দেড় লাখ বস্তা আলু অবিক্রীত-কুড়িগ্রামে আলুর কেজি সাড়ে চার টাকা by আবদুল খালেক ফারুক,
কুড়িগ্রামে সব ধরনের আলুর দরপতন অব্যাহত রয়েছে। হিমাগার পর্যায়ে বর্তমানে গ্রানুলা জাতের আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার টাকা দরে। কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড জাতের আলুর বাজার কিছুটা বেশি থাকলেও সর্বোচ্চ সাড়ে আট টাকার বেশি দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। পাইকারি ও খুচরা বাজারে গিয়ে দামের তারতম্য হলেও হিমাগারের সংরক্ষিত আলুর এই রেকর্ড দরপতনে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখন চলছে হাহাকার। লোকসানের ধকল সইতে পারছেন না কৃষকরা। তাই পুঁজির অভাবে আলুর আবাদ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বহু কৃষক। স্বস্তিতে নেই হিমাগারের মালিকরাও। দাম ও ক্রেতার অভাবে বিপুল আলু আটকে আছে হিমাগারগুলোয়।
সংরক্ষণ মৌসুম প্রায় শেষ হলেও এসব আলুর কি হবে_ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা।সূত্র জানায়, কুড়িগ্রামের তিনটি হিমাগারে এ বছর তিন লাখ ১০ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করা হয়। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ বস্তা। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বস্তা বীজ আলু রয়েছে। বাকি প্রায় দেড় লাখ বস্তা আলু আগামী দেড় মাসের মধ্যে বিক্রি করতে হবে, যা অসম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
কিছুদিন আগেও ৮৪ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা গ্রানুলা আলু ৭০০ টাকা, ডায়মন্ড ৯০০ টাকা ও কার্ডিনাল এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও হঠাৎ কমে যায় দাম ও চাহিদা। বর্তমানে প্রতি বস্তা গ্রানুলা আলু ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কার্ডিনাল ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা ও ডায়মন্ড ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি গ্রানুলা আলু সাড়ে চার টাকা, কার্ডিনাল আট টাকা ও ডায়মন্ড প্রতি কেজি সাড়ে আট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব আলু খুচরা বাজারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও লাভ হচ্ছে না কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর আলু সংরক্ষণে গড়ে খরচ পড়েছে প্রতি বস্তায় ৪০০ টাকা। এর মধ্যে সংরক্ষণ ভাড়া ২৭৫ টাকা, খালি বস্তা ৭৫ টাকা, পরিবহন খরচ ৩০ টাকা ও ঘাটতি রয়েছে। তাই বর্তমান দামে আলু বিক্রির পর তাঁদের ঘরে কোনো টাকাই আসছে না। সদর উপজেলার শিবরাম গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, তিনি সেকেন্দার বীজ হিমাগারে ১০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছেন। এই আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, খালি বস্তার টাকাও ফেরত পাননি। এ অবস্থা ছোট-বড় বহু কৃষকের। বড় কৃষক আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান ও চিনু মণ্ডল জানান, এর আগে আলুর আবাদ করে এত ব্যাপক লোকসানের মুখে তাঁরা পড়েননি।
মৌসুমের শুরুতে বিদেশে আলু রপ্তানি হওয়ায় আশাবাদী হয়েছিলেন কৃষকরা; কিন্তু হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী ছোলেমান আলী জানান, তাঁরা মৌসুমের শুরু থেকে এজেন্ট হিসেবে মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানীর জন্য পাঠান। কিন্তু এখন রপ্তানিকারকরা জানান, বিদেশে আলুর চাহিদা নেই। চীনের নতুন আলু ঘরে ওঠায় হিমাগারের আলুর চাহিদা নেই।
হক হিমাগার সূত্র জানায়, এ বছর সংরক্ষণ করা এক লাখ ৪৫ হাজার বস্তার মধ্যে এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার বস্তা। হিমাগারের ম্যানেজার শহিদুল হক জানান, ক্রেতা না থাকায় দাম কমে গেছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে বিপুল আলু আটকে যাওয়ার আশঙ্কা তাঁর। বাবর কোল্ডস্টোরেজে এক লাখ ২০ হাজার বস্তার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার বস্তা। আর সেকেন্দার বীজ হিমাগারে ৪৪ হাজার বস্তা আলুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার বস্তা।
বাবর কোল্ডস্টোরের ম্যানেজার মোজাহেদুল ইসলাম বাবু বলেন, 'এই অঞ্চলের বিকাশমান হিমাগার শিল্পটি এবার ধ্বংস হয়ে যাবে'।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক অলক কুমার বলেন, 'খাদ্যাভাস পরিবর্তন না করে আলুর আবাদ বাড়িয়ে কৃষকের কোনো লাভ হবে না।'
কিছুদিন আগেও ৮৪ কেজি ওজনের প্রতি বস্তা গ্রানুলা আলু ৭০০ টাকা, ডায়মন্ড ৯০০ টাকা ও কার্ডিনাল এক হাজার টাকা দরে বিক্রি হলেও হঠাৎ কমে যায় দাম ও চাহিদা। বর্তমানে প্রতি বস্তা গ্রানুলা আলু ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কার্ডিনাল ৬৮০ থেকে ৭২০ টাকা ও ডায়মন্ড ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি গ্রানুলা আলু সাড়ে চার টাকা, কার্ডিনাল আট টাকা ও ডায়মন্ড প্রতি কেজি সাড়ে আট টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব আলু খুচরা বাজারে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হলেও লাভ হচ্ছে না কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর আলু সংরক্ষণে গড়ে খরচ পড়েছে প্রতি বস্তায় ৪০০ টাকা। এর মধ্যে সংরক্ষণ ভাড়া ২৭৫ টাকা, খালি বস্তা ৭৫ টাকা, পরিবহন খরচ ৩০ টাকা ও ঘাটতি রয়েছে। তাই বর্তমান দামে আলু বিক্রির পর তাঁদের ঘরে কোনো টাকাই আসছে না। সদর উপজেলার শিবরাম গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, তিনি সেকেন্দার বীজ হিমাগারে ১০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছেন। এই আলু বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, খালি বস্তার টাকাও ফেরত পাননি। এ অবস্থা ছোট-বড় বহু কৃষকের। বড় কৃষক আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান ও চিনু মণ্ডল জানান, এর আগে আলুর আবাদ করে এত ব্যাপক লোকসানের মুখে তাঁরা পড়েননি।
মৌসুমের শুরুতে বিদেশে আলু রপ্তানি হওয়ায় আশাবাদী হয়েছিলেন কৃষকরা; কিন্তু হঠাৎ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী ছোলেমান আলী জানান, তাঁরা মৌসুমের শুরু থেকে এজেন্ট হিসেবে মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে আলু রপ্তানীর জন্য পাঠান। কিন্তু এখন রপ্তানিকারকরা জানান, বিদেশে আলুর চাহিদা নেই। চীনের নতুন আলু ঘরে ওঠায় হিমাগারের আলুর চাহিদা নেই।
হক হিমাগার সূত্র জানায়, এ বছর সংরক্ষণ করা এক লাখ ৪৫ হাজার বস্তার মধ্যে এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার বস্তা। হিমাগারের ম্যানেজার শহিদুল হক জানান, ক্রেতা না থাকায় দাম কমে গেছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে বিপুল আলু আটকে যাওয়ার আশঙ্কা তাঁর। বাবর কোল্ডস্টোরেজে এক লাখ ২০ হাজার বস্তার মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার বস্তা। আর সেকেন্দার বীজ হিমাগারে ৪৪ হাজার বস্তা আলুর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার বস্তা।
বাবর কোল্ডস্টোরের ম্যানেজার মোজাহেদুল ইসলাম বাবু বলেন, 'এই অঞ্চলের বিকাশমান হিমাগার শিল্পটি এবার ধ্বংস হয়ে যাবে'।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক অলক কুমার বলেন, 'খাদ্যাভাস পরিবর্তন না করে আলুর আবাদ বাড়িয়ে কৃষকের কোনো লাভ হবে না।'
No comments