সবজি বিপ্লবে গৃহবধূরা by ভবতোষ রায় মনা
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গৃহবধূরা সংসারের পাশাপাশি বাড়ির পাশের পতিত জমিতে সবজি চাষ করে বাড়তি টাকা আয় করছেন এবং স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। তারা চাষ করছেন বেগুন, লালশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, জালি কুমড়া, লাউ, পুঁটিশাক, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন রকম সবজি। সেই সবজি বাজারে বিক্রি করে তাদের হাতে এখন প্রচুর টাকা।
ফুলছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসী বালুচর, নীলকুঠি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন রকমের সবজির বাগান।
ফুলছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসী বালুচর, নীলকুঠি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন রকমের সবজির বাগান।
লাউ, জালি কুমড়া ও শিমের গাছ ঘরের চালে চালে শোভা পাচ্ছে। নীলকুঠি গ্রামের আরতি রানী দাস জানান, সংসারের পাশাপাশি সবজি চাষ করে নিজের হাতখরচও হচ্ছে এবং সংসারে অভাবটাও দূর করা যাচ্ছে। ওই গৃহবধূ আরও জানান, বারো মাসেই বাড়ির পাশে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করছেন তিনি। কখনও বেগুন, শসা, লালশাক, পুঁইশাক আবার কখনও ডাঁটাশাক, পুঁটিশাক আবাদ করছেন।
উপজেলার বাউশী বালুচর গ্রামের নাছিমা বেগম বলেন, 'নিজে চাষ করছি, বিষমুক্ত সবজি খাচ্ছি, পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করছি। বাড়িতে সবজি চাষ করতে তেমন খরচ হয় না। তবে লাভবান হওয়া যায়। প্রতিকেজি শাক ৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আর বাড়ি থেকে পাইকারি নিচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা প্রতি কেজি। এর পরও প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকার শাক বিক্রি করছি। এতে দেখা যাচ্ছে শাক খাওয়াও হচ্ছে, আয়ও হচ্ছে।' সবজি বিক্রি করার জন্য আর বাজারে যেতে হয় না গৃহবধূদের। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবজি কিনে আনছেন বেপারীরা। তারা সকাল হলেই ওই গ্রামগুলোতে বাইসাইকেলযোগে সবজি কিনতে যান। ওই সব সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার পরও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। সবজি বেপারি ভেজালু শেখ জানান, নীলকুঠি গ্রামের প্রত্যেক গৃহবধূ সবজি চাষ করেছেন। তাদের বাড়ি থেকে সবজি প্রতি কেজি ৩ থেকে ৫ টাকাতেই কেনা যায়। এই সবজিই বাজারে নিয়ে ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করা যায়।
চর গলনা গ্রামের আরেক সবজিচাষি চান্দু মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০) বলেন, গত বছর ফুলছড়ি গ্রামের শেফালীর সবজির আবাদ দেখে এবার আমি বাড়ির আশপাশ ছাড়াও স্বামীর ২০ শতক জমিতে শিম, বেগুন, টমেটো, বরবটিসহ বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেছি। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারছি। আগামী বছর সবজি চাষের পাশাপাশি মরিচ ও পেঁয়াজ আবাদ করবেন বলে মরিয়ম জানালেন। গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের গৃহবধূ সবজিচাষী আলেয়া বেগম বলেন, 'হামরা কয়েক বছর ধরে শাগের (সবজি) আবাদ করে লাভবান হয়েছি। হামাগরে বারোমাসি সবজির আবাদ দেখি বহু গৃহবধূ সবজি চাষে ঝুঁকি পড়িছে।' জমিতে শ্রম দিয়ে সবজি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানালেন আলেয়া বেগম।
এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিয়া পারভীন সাকি সমকালকে জানান, উপজেলার ওই সব গৃহবধূ সবজিচাষিকে সরকারিভাবে বীজ কিংবা আর্থিক সহযোগিতা দিলে তারা আরও বেশি পরিমাণে শাকসবজি উৎপাদন করতে পারবেন। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে তারা সবজি বাইরেও সরবরাহ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইউসুফ রানা মণ্ডল জানান, উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক কৃষক বেগুন, শিম, জালি কুমড়া, টমেটোসহ বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেছেন। এ ছাড়া বাড়ির গৃহবধূরাও বাড়িতে বাড়িতে সবজি চাষ করে সংসারের অভাব দূর করতে পেরেছেন। পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে তারা আজ স্বাবলম্বী।
উপজেলার বাউশী বালুচর গ্রামের নাছিমা বেগম বলেন, 'নিজে চাষ করছি, বিষমুক্ত সবজি খাচ্ছি, পাশাপাশি বাজারেও বিক্রি করছি। বাড়িতে সবজি চাষ করতে তেমন খরচ হয় না। তবে লাভবান হওয়া যায়। প্রতিকেজি শাক ৮ থেকে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। আর বাড়ি থেকে পাইকারি নিচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা প্রতি কেজি। এর পরও প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকার শাক বিক্রি করছি। এতে দেখা যাচ্ছে শাক খাওয়াও হচ্ছে, আয়ও হচ্ছে।' সবজি বিক্রি করার জন্য আর বাজারে যেতে হয় না গৃহবধূদের। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবজি কিনে আনছেন বেপারীরা। তারা সকাল হলেই ওই গ্রামগুলোতে বাইসাইকেলযোগে সবজি কিনতে যান। ওই সব সবজি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার পরও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। সবজি বেপারি ভেজালু শেখ জানান, নীলকুঠি গ্রামের প্রত্যেক গৃহবধূ সবজি চাষ করেছেন। তাদের বাড়ি থেকে সবজি প্রতি কেজি ৩ থেকে ৫ টাকাতেই কেনা যায়। এই সবজিই বাজারে নিয়ে ৮ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করা যায়।
চর গলনা গ্রামের আরেক সবজিচাষি চান্দু মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩০) বলেন, গত বছর ফুলছড়ি গ্রামের শেফালীর সবজির আবাদ দেখে এবার আমি বাড়ির আশপাশ ছাড়াও স্বামীর ২০ শতক জমিতে শিম, বেগুন, টমেটো, বরবটিসহ বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেছি। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার সবজি বিক্রি করতে পারছি। আগামী বছর সবজি চাষের পাশাপাশি মরিচ ও পেঁয়াজ আবাদ করবেন বলে মরিয়ম জানালেন। গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের গৃহবধূ সবজিচাষী আলেয়া বেগম বলেন, 'হামরা কয়েক বছর ধরে শাগের (সবজি) আবাদ করে লাভবান হয়েছি। হামাগরে বারোমাসি সবজির আবাদ দেখি বহু গৃহবধূ সবজি চাষে ঝুঁকি পড়িছে।' জমিতে শ্রম দিয়ে সবজি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বলে জানালেন আলেয়া বেগম।
এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিয়া পারভীন সাকি সমকালকে জানান, উপজেলার ওই সব গৃহবধূ সবজিচাষিকে সরকারিভাবে বীজ কিংবা আর্থিক সহযোগিতা দিলে তারা আরও বেশি পরিমাণে শাকসবজি উৎপাদন করতে পারবেন। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে তারা সবজি বাইরেও সরবরাহ করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইউসুফ রানা মণ্ডল জানান, উপজেলায় ৩০০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক কৃষক বেগুন, শিম, জালি কুমড়া, টমেটোসহ বিভিন্ন শাকসবজির আবাদ করেছেন। এ ছাড়া বাড়ির গৃহবধূরাও বাড়িতে বাড়িতে সবজি চাষ করে সংসারের অভাব দূর করতে পেরেছেন। পাশাপাশি সবজি বিক্রি করে তারা আজ স্বাবলম্বী।
No comments