আমিনীর বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু নেই : ফখরুল
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীর বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমিনীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মানে গোটা জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। আমিনীর বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের কোনো উপাদান খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি অবিলম্বে আমিনীকে 'গৃহবন্দিত্ব' থেকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মুফতি আমিনীর বিরুদ্ধে মামলা করেন, কিন্তু ড. কামাল হোসেন বা শাহদীন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন না কেন?
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইসলামী ঐক্যজোটের ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিজেপির মহাসচিব শামীম আল মামুন ও ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হয়। কিন্তু আমিনী কী করেছেন যে, তাঁর নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর কাজকর্মে আমরা রাষ্ট্রদ্রোহ পাইনি। বরং দেশের মানুষ ও দেশের জন্য তাঁর কার্যক্রম আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি একজন নির্ভীক রাজনীতিক; সত্য কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেন। আমিনীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা শুধু আমিনীর নামে নয়, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ইসলামী শক্তির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'পঞ্চদশ সংশোধনী এনে সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা জানি, জিয়াউর রহমান পবিত্র সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছিলেন। এই সরকার যে প্রতারক সরকার, তার উদাহরণ এই সংবিধান সংশোধন। তারা একদিকে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম রাখলেও এর অর্থ বিকৃত করেছে। তারা আল্লাহর ওপর আস্থা তুলে দিয়েছে। এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদেরই সমর্থক একজন ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক বলেছেন, 'সরকার কি বাংলাদেশের সব মানুষকে আহাম্মক ভেবেছে যে যা ইচ্ছা তাই করে যাবে'।''
মির্জা ফখরুল বলেন, '৭৫-এর বাকশালের লেবাস শুধু পরিবর্তন করেছে সরকার। মানে নতুন বোতলে পুরনো মদ ঢেলে দিয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আলখেল্লা পরিয়ে পুরনো বাকশাল নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি একজন মন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া ও আমার বিরুদ্ধে প্রতিদিন একটা করে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া যায়। গ্রামের মোড়লরা যেমন মামলাবাজ, তাঁরাও তেমন। তাঁরা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন করতে চান। মন্ত্রীরাও সে রকম কথা বলছেন। তাঁরা গ্রামের রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতির পার্থক্য বোঝেন না।'
ফখরুল বলেন, সরকার ও রাষ্ট্র এক নয়। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করা মৌলিক অধিকার। পঞ্চদশ সংশোধনীতে যে বিধি-বিধান করা হয়েছে, তা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সামনে এর আগে এত গভীর সংকট কখনো সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচনের আগে তারা ওয়াদা করেছিল দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। কিন্তু পদ্মা সেতুতে কী হয়েছে সবাই জানে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-জাইকা-এডিবি দুর্নীতির কারণে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আপনারা বলছেন খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, যাঁর স্বামী মুক্তিযুদ্ধ শুরু করলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিলেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিলেন তাঁরা কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান না। তাঁরা দাঁড়ান আপনাদের মতো সেই সব লোকের বিরুদ্ধে, যাঁরা স্বাধীনতা ও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র করেন।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হয়। কিন্তু আমিনী কী করেছেন যে, তাঁর নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর কাজকর্মে আমরা রাষ্ট্রদ্রোহ পাইনি। বরং দেশের মানুষ ও দেশের জন্য তাঁর কার্যক্রম আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি একজন নির্ভীক রাজনীতিক; সত্য কথা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করেন। আমিনীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা শুধু আমিনীর নামে নয়, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ইসলামী শক্তির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।'
মির্জা ফখরুল বলেন, 'পঞ্চদশ সংশোধনী এনে সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আমরা জানি, জিয়াউর রহমান পবিত্র সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছিলেন। এই সরকার যে প্রতারক সরকার, তার উদাহরণ এই সংবিধান সংশোধন। তারা একদিকে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম রাখলেও এর অর্থ বিকৃত করেছে। তারা আল্লাহর ওপর আস্থা তুলে দিয়েছে। এটা প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়। তাদেরই সমর্থক একজন ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদক বলেছেন, 'সরকার কি বাংলাদেশের সব মানুষকে আহাম্মক ভেবেছে যে যা ইচ্ছা তাই করে যাবে'।''
মির্জা ফখরুল বলেন, '৭৫-এর বাকশালের লেবাস শুধু পরিবর্তন করেছে সরকার। মানে নতুন বোতলে পুরনো মদ ঢেলে দিয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আলখেল্লা পরিয়ে পুরনো বাকশাল নিয়ে এসেছে। সম্প্রতি একজন মন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া ও আমার বিরুদ্ধে প্রতিদিন একটা করে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেওয়া যায়। গ্রামের মোড়লরা যেমন মামলাবাজ, তাঁরাও তেমন। তাঁরা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন করতে চান। মন্ত্রীরাও সে রকম কথা বলছেন। তাঁরা গ্রামের রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতির পার্থক্য বোঝেন না।'
ফখরুল বলেন, সরকার ও রাষ্ট্র এক নয়। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করা মৌলিক অধিকার। পঞ্চদশ সংশোধনীতে যে বিধি-বিধান করা হয়েছে, তা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের সামনে এর আগে এত গভীর সংকট কখনো সৃষ্টি হয়নি। নির্বাচনের আগে তারা ওয়াদা করেছিল দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। কিন্তু পদ্মা সেতুতে কী হয়েছে সবাই জানে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ-জাইকা-এডিবি দুর্নীতির কারণে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, 'আপনারা বলছেন খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, যাঁর স্বামী মুক্তিযুদ্ধ শুরু করলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিলেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিলেন তাঁরা কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান না। তাঁরা দাঁড়ান আপনাদের মতো সেই সব লোকের বিরুদ্ধে, যাঁরা স্বাধীনতা ও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে সব সময় ষড়যন্ত্র করেন।'
No comments