ঠাণ্ডা পানীয় উন্মত্ততা বাড়ায়
বর্তমান যুগে যেকোনো খাবারের পর বোতলজাত কার্বনেটেড বেভারেজ বা কার্বনমিশ্রিত কোমলপানীয় পান করা মোটামুটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে বিষয়টা শুধু ফ্যাশন নয় 'প্যাশন'ও। দিনে কমপক্ষে একটা 'ড্রিংক' না হলে তাদের মনে হয় আজ কী যেন বাদ পড়ে গেল। ইউরোপ-আমেরিকায় বিষয়টা আরো বেশি চোখে পড়ার মতো। সেখানে হয় 'হার্ড ড্রিংক' নয় 'সফট ডিংক'-দিনের পানীয় হিসেবে একটা কিছু থাকতেই হবে। আর ড্রিংক যেটাই হোক সাধারণত সেটা ঠাণ্ডা অবস্থাতেই সবাই গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত ঠাণ্ডা কোমল পানীয় পান করা স্বাস্থ্য তো বটেই, আচার-আচরণের জন্যও যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তাঁর প্রমাণ পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
কার্বনমিশ্রিত বোতলজাত ঠাণ্ডা কোমলপানীয় পানে অ্যাসিডিটি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি রোগের সম্ভাবনার কথা মোটামুটি পুরোনো। কিন্তু নিয়মিত ঠাণ্ডা কার্বন পানি পান করলে তা পানকারীদের আচরণেও প্রভাব ফেলে_এই তথ্য জানা গেছে সাম্প্রতিক ওই গবেষণায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গবেষক 'ইনজুরি প্রিভেনশন' নামে একটি অনলাইন সাময়িকীতে সম্প্রতি তাদের গবেষণার তথ্য ও জরিপকৃত উপাত্ত প্রকাশ করেছেন। বোস্টন শহরে ১৪ থেকে ১৮ বছরের ১৮৭৮ জন উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের ওপর গবেষণার পর তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়মিতভাবে দিনে মাত্র একবার একটি ঠাণ্ডা কার্বনমিশ্রিত কোমলপানীয় পান করলে এর সরাসরি প্রভাব পড়ে পানকারীর আচার-আচরণে। ঠাণ্ডা পানীয়টির প্রভাবে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়ে যায়, প্রকাশ পায় উন্মত্ততার লক্ষণ। এই পানীয় তাদের উত্তেজিত করে তোলে। এর ফলে তারা অসহিষ্ণু ও সহিংস হচ্ছে। এমনকি অনেকে অস্ত্র বহন করতেও দ্বিধা করছে না। গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন যারা কার্বনমিশ্রিত পানি পান করে তারা সাধারণত সহিংস কাজে জড়িয়ে যায়। অবশ্য উঠতি প্রজন্মের উন্মত্ত আচরণের জন্য কেবল ঠাণ্ডা কার্বন পানীয়ই এককভাবে দায়ী কি না গবেষকরা তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
এর আগে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের পৃথক আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, কার্বনমিশ্রিত পানীয়গুলোতে পুষ্টির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত কম থাকার কারণেই এটি গ্রহণ করার পর তা মস্তিষ্কের উপাদানগুলোকে খুব ধীর গতিতে চালিত করে। ফলে মেজাজ চড়া থাকে এবং এই কারণেই গ্রহণকারী একটুতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
ব্রিটেনের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক পিটার কিন্ডারম্যান অবশ্য এই দুটি গবেষণাকে সরাসরি গ্রহণ না করে জানিয়েছেন, শুধু কোমলপানীয় নয়, উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের একটুতেই উত্তেজিত হওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রজন্মটার মানসিক অবস্থা ভীষণ জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাই এককভাবে কোমল পানীয়গুলোকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী করা ঠিক হবে না। তবে একক কারণ যদি নাও হয়, পুষ্টিগুণবিহীন কার্বন পানি নিয়মিত গ্রহণ করা যে তরুণ প্রজন্মের একটুতেই উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, তা তিনিও অস্বীকার করেননি। সূত্র : ডেইলি মেইল।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গবেষক 'ইনজুরি প্রিভেনশন' নামে একটি অনলাইন সাময়িকীতে সম্প্রতি তাদের গবেষণার তথ্য ও জরিপকৃত উপাত্ত প্রকাশ করেছেন। বোস্টন শহরে ১৪ থেকে ১৮ বছরের ১৮৭৮ জন উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের ওপর গবেষণার পর তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়মিতভাবে দিনে মাত্র একবার একটি ঠাণ্ডা কার্বনমিশ্রিত কোমলপানীয় পান করলে এর সরাসরি প্রভাব পড়ে পানকারীর আচার-আচরণে। ঠাণ্ডা পানীয়টির প্রভাবে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ের ব্যবহার অস্বাভাবিক হয়ে যায়, প্রকাশ পায় উন্মত্ততার লক্ষণ। এই পানীয় তাদের উত্তেজিত করে তোলে। এর ফলে তারা অসহিষ্ণু ও সহিংস হচ্ছে। এমনকি অনেকে অস্ত্র বহন করতেও দ্বিধা করছে না। গবেষণায় বলা হয়, সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচ দিন যারা কার্বনমিশ্রিত পানি পান করে তারা সাধারণত সহিংস কাজে জড়িয়ে যায়। অবশ্য উঠতি প্রজন্মের উন্মত্ত আচরণের জন্য কেবল ঠাণ্ডা কার্বন পানীয়ই এককভাবে দায়ী কি না গবেষকরা তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
এর আগে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের পৃথক আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, কার্বনমিশ্রিত পানীয়গুলোতে পুষ্টির পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত কম থাকার কারণেই এটি গ্রহণ করার পর তা মস্তিষ্কের উপাদানগুলোকে খুব ধীর গতিতে চালিত করে। ফলে মেজাজ চড়া থাকে এবং এই কারণেই গ্রহণকারী একটুতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
ব্রিটেনের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক পিটার কিন্ডারম্যান অবশ্য এই দুটি গবেষণাকে সরাসরি গ্রহণ না করে জানিয়েছেন, শুধু কোমলপানীয় নয়, উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের একটুতেই উত্তেজিত হওয়ার আরো অনেক কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, এই প্রজন্মটার মানসিক অবস্থা ভীষণ জটিল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তাই এককভাবে কোমল পানীয়গুলোকে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী করা ঠিক হবে না। তবে একক কারণ যদি নাও হয়, পুষ্টিগুণবিহীন কার্বন পানি নিয়মিত গ্রহণ করা যে তরুণ প্রজন্মের একটুতেই উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, তা তিনিও অস্বীকার করেননি। সূত্র : ডেইলি মেইল।
No comments