বিএনপি : তাহিরপুর-ভেতরে বিভক্তিরেখা, বাইরে ঐক্য
তাহিরপুর বিএনপিতে এখন স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। টাকাওয়ালা লোকজন উপজেলা কমিটিতে পুনর্বাসিত হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মতামত এখন তাদের পক্ষেই। তবে উপজেলা সভাপতি ও দলের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় মাঝেমধ্যে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হতে দেখা যায়। ভেতরে তুষের অনল থাকলেও উপজেলা সভাপতির বিরোধীরাও কমিটিকে মেনে নিয়ে তাদের নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও দলের গত সংসদ নির্বাচনের মনোনীত প্রার্থী ডা. রফিক চৌধুরীকে বর্তমান কমিটি মূল্যায়ন করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে উপজেলা কমিটি বলছে, ডা. রফিক চৌধুরী স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় না করে এবং কমিটিকে অবগত না করে ইচ্ছামতো কর্মসূচি হাতে নিয়ে দলে বিভক্তিরেখা টানছেন।
বিএনপির গত জাতীয় কাউন্সিলের আগে নানা নাটকীয়তার মাধ্যমে উপজেলা সভাপতি নির্বাচিত হন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক। দলের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ত্যাগী নেতা সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় ওই সময় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হন এবং তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি হলে নূরুল ইসলামকে জেলা সহসভাপতি করা হয়। আনিসুল উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার কথা ভাবছেন। এ কারণেই তাঁর সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও গতবারের কেন্দ্র মনোনীত প্রার্থীর বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁর প্রার্থিতার বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেছেন।
এদিকে সমপ্রতি দলের বহিষ্কৃত নেতা নজির হোসেন আবারও বিএনপিতে ফিরতে চাইছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। দল তাঁকে বহিষ্কার করার পর গত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাত্র ১৮ হাজার ভোট পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি তাঁর অনুগত সাংবাদিকদের বিএনপিতে ফিরছেন এবং এই এলাকায় তাঁর প্রয়োজন রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধও করছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না গেলে বর্তমান সরকার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যে গ্রুপকে বিএনপি সাজিয়ে নির্বাচনে নিতে চাচ্ছে নজির হোসেনও সেই দলের হিসেবে রয়েছেন। তাই তাঁর দলে আবার ফিরে আসাকে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দলের জন্য বিপজ্জনক হিসেবেই দেখছেন।
তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, তাহিরপুরে দলের ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব থাকলেও প্রকাশ্যে এখন আর কোনো বিরোধ নেই। ফলে দলীয় কর্মসূচি এক সঙ্গেই পালন করা হচ্ছে। উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, 'উপজেলা কমিটিতে কোনো বিরোধ নেই। খালেদা জিয়া নির্দেশিত দলের সব কর্মসূচি আমরা পালন করছি। বিভক্তি নয়, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এখন দলকে শক্তিশালী করতেই আমাদের সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে।
ধরমপাশা
জামালগঞ্জ
বিএনপির গত জাতীয় কাউন্সিলের আগে নানা নাটকীয়তার মাধ্যমে উপজেলা সভাপতি নির্বাচিত হন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক। দলের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ত্যাগী নেতা সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম সভাপতি পদ থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় ওই সময় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হন এবং তারা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি হলে নূরুল ইসলামকে জেলা সহসভাপতি করা হয়। আনিসুল উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার কথা ভাবছেন। এ কারণেই তাঁর সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় সদস্য ও গতবারের কেন্দ্র মনোনীত প্রার্থীর বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁর প্রার্থিতার বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেছেন।
এদিকে সমপ্রতি দলের বহিষ্কৃত নেতা নজির হোসেন আবারও বিএনপিতে ফিরতে চাইছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। দল তাঁকে বহিষ্কার করার পর গত সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে মাত্র ১৮ হাজার ভোট পেয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি তাঁর অনুগত সাংবাদিকদের বিএনপিতে ফিরছেন এবং এই এলাকায় তাঁর প্রয়োজন রয়েছে বলে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধও করছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না গেলে বর্তমান সরকার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যে গ্রুপকে বিএনপি সাজিয়ে নির্বাচনে নিতে চাচ্ছে নজির হোসেনও সেই দলের হিসেবে রয়েছেন। তাই তাঁর দলে আবার ফিরে আসাকে বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীরা দলের জন্য বিপজ্জনক হিসেবেই দেখছেন।
তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল ইসলাম বলেন, তাহিরপুরে দলের ভেতরে ভেতরে দ্বন্দ্ব থাকলেও প্রকাশ্যে এখন আর কোনো বিরোধ নেই। ফলে দলীয় কর্মসূচি এক সঙ্গেই পালন করা হচ্ছে। উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, 'উপজেলা কমিটিতে কোনো বিরোধ নেই। খালেদা জিয়া নির্দেশিত দলের সব কর্মসূচি আমরা পালন করছি। বিভক্তি নয়, আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এখন দলকে শক্তিশালী করতেই আমাদের সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে।
ধরমপাশা
জামালগঞ্জ
No comments