সিডিএর ডিটি বায়েজীদ সংযোগ সড়ক-১৪ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় তদন্তে নামছে দুদক by ভুঁইয়া নজরুল,
চার বছরের সড়ক নির্মাণকাজ ১৪ বছরেও শেষ করতে না পারায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়নাধীন ডিটি বায়েজীদ সংযোগ সড়ক প্রকল্পটি নিয়ে তদন্তে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরই মধ্যে প্রকল্পের অধীনে খরচ হয়েছে ২৮ কোটি টাকা এবং সরকারি কোষাগারে ফেরত গেছে পাঁচ কোটি টাকা। ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়ার পর ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত চলে এ প্রকল্পের কাজ। এরপর থেকে অর্ধসমাপ্ত এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে।
পাহাড় কেটে সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া, নির্মাণ খরচ ও জায়গা অধিগ্রহণে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়াসহ নানা অনিয়মের কারণে দুদক তদন্ত করছে জানিয়ে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রকল্প অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছে সিডিএ। কিন্তু প্রকল্পের ৩৩ কোটি টাকার মধ্যে ২৮ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। এ জন্য প্রকল্পের সব নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হলে সিডিএর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের অভিযুক্ত করে মামলা করা হবে।
ফখরুল আরো বলেন, এ প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম এন হাবিবুর রহমান ও স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সরাসরি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে আউটার রিং-রোডের অংশ হিসেবে ডিটি রোডের ভাটিয়ারি অংশ ও বায়েজীদ বোস্তামী রোডের বাংলাবাজার মোড় পর্যন্ত প্রায় ছয় কি.মি. দীর্ঘ সড়কটি একনেকে অনুমোদনের পর ১৯৯৮ সালে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। প্রথম দফায় তা ২০০৬ সালে ও পরে গত বছরের জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হলেও সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।
বিভিন্ন সময়ে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, সড়কের ডিটি রোড অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল পরিবহনের দুটি রেললাইনের ওপরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০ মিটার দীর্ঘ একটি ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। ওভারব্রিজের পর ১২০ ফুটের স্থলে ২৪ ফুট চওড়া সড়কের কার্পেটিং হলে পাহাড়ি ঢলের কারণে অনেক স্থানে তা ভেঙে গেছে। এর পরও ভাটিয়ারি অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে বায়েজীদ বোস্তামী অংশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মধ্যে উভয় পাশে সাড়ে চার কিলোমিটার নির্মিত হলেও মধ্যবর্তী দেড় কিলোমিটার জায়গায় নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি সিডিএ কর্তৃপক্ষ। বিশাল পাহাড়ি উপত্যকা ও উঁচু পাহাড়ের কারণে এই অংশে নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।
প্রকল্পের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম এন হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পাহাড়ি এলাকায় এ ধরনের সড়ক নির্মাণের অবকাঠামোগত অবস্থা সিডিএর নেই। এর পরও আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সম্ভব হয়নি। এখন নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আবারও নতুন করে সংশোধিত প্রকল্প নেওয়া হবে।'
দুদকের তদন্ত প্রসঙ্গে এ এম এন হাবিবুর রহমান বলেন, যেহেতু দীর্ঘ ১৪ বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি তাই দুদক তদন্ত করতেই পারে। তবে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি।'
ফখরুল আরো বলেন, এ প্রকল্পের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম এন হাবিবুর রহমান ও স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সরাসরি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে আউটার রিং-রোডের অংশ হিসেবে ডিটি রোডের ভাটিয়ারি অংশ ও বায়েজীদ বোস্তামী রোডের বাংলাবাজার মোড় পর্যন্ত প্রায় ছয় কি.মি. দীর্ঘ সড়কটি একনেকে অনুমোদনের পর ১৯৯৮ সালে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। প্রথম দফায় তা ২০০৬ সালে ও পরে গত বছরের জুন পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হলেও সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।
বিভিন্ন সময়ে সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, সড়কের ডিটি রোড অংশে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল পরিবহনের দুটি রেললাইনের ওপরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫০ মিটার দীর্ঘ একটি ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। ওভারব্রিজের পর ১২০ ফুটের স্থলে ২৪ ফুট চওড়া সড়কের কার্পেটিং হলে পাহাড়ি ঢলের কারণে অনেক স্থানে তা ভেঙে গেছে। এর পরও ভাটিয়ারি অংশে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে বায়েজীদ বোস্তামী অংশে প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের মধ্যে উভয় পাশে সাড়ে চার কিলোমিটার নির্মিত হলেও মধ্যবর্তী দেড় কিলোমিটার জায়গায় নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি সিডিএ কর্তৃপক্ষ। বিশাল পাহাড়ি উপত্যকা ও উঁচু পাহাড়ের কারণে এই অংশে নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি।
প্রকল্পের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে বর্তমান প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম এন হাবিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পাহাড়ি এলাকায় এ ধরনের সড়ক নির্মাণের অবকাঠামোগত অবস্থা সিডিএর নেই। এর পরও আমরা চেষ্টা করেছি কিন্তু সম্ভব হয়নি। এখন নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী আবারও নতুন করে সংশোধিত প্রকল্প নেওয়া হবে।'
দুদকের তদন্ত প্রসঙ্গে এ এম এন হাবিবুর রহমান বলেন, যেহেতু দীর্ঘ ১৪ বছরেও প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি তাই দুদক তদন্ত করতেই পারে। তবে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি।'
No comments