ডায়াবেটিস থেকে কিডনি রোগ
বর্তমান বিশ্বে ডায়াবেটিস ভয়াবহ অসংক্রামক ব্যাধি এবং এর কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ এর মধ্যে অন্যতম। কিডনিতে প্রধানত ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি হয়।ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি : কিডনি সম্পূর্ণভাবে বিকল বা অকেজো হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে উন্নত দেশে ডায়াবেটিসকে প্রধান এবং আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সাধারণত ইনসুলিননির্ভর ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই রোগের কারণে কিডনিতে প্রাথমিক বিপর্যয় শুরু হয় ৭-১০ বছরের মধ্যে, যখন কোনো উপসর্গই থাকে না শুধু প্রস্রাবে প্রোটিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এবং ১০-১৫ বছরের মধ্যে প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায় তখন তাকে বলা হয় নেফ্রোটিক সিনড্রোম এবং এই সময়ে রোগীর শরীরে পানি আসা শুরু হয়। আর ১৫-২০ বছরের মধ্যে কিডনির কার্যক্রম হ্রাস পেতে থাকে। তখন একে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি ফেইলিউর বা সিআরএফ বলা হয়।
উপসর্গ : প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির কোনো উপসর্গ থাকে না। উপসর্গ যখন দেখা যায় ততদিনে কিডনির অনেকটা ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছে পায়ে পানি আসা এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া। সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার ৫-১৫ বছর পর এ ধরনের জটিলতা দেখা যায়। এই পর্যায়ে চিকিৎসায় খুব ভালো ফল লাভ সম্ভব হয় না। এ জন্যই প্রতিদিন এসব রোগীর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই প্রস্রাবে অ্যালবুমিন আছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখতে হয়।
চিকিৎসা : ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির চিকিৎসা নির্ভর করে ডায়াবেটিস দ্বারা কিডনি কতখানি আক্রান্ত হয়েছে তার ওপর। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রস্রাবে যদি অ্যালবুমিন নির্গত হয় তাহলে এসিই ইনহেবিটর-জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হওয়ার পরিমাণ কমানোর ব্যবস্থা করে নেফ্রোপ্যাথি হওয়ার পরও কিডনি অকেজো হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যায়। কিডনি ফেইলিউরের লক্ষণগুলো থাকলে চিকিৎসা জটিল আকার ধারণ করে। এ রোগীদের খাবারে আমিষের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেমন অত্যাবশ্যক, তেমনি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হওয়া শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা করা উচিত, যাতে ডায়াবেটিসের প্রভাবে দুরারোগ্য কিডনি ফেইলিউরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অেধ্যাপক মোঃ শহীদুল ইসলাম সেলিম
নেফ্রোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
উপসর্গ : প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির কোনো উপসর্গ থাকে না। উপসর্গ যখন দেখা যায় ততদিনে কিডনির অনেকটা ক্ষতি হয়ে থাকে। প্রধান উপসর্গগুলো হচ্ছে পায়ে পানি আসা এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া। সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার ৫-১৫ বছর পর এ ধরনের জটিলতা দেখা যায়। এই পর্যায়ে চিকিৎসায় খুব ভালো ফল লাভ সম্ভব হয় না। এ জন্যই প্রতিদিন এসব রোগীর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই প্রস্রাবে অ্যালবুমিন আছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখতে হয়।
চিকিৎসা : ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির চিকিৎসা নির্ভর করে ডায়াবেটিস দ্বারা কিডনি কতখানি আক্রান্ত হয়েছে তার ওপর। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে এনে ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রস্রাবে যদি অ্যালবুমিন নির্গত হয় তাহলে এসিই ইনহেবিটর-জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে এবং প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হওয়ার পরিমাণ কমানোর ব্যবস্থা করে নেফ্রোপ্যাথি হওয়ার পরও কিডনি অকেজো হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যায়। কিডনি ফেইলিউরের লক্ষণগুলো থাকলে চিকিৎসা জটিল আকার ধারণ করে। এ রোগীদের খাবারে আমিষের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেমন অত্যাবশ্যক, তেমনি প্রাথমিক পর্যায়ে প্রস্রাবে অ্যালবুমিন নির্গত হওয়া শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা করা উচিত, যাতে ডায়াবেটিসের প্রভাবে দুরারোগ্য কিডনি ফেইলিউরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অেধ্যাপক মোঃ শহীদুল ইসলাম সেলিম
নেফ্রোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
No comments