এত বছর আগে কে কী করেছিল, কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কোনো দরকার আছে? কে রাজাকার, আলবদর, আর কে মুক্তিযোদ্ধা_এসব নিয়ে বিতর্ক করে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই এসব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এটাও তাদের রাজনৈতিক খেলা। এ জন্যই আওয়ামী লীগকে দেখতে পারি না; বুঝলেন! তারা ইতিহাস নিয়ে বড় বেশি নাড়াচাড়া করে। তারা নাকি দিন বদল করবে। কিভাবে করবে? তারা তো আগের চক্রেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আরে, দিন বদল করতে হলে সবাইকে নিয়েই তো করতে হবে নাকি! দেশে আমাদের লোকজন কম আছে? আপনি হিসাব করে দেখেন, কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোটার আমাদের ভোট দেয়। তাদের পরিবার-পরিজন আছে। তাহলে আমাদের পক্ষে দেশের লোকসংখ্যার আনুপাতিক হার কত? তা ছাড়া আমাদের সঙ্গে সৌদি আরব, পাকিস্তানসহ আরো অনেক দেশই আছে। সরি সরি, এসব দেশের নাম লিখবেন না। আমি আবেগের ছলে নাম বলে ফেলেছি।
প্রশ্ন : ওই সব দেশের আপত্তির কারণেই কি আপনার গ্রেপ্তার আটকে গেছে?
গোলাম আযম : জানি না। তবে আমাদের তো কিছু বন্ধুবান্ধব আছেই। আমার কিছু হলে তারা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? নিশ্চয়ই তারা ভূমিকা রাখবে। আওয়ামী লীগকে নাকানিচুবানি খাইয়ে তারপর ছাড়বে। ৪০ বছরে আমাদের শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে। ইচ্ছা করলেই উপড়ে ফেলা যাবে না।
প্রশ্ন : তার মানে আপনাদের বিচার করাও সম্ভব হবে না!
গোলাম আযম : (হেসে) কিসের বিচার, কার বিচার? এত সহজ? সময় আসুক, কে কার বিচার করবে তা দেখা যাবে। সরকার বারবার গ্রেপ্তারের ভয় দেখাচ্ছে। গ্রেপ্তার করলেই তো পারে। বসে আছে কেন? সরকার জানে, আমাকে গ্রেপ্তার করলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে। সেই আগুন নেভানোর ক্ষমতা সরকারেরও নেই।
প্রশ্ন : আপনি জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি সমর্থন করেন?
গোলাম আযম : সমর্থন না করে উপায় কী? আপনি যদি গায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চান, তাহলে আমি কি চুপ করে থাকব?
প্রশ্ন : অভিযোগ আছে, জামায়াতের লোকরা আওয়ামী লীগে ঢুকে যাচ্ছে?
গোলাম আযম : এটা তো আমাদের কৌশল। আমাদের দলে সার্টিফিকেটধারী কিছু মুক্তিযোদ্ধা আছে! তাদের আওয়ামী লীগে ঢুকিয়ে দিয়েছি। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটিতেও আমাদের লোক ঢুকিয়েছি। কাজেই আমাদের বিচার করা অত সহজ হবে না। তাতে আওয়ামী লীগই নিঃশেষ হয়ে যাবে।
প্রশ্ন : একাত্তরে আপনারা নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। মা-বোনের ইজ্জত লুটেছিলেন!
গোলাম আযম : কে দেখেছে? আপনি দেখেছেন? সব বানানো কথা। গালগল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। যুদ্ধের সময় কত কিছুই তো হয়! তখন পাকিস্তানের লাখ লাখ সৈন্য এ দেশে এসেছিল। তারা কে কী করেছিল তা মনিটর করার দায়িত্ব তো আমাদের ছিল না! তা ছাড়া আমরা কেনই বা মনিটর করব?
প্রশ্ন : আপনারা শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদরবাহিনী গঠন করেছিলেন। সেই কমিটির সদস্যরা নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। আর ওইসব কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আপনারা?
গোলাম আযম : সারা দেশে তখন গণ্ডগোল চলছিল। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তি কমিটি করেছিলাম। সেটা যদি ভুল হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের রাজনৈতিক ভুল হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। রাজাকার-আলবদর বাহিনীর ক্ষেত্রে আমার একই কথা। তার খেসারত তো আমরা দিয়েছি। এখন আমাদের নিয়ে এত টানাহেঁচড়া কেন? পারলে আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুক। আমাদের রাজনৈতিক দর্শন যদি পাবলিকের কাছে ভালো না লাগে তাহলে আমাদের ছুড়ে ফেলবে। অথচ আমরা টিকে আছি। আমাদের ভোটব্যাংক বাড়ছে। এখন না হয় একটু বিপদে আছি। কিন্তু বিপদ কাটতে কতক্ষণ!
প্রশ্ন : আপনি কি মনে করেন বিপদ কেটে যাবে?
গোলাম আযম : অবশ্যই কেটে যাবে এবং এই বিপদ আওয়ামী লীগের ঘাড়ে গিয়ে চাপবে। আপনি লিখে রাখতে পারেন। একাত্তরে যুদ্ধে হারলেও দেশ কিন্তু আমরাই চালাচ্ছি। বুঝতে পারছেন! হা হা হা!
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
No comments