ত থ্য বি চি ত্র-তোতলামিতে পুরুষই এগিয়ে
স্বাভাবিকভাবে কথা বলার ক্ষেত্রে আড়ষ্টতা, বারবার কথা বলার চেষ্টা এবং কথা বলার সময় কখনও কখনও মুখের ও শরীরের আকৃতির পরিবর্তন_এসব লক্ষণ থাকলে ঠিকই আপনি বলে বসবেন লোকটি তোতলা। একজন মানুষ কেন তোতলা হয়? এর কিন্তু অনেক কারণ রয়েছে। মস্তিষ্ক কিংবা স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষত সৃষ্টি হলে তোতলামি দেখা দিতে পারে। যদি সুষুম্নাকাণ্ডের ও স্নায়ুতন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে অথবা রোগীর খিঁচুনি বা তড়কা হয়, তা হলেও অনেক সময় কথা বলার গতি পরিবর্তন হয়ে যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে 'নিউরোজেনিক স্ট্যাটারিং' বলে। এ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শয়ে মাত্র এক ব্যক্তি তোতলা হন।
আবার, তোতলামির ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর আনুপাত ৪:১। অর্থাৎ তোতলা নারী দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তোতলামি সাধারণত শৈশবকালের সমস্যা, যার প্রারম্ভিক লক্ষণগুলো ধরা পড়ে দুই থেকে তিন বছর বয়সের মধ্যেই। পরিবারের কোনো সদস্যের যদি তোতলামির অভ্যাস থাকে, তবে সেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুর মধ্যেই প্রথম ফুটে ওঠে। প্রধানত যে কারণগুলোতে মানুষ তোতলামি করে তা হলো_ পরিবার বা বিভিন্ন পরিবেশের কাউকে দেখে নকল করা, টাইফয়েড ও ম্যালেরিয়ার মতো কঠিন রোগ, নিজের প্রতি আস্থার অভাব, শৈশবের কোনো বস্তু বা ব্যক্তি সম্পর্কে ভয়, কঠোর বাবা-মা, শিক্ষক, আত্মীয়, মানসিক ও শারীরিক আঘাতপ্রাপ্ত, দ্রুত কথা বলার অভ্যাস, লাজুক এবং আত্মকেন্দ্রিক প্রকৃতির শৈশব গঠন এবং পারিবারিক অশান্তি।
যদি আমরা একটু খেয়াল রাখি আমাদের সন্তানদের প্রতি, তাহলে তারা আর তোতলামি করবে না। শিশুটি যে জিনিস দেখে ভয় পায়, তা না করা বা সেটা থেকে তাকে দূরে রাখা, তাকে স্পষ্ট করে কথা বলতে শিখানো, শিশুটি কোনো ভুল করলে তাকে অতিরিক্ত শাসন না করে বুঝিয়ে বলা। এতে সন্তান শুধু তোতলামির হাত থেকেই রক্ষা পাবে না, তার অন্যান্য মানসিক বিকাশও পরিপূর্ণ হবে।
হ ফয়সাল আহমেদ
যদি আমরা একটু খেয়াল রাখি আমাদের সন্তানদের প্রতি, তাহলে তারা আর তোতলামি করবে না। শিশুটি যে জিনিস দেখে ভয় পায়, তা না করা বা সেটা থেকে তাকে দূরে রাখা, তাকে স্পষ্ট করে কথা বলতে শিখানো, শিশুটি কোনো ভুল করলে তাকে অতিরিক্ত শাসন না করে বুঝিয়ে বলা। এতে সন্তান শুধু তোতলামির হাত থেকেই রক্ষা পাবে না, তার অন্যান্য মানসিক বিকাশও পরিপূর্ণ হবে।
হ ফয়সাল আহমেদ
No comments