প্রতিশ্রুতি : হবে হচ্ছে বক্তব্য
সুনামগঞ্জ-১ আসনের রতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও তাঁর বিরোধীরাও স্বীকার করেছেন, তাঁর হাত ধরে নির্বাচনী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নয়ন হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন খান বলেন, 'তাহিরপুরে এর আগে কোনো এমপি এত রাস্তাঘাট ও সেতু করেননি। আমার ইউনিয়নে এমপি সাহেব অনেক রাস্তা ও সেতু করেছেন।' উপজেলা সভাপতি অবশ্য এই কৃতিত্ব এমপিকে না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দেন। তিনি বলেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী তাহিরপুরে এসে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলোই এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। আর সেগুলোকে এমপি নিজের কৃতিত্ব হিসেবে দাবি করছেন।
আর বিএনপি বলছে বিএনপির রেডি করা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে এখন। আর এর কৃতিত্ব নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এমপি।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুল হক বলেন, 'এমপি সাহেব নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। উন্নয়ন চিন্তা নয়, নিজের ব্যবসা ও ব্যক্তিগত উন্নতির স্বার্থ রক্ষার প্রতিই তিনি বেশি মনোযোগী। নির্বাচনের আগে যোগাযোগ বিপ্লবের যে প্রতিশ্রুতি ছিল তার সিকি ভাগও এখনো পূরণ হয়নি। যেগুলো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করছেন সেগুলো বিএনপি আমলের। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এখনো এই নির্বাচনী এলাকার একটির সঙ্গে আরেকটির সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। নানা বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হয়। এই নির্বাচনী এলাকায় একাধিক বাঁশের সেতুতে যাতায়াত টিকিয়ে রেখেছে এলাকাবাসী।'
তাহিরপুর এলাকাবাসীর দাবি বাদাঘাট, টাকাটুকিয়া- তাহিরপুর রাস্তাটিতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা উচিত। গত বিএনপি আমলে সেতু ও রাস্তার কাজ শুরু হলেও এখন কাজ বন্ধ। সংসদ সদস্য এই জনগুরুত্বপূর্ণ কাজটি ফেলে রেখেছেন। একইভাবে মধ্যনগর থানায় এখনো কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ নেই। এলাকার স্বাস্থ্য সমস্যার উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি নির্বাচনের আগে 'অবহেলিত, উন্নয়নবঞ্চিত জনপদের উন্নয়নে কার্যকর কিছু ভাবনা' শিরোনামে বিলিকৃত ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকার চারটি থানার প্রত্যেকটির সঙ্গে প্রত্যেকটির যোগাযোগ স্থাপনের কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এলাকার বালু, পাথর ও খনিজ সম্পদকে কেন্দ্র করে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও ছিল তাতে। কিন্তু গত তিন বছরে তার কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। নির্বাচনী এলাকার নয়নাভিরাম সীমান্ত অঞ্চলে পর্যটন স্পট গড়ে তুলবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সেটিও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিনি যেসব আশ্বাস দিয়েছিলেন, তার একটিরও শতভাগ কাজ হয়নি। আগামীতে পূরণ হবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান ভোটাররা।
এসব বিষয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে এমপি বলেন, 'সুনামগঞ্জ-১ আসনে এর আগে কোনো কাজ হয়নি। আমরা ক্ষমতা নেওয়ার পর সেতু ও রাস্তাঘাট করেছি। প্রধানমন্ত্রী গত বছর তাহিরপুর এসে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে।' তিনি আরো বলেন, 'আমি ক্ষমতায় আসার পর বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের রাস্তা পাকা হয়েছে। এই এলাকায় এর আগে যেসব কাজ হয়নি এখন সেসব হচ্ছে। তাহিরপুরে পর্যটন স্পট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। এটি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। বহুল কাঙ্ক্ষিত সীমান্ত সড়কের কাজও শুরু হয়েছে। ধরমপাশা-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে, মহেশখলা-মধ্যনগর-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজ প্রায় শেষ।' জামালগঞ্জ-সাচনা বাজারের সেতু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাচনা-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজেরও টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। একইভাবে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজের প্রকল্পও পাস হয়ে গেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান। আগামী দিনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জামালগঞ্জে সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ, যাদুকাটা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, মান্নানঘাটের সেতুসহ নেত্রকোনা-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য জোর চেষ্টা চালাবেন বলেও তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুল হক বলেন, 'এমপি সাহেব নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। উন্নয়ন চিন্তা নয়, নিজের ব্যবসা ও ব্যক্তিগত উন্নতির স্বার্থ রক্ষার প্রতিই তিনি বেশি মনোযোগী। নির্বাচনের আগে যোগাযোগ বিপ্লবের যে প্রতিশ্রুতি ছিল তার সিকি ভাগও এখনো পূরণ হয়নি। যেগুলো হচ্ছে বলে তিনি দাবি করছেন সেগুলো বিএনপি আমলের। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এখনো এই নির্বাচনী এলাকার একটির সঙ্গে আরেকটির সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। নানা বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীকে যাতায়াত করতে হয়। এই নির্বাচনী এলাকায় একাধিক বাঁশের সেতুতে যাতায়াত টিকিয়ে রেখেছে এলাকাবাসী।'
তাহিরপুর এলাকাবাসীর দাবি বাদাঘাট, টাকাটুকিয়া- তাহিরপুর রাস্তাটিতে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা উচিত। গত বিএনপি আমলে সেতু ও রাস্তার কাজ শুরু হলেও এখন কাজ বন্ধ। সংসদ সদস্য এই জনগুরুত্বপূর্ণ কাজটি ফেলে রেখেছেন। একইভাবে মধ্যনগর থানায় এখনো কোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ নেই। এলাকার স্বাস্থ্য সমস্যার উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তিনি নির্বাচনের আগে 'অবহেলিত, উন্নয়নবঞ্চিত জনপদের উন্নয়নে কার্যকর কিছু ভাবনা' শিরোনামে বিলিকৃত ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকার চারটি থানার প্রত্যেকটির সঙ্গে প্রত্যেকটির যোগাযোগ স্থাপনের কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়ন করা হয়নি। এলাকার বালু, পাথর ও খনিজ সম্পদকে কেন্দ্র করে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টির লক্ষ্যে শিল্পকারখানা গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও ছিল তাতে। কিন্তু গত তিন বছরে তার কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। নির্বাচনী এলাকার নয়নাভিরাম সীমান্ত অঞ্চলে পর্যটন স্পট গড়ে তুলবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। সেটিও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, তিনি যেসব আশ্বাস দিয়েছিলেন, তার একটিরও শতভাগ কাজ হয়নি। আগামীতে পূরণ হবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান ভোটাররা।
এসব বিষয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে এমপি বলেন, 'সুনামগঞ্জ-১ আসনে এর আগে কোনো কাজ হয়নি। আমরা ক্ষমতা নেওয়ার পর সেতু ও রাস্তাঘাট করেছি। প্রধানমন্ত্রী গত বছর তাহিরপুর এসে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে।' তিনি আরো বলেন, 'আমি ক্ষমতায় আসার পর বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের রাস্তা পাকা হয়েছে। এই এলাকায় এর আগে যেসব কাজ হয়নি এখন সেসব হচ্ছে। তাহিরপুরে পর্যটন স্পট গড়ে তোলার প্রক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। এটি এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। বহুল কাঙ্ক্ষিত সীমান্ত সড়কের কাজও শুরু হয়েছে। ধরমপাশা-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজ শুরু হয়েছে, মহেশখলা-মধ্যনগর-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজ প্রায় শেষ।' জামালগঞ্জ-সাচনা বাজারের সেতু প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাচনা-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজেরও টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। একইভাবে জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজের প্রকল্পও পাস হয়ে গেছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলেও তিনি জানান। আগামী দিনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জামালগঞ্জে সুরমা নদীতে সেতু নির্মাণ, যাদুকাটা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, মান্নানঘাটের সেতুসহ নেত্রকোনা-সুনামগঞ্জ সড়কের কাজের জন্য জোর চেষ্টা চালাবেন বলেও তিনি জানান।
No comments