একাত্তরের এই দিনে

*কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী চাওড়া এলাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে দুজন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও তিনজন আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।*৮ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী একদল পাকিস্তানি সেনাকে রাজাপুর নামক স্থানে অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে পাকিস্তানি বাহিনীর চারজন সেনা নিহত ও দুজন আহত হয়।*মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জেলার প্রতাপপুর এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে পাকিস্তানি বাহিনীর ১১ জন সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়।


*২ নম্বর সেক্টরে সুবাদার মেজর লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা লক্ষ্মীপুর রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে অনেক রাজাকার হতাহত হয়। এ সংঘর্ষে এলাকার জনসাধারণ বিশেষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে।
*বগুড়া জেলার মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল মহিমাগঞ্জের দুলুর নেতৃত্বে ও সিহিরপুরের বাবলু, খালেক, হামিদ, খলিল, নূরুল, শুকু, ফিনু, জগলু, হাল্লু, লিন্টু এবং আরো অনেকের সহযোগিতায় সুকানপুকুর রেলস্টেশনের কাছে সিহিপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহী একটি স্পেশাল ট্রেন ডিনামাইটের সাহায্যে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। এতে প্রায় দেড় শ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়।
*৬ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সহায়ক সেনাদের সম্মিলিত বাহিনীর বীর যোদ্ধারা ভূরুঙ্গামারী পাকিস্তানি সেনা অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে বহু পাকিস্তানি সেনা নিহত ও তিন পাঞ্জাবি সেনা বন্দি হয় এবং ভূরুঙ্গামারী থানা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এই অভিযানে ভারতীয় সহায়ক বাহিনীর নেতৃত্ব দেন ব্রিগেডিয়ার যোশি এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচালনা করেন সেক্টর কমান্ডার কে এম বাশার ও সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নওয়াজেশ।
*মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে শিগগিরই যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। তিনি ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্র এই যুদ্ধ চায় না, তবে যুদ্ধ বাধলে সে তাতে জড়িয়ে পড়বে না। সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.