চিঠিপত্র-দিবা কোচ সার্ভিস পুনরায় চালু করুন

সুন্দরবন সংলগ্ন জনপদের মানুষকে সিডর, আইলাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। শুধু তাই নয়, জীবনযুদ্ধে ছড়িয়ে পড়তে হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এমনই হাজারো সমস্যা সঙ্গে নিয়ে বেঁচে আছে এ অঞ্চলের মানুষ। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, দেখার যেন কেউ নেই। এ অবস্থায় পরিবহন মালিক সমিতি সুন্দরবন সংলগ্ন সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের কথা বিবেচনা করে প্রায় তিন যুগ ধরে দিবা-নৈশ কোচ সার্ভিস ব্যবস্থা চালু রেখেছে। যাত্রী চলাচলে কিছুটা নিরাপদ মনে করে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকার যাত্রীরাও এই পথে চলাচল করে। ঢাকা-চট্টগ্রামের উদ্দেশে এই পথে প্রতিদিন ৮-১০টি পরিবহন গাড়ি চলাচল করে।


হাজারো সমস্যার মাঝেও যাতায়াতে কিছুটা সুখ অনুভব করেছিল দক্ষিণ-পশ্চিম জনপদের সাধারণ মানুষ। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় দিবা কোচ সার্ভিস, আর দুর্ভোগ নেমে আসে সুন্দরবন সংলগ্ন জীবনসংগ্রামী সাধারণ মানুষের ওপর। আমরা আশা করি সুন্দরবন সংলগ্ন জনমানুষের জীবন যাপনের কথা বিবেচনা করে অনিয়মের রুদ্ধদ্বার শিগগির খুলে যাবে। পাশাপাশি আমরা ফিরে পাব মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা রুটে দিবা কোচ সার্ভিস।
মোঃ ইসমাইল হোসেন
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট

ট্রানজিট সুবিধা
ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের আগে সরকারকে অবশ্যই চিন্তা করা উচিত, এর ফলে এদেশের ভূখণ্ডের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হবে কি-না। তাই যে অঞ্চল দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করা হবে সেখানকার মাটি, জনগণ, পরিবেশ এবং অবকাঠামোর যেন কোন ক্ষতি না হয় তাতে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর এই সুবিধা ভারত সরকারকে দেওয়া হলে কোনোভাবেই তা বিনা শুল্কে দেওয়া যাবে না। এখানে একটি উদাহরণ আনতে হচ্ছে, আমাদের যমুনা সেতু দিয়ে কোনো স্থানে যেতে হলে সেটা ব্যবহার বাবদ বাংলাদেশি হয়েও আমরা সরকারকে টোল/ফি দিচ্ছি। কিন্তু ভিনদেশি হয়ে ভারত কেন আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার বাবদ ফি দেবে না? ফি না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এখন অনেক ব্যক্তিই ট্রানজিটের পক্ষে, আবার অনেকে এর বিপক্ষে মত দিচ্ছেন। তবে প্রশ্ন, ট্রানজিট ইস্যুর আসল সমাধান কোনটি? সরকার ও জনগণ যাবে কোনদিকে? দেশের স্বার্থে যা ভালো এ দেশের জনগণ তা-ই চায়। লক্ষণীয়, এই ট্রানজিট ইস্যু যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার না হয়। সরকারকে লক্ষ্য রাখতে হবে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি যেন বাস্তবায়ন করা না হয়। ভারত সরকারকে যদি ট্রানজিট ব্যবহার করতে দেওয়া হয় তবে এর যাবতীয় পাওনা আদায় করে তবেই এই সুবিধা দিতে হবে নতুবা এর পরিবর্তে ভারতের কাছ থেকে কিছু সুবিধা নিতে হবে অথবা তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। আর ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার ফলে যা আয় হবে তাতে তো দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। কোনোক্রমেই বিনা শুল্কে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া যাবে না।
মোঃ মাইন উদ্দিন সোহাগ
উত্তর বালুয়াডাঙ্গা, কোতোয়ালি দিনাজপুর

যাত্রী ভোগান্তি
আর কত?
উৎসব-পার্বণে বাঙালি বরাবরই খুব উৎসুক। পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে শত কষ্ট মাথা পেতে নিতে রাজি তারা। তবুও সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করলে ভোগান্তিগুলো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে কিংবা বাদুড়ঝোলা হয়ে বাড়ির পথে মানুষের যাত্রা দেখে সত্যিই অবাক হতে হয়। বাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাস টার্মিনালগুলোতে কত রকমের নাটক যে হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনিতে সড়কের বেহাল দশা, পথে পথে জনভোগান্তি, সময়ের নির্দিষ্টহীনতা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও তীব্র যানজটে দুর্বিষহ পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন নিয়ম-কানুন তৈরি করলেও কার নিয়ম কে মানে! আপন নিবাসে একটু আনন্দ ভাগ করতে মানুষের প্রতীক্ষা সারাবছরের। আর এই প্রতীক্ষার অবসান হয় এক যন্ত্রণাদায়ক ভ্রমণের মধ্য দিয়ে। ফলে উৎসবের আনন্দ ফিকে হয়ে আসে যাত্রাপথের নানা ভোগান্তিতে।
সনেট দেব
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম

No comments

Powered by Blogger.