রশীদ তালুকদার আর নেইঃ ইতিহাসের সাক্ষীকে হারাল দেশ
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান। মিছিলের অগ্রভাগে খালি গায়ে হাত উঁচিয়ে স্লোগান দিচ্ছে ছোট্ট এক শিশু। বঞ্চনা আর শোষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বাংলার আপামর জনতা। ছবিটি তারই প্রতীক। ফটোসাংবাদিক রশীদ তালুকদার তুলেছিলেন ওই ছবি। বাংলাদেশের জন্মসূচনার ঐতিহাসিক এমন আরও অসংখ্য ছবির জনক রশীদ তালুকদার আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ৭২ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে এ মাসের মাঝামাঝি রশীদ তালুকদার হাসপাতালে ভর্তি হন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা রশীদ তালুকদার দুই মেয়ে, এক ছেলে আর অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ পূর্ব বাসাবো মদিনা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে নয়টায় প্রথম জানাজা, দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজার পর রশীদ তালুকদারের মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। আর বেলা ১১টায় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে।
১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চব্বিশ পরগনায় জন্ম হয় রশীদ তালুকদারের। বাবা ছিলেন রেলওয়ের কর্মকর্তা। সেই সুবাদে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় রাজশাহীর এক ফটোস্টুডিওতে কাজ শুরু করেন। ক্যামেরার সঙ্গে সেই যে গাটছঁড়া বাঁধলেন রশীদ তালুকদার, আমৃত্যু সে বন্ধন অটুট ছিল।
১৯৬২ সালে রশীদ তালুকদার দৈনিক সংবাদ-এ যুক্ত হন। কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে তোলা তাঁর ছবিগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী। ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষোভে ফেটে পড়া শিশু, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তিকামী ছাত্রছাত্রীদের মহড়া, সাতই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, বধ্যভূমিতে নিহত বুদ্ধিজীবী—এসব ছবি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে চিরকাল। রশীদ তালুকদার যে শুধু গণমানুষের সম্মিলিত যুদ্ধের ছবি তুলেছেন তা-ই নয়, তিনি সংগ্রামমুখর মানুষের ছবি তুলেছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং আদিবাসীদের সংগ্রাম, অভাবী মানুষের ঘানি টানাও বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে তাঁর আলোকচিত্রে। অর্ধযুগ ধরে তাঁর তোলা ছবি মানুষকে কখনো উদ্দীপ্ত করেছে, কখনও কাঁদিয়েছে।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রশীদ তাকুলদার একবার বলেছিলেন, সারা জীবন তিনি ‘জীবন’কে খুঁজে ফিরেছেন, এমন ছবি তুলতে চেয়েছেন, যা কথা বলে। এমন হাজারো বাঙ্ময় ছবি তুলে তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, সম্মানজনক পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড, ছবি মেলার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর তোলা সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ছবিটি স্থান পেয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়ার এনসাইক্লোপিডিয়া প্রকাশনায়।
ফটোসাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় রশীদ তালুকদার গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন।
রশীদ তালুকদার সম্পর্কে বার্তা সংস্থা এপির ফটোসাংবাদিক পাভেল রহমান বলেন, তিনি যা কিছু করেছেন, তার সবটাই দেশের প্রতি তাঁর গভীর মমতা থেকে উৎসারিত।
শোক: বরেণ্য আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রশীদ তালুকদারের অন্তরঙ্গতার স্মৃতিচারণ করেছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, রশীদ তালুকদারকে হারিয়ে দেশ তার ইতিহাসের সাক্ষীকে হারাল।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রশীদ তালুকদারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। শোক জ্ঞাপন করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চব্বিশ পরগনায় জন্ম হয় রশীদ তালুকদারের। বাবা ছিলেন রেলওয়ের কর্মকর্তা। সেই সুবাদে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় রাজশাহীর এক ফটোস্টুডিওতে কাজ শুরু করেন। ক্যামেরার সঙ্গে সেই যে গাটছঁড়া বাঁধলেন রশীদ তালুকদার, আমৃত্যু সে বন্ধন অটুট ছিল।
১৯৬২ সালে রশীদ তালুকদার দৈনিক সংবাদ-এ যুক্ত হন। কাজ করেছেন দৈনিক ইত্তেফাকে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে তোলা তাঁর ছবিগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী। ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষোভে ফেটে পড়া শিশু, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুক্তিকামী ছাত্রছাত্রীদের মহড়া, সাতই মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, বধ্যভূমিতে নিহত বুদ্ধিজীবী—এসব ছবি ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে চিরকাল। রশীদ তালুকদার যে শুধু গণমানুষের সম্মিলিত যুদ্ধের ছবি তুলেছেন তা-ই নয়, তিনি সংগ্রামমুখর মানুষের ছবি তুলেছেন। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং আদিবাসীদের সংগ্রাম, অভাবী মানুষের ঘানি টানাও বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে তাঁর আলোকচিত্রে। অর্ধযুগ ধরে তাঁর তোলা ছবি মানুষকে কখনো উদ্দীপ্ত করেছে, কখনও কাঁদিয়েছে।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রশীদ তাকুলদার একবার বলেছিলেন, সারা জীবন তিনি ‘জীবন’কে খুঁজে ফিরেছেন, এমন ছবি তুলতে চেয়েছেন, যা কথা বলে। এমন হাজারো বাঙ্ময় ছবি তুলে তিনি বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, সম্মানজনক পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড, ছবি মেলার আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর তোলা সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের ছবিটি স্থান পেয়েছে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়ার এনসাইক্লোপিডিয়া প্রকাশনায়।
ফটোসাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় রশীদ তালুকদার গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন।
রশীদ তালুকদার সম্পর্কে বার্তা সংস্থা এপির ফটোসাংবাদিক পাভেল রহমান বলেন, তিনি যা কিছু করেছেন, তার সবটাই দেশের প্রতি তাঁর গভীর মমতা থেকে উৎসারিত।
শোক: বরেণ্য আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রশীদ তালুকদারের অন্তরঙ্গতার স্মৃতিচারণ করেছেন। এক বার্তায় তিনি বলেন, রশীদ তালুকদারকে হারিয়ে দেশ তার ইতিহাসের সাক্ষীকে হারাল।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রশীদ তালুকদারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। শোক জ্ঞাপন করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন।
No comments