রাজ্জাকের ১৫ উইকেট

য়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্টে সুযোগ পাননি আবদুর রাজ্জাক। তবে জাতীয় ক্রিকেটে লীগে নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাবটা ভালোই দিয়ে চলেছেন। বরিশালের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচে উইকেট শিকারের উৎসব করেছেন আবারও। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন টেস্টে সুযোগ না পাওয়া এই স্পিনার। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেছেন ৭ উইকেট। ম্যাচে তার শিকার ১৫ উইকেট। খরচ হয়েছে (১২৩+৭০) রান। রাজ্জাকের তো বটেই, এটা জাতীয় লীগের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে এসে ৬৯ রানের জ্বলজ্বলে এক ইনিংস খেলেছিলেন।


তার চমৎকার বোলিংয়ের সুবাদে খুলনা তিনদিনে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ৩০২ রান করলেও গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহটা সমৃদ্ধ করতে পারেননি। রাজ্জাকের বিধ্বংসী বোলিংয়ে মাত্র ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে খুলনা ৩০ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৬৫ রানে। এ লক্ষ্যে পেঁৗছতে খুলনাকে মোটেও দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই তারা জয় তুলে নেয়। রাজ্জাকের চমৎকার বোলিংয়ের যথার্থতা প্রমাণ করেন অমিত মজুমদার ও তুষার ইমরান। তারা যথাক্রমে ৫৬ ও ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিকে রংপুরের বিপক্ষেও তিনদিনে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে জয় হাতছাড়া করেছে রংপুর। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইংনিসের ব্যাটিং ব্যর্থতা রংপুরকে জয় পেতে দেয়নি। প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে এগিয়ে থাকা রংপুর মাত্র ১৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পেঁৗছতে পারেনি।
চট্টগ্রাম ও সিলেটের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে সিলেটের ব্যাটসম্যানদের ওপর। প্রথম ইনিংসে ১৫৫ রানে পিছিয়ে থাকা সিলেট দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৫১ রান করেছে। আজ ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে ড্র নয়, হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে। ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে তাদের এখনও ১০৪ রান প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম-সিলেট
সিলেট ১ম ইনিংস : ২৭০/১০। চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস :৪২৫/৯, ডিক্লেয়ার্ড (নাফিস ইকবাল ১০৪, নাজিমউদ্দিন ৩১, আফতাব ৪২, নূর হোসেন ৪৫, সাদিত ৪১, ইয়াসিন আরাফাত ৫৫। রবিউল ২/৬৫, কাপালি ৩/৯৬, সাকের ২/৭০)। সিলেট ২য় ইনিংস : ৫১/০, ১৪ ওভার (ইমতিয়াজ ২৩* ও সায়েম ২২*)।

রাজশাহী-রংপুর
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ২০৬। রংপুর ১ম ইনিংস : ২৩০/১০। রাজশাহী ২য় ইনিংস :২১০/১০, ৬৭ ওভার (জহুরুল ৩৯, ফরহাদ ৮৪। আলাউদ্দিন ৩/৫১, মাহমুদুল ৫/৩৯)। রংপুর ২য় ইনিংস: ১২৮/১০, ৪২.২ ওভার (লিটন ২৫, মাহমুদুল ২৮। সাকলাইন ৪/৪৯, ফরহাদ ৪/১৫)। ফল : রাজশাহী ৫৮ রানে জয়ী।

বরিশাল-খুলনা
বরিশাল ১ম ইনিংস : ৩০২। খুলনা ১ম ইনিংস : ৩৩২/১০, ১১৩.৪ ওভার (তাপস ৫৮, আনামুল ৬০, রাজ্জাক ৬৯। মনির ৩/৫১, ফজলে ৪/৫৫)। বরিশাল ২য় ইনিংস : ১৯৪/১০। (নাসিরুদ্দিন ২১, ইফতিখার ২৫, সালমান ৪১, সোহাগ গাজী ২০। রাজ্জাক ৭/৭০, ডলার ২/১)। খুলনা ২য় ইনিংস: ১৬৭/২, ৪০.৫ ওভার ( অমিত ৫৬* ও তুষার ৬৯*)। ফল : খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

No comments

Powered by Blogger.