মেধাসম্পদ রক্ষায় আইন জোরদার হচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী

বাংলাদেশে মেধাসম্পদের নকল প্রতিরোধে আইনি কাঠামো জোরদার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ট্রেড মার্কস আইনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। পেটেন্ট আইন-২০১১ ও ডিজাইন আইন ২০১১-এর খসড়া চূড়ান্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত 'প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেধাসম্পদের ব্যবহার' শীর্ষক জাতীয় নীতি সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এসব কথা বলেন। দেশীয় মেধাসম্পদের সুরক্ষায় শিগগিরই জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস (জিআই) আইন এবং ইউটিলিটি মডেল আইনও প্রণয়ন করা হবে বলে তিনি জানান।


বাংলাদেশে সমন্বিত মেধাসম্পদ কার্যালয় স্থাপনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে মেধাসম্পদের পরিচর্যা ও মালিকানা সংরক্ষণ প্রয়োজন।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়ন প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, আগামী দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি মেধাসম্পদ সংরক্ষণের ওপর আরো নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাই এখনই এ ব্যাপারে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার বি এম কামাল বলেন, মানুষের সৃজনশীল ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন পৃথিবীতে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হচ্ছে। প্রযুক্তিগত এসব উদ্ভাবন শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে।
বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার সহায়তায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে। শিল্পসচিব মাসুদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার পরিচালক কিফল সেনক্রু, উপরেজিস্ট্রার হাবিবুল কবির চৌধুরী বক্তব্য দেন। এ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি মেধাসম্পদ বিশেষজ্ঞ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, আইপি সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.