শর্ত শিথিলের প্রস্তাব নাকচ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক by জাকির হোসেন
বেসরকারি খাতে নতুন ব্যাংক স্থাপনের শর্ত শিথিলের প্রস্তাব নাকচ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রস্তাব উঠলে পর্ষদ তা অনুমোদন করেনি। নতুন ব্যাংক পেতে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব শর্ত জুড়ে দিয়েছে তার কয়েকটি শিথিলের জন্য রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। গতকালের পর্ষদ সভায় বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর সর্বসম্মতিক্রমে শর্ত শিথিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য সমকালকে জানিয়েছেন, গত মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে নতুন ব্যাংক স্থাপনের অনুমোদন দেয়।
এর আলোকে সম্প্রতি নতুন ব্যাংকের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। যেসব কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে তাতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী যারা নতুন ব্যাংক পেতে চান, তাদের অনেকেই যোগ্য হবেন না। ব্যাংকের আবেদন করতে অনেকেই সমস্যায় পড়ে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ
জন্য কিছু শর্ত শিথিলের প্রস্তাব আনঅফিসিয়ালি এসেছে। গতকালের বৈঠকে সেটি আলোচনা হয়।
নতুন ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালায় বলা হয়েছে, গত ৫ বছরের মধ্যে ঋণ বা করখেলাপি থাকলে এবং এ বিষয়ক কোনো মামলা অনিষ্পন্ন থাকলে তিনি নতুন ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এই শর্ত থেকে ৫ বছর ও মামলার বিষয়টি বাদ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব এসেছে। এ প্রস্তাবের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদের মতামত হলো, এখন যারা ঋণখেলাপি বা করখেলাপি রয়েছেন তারা ঋণ পুনঃতফসিল কিংবা জরিমানা দিয়ে কর পরিশোধ করতে পারেন। এ কারণে শর্তারোপের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ড বিবেচেনায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন ব্যাংকের মূলধন ৪শ' কোটি টাকা থেকে কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। এ ব্যাপারে পর্ষদ বলেছে, ভারতে নতুন ব্যাংকের নূ্যনতম মূলধন ৫শ' কোটি এবং পাকিস্তানে ৮শ' কোটি রুপি। বাংলাদেশে সে বিবেচনায় কম রয়েছে। এছাড়া পরিচালকের সংখ্যা কমানোর প্রস্তাবও রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ মনে করে, ব্যাংকের পর্ষদে কম লোক থাকলে তা সুশাসনের জন্য ভালো। ব্যাংকের উদ্যোক্তা বেশি হলে তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি নেই।
জন্য কিছু শর্ত শিথিলের প্রস্তাব আনঅফিসিয়ালি এসেছে। গতকালের বৈঠকে সেটি আলোচনা হয়।
নতুন ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালায় বলা হয়েছে, গত ৫ বছরের মধ্যে ঋণ বা করখেলাপি থাকলে এবং এ বিষয়ক কোনো মামলা অনিষ্পন্ন থাকলে তিনি নতুন ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এই শর্ত থেকে ৫ বছর ও মামলার বিষয়টি বাদ দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব এসেছে। এ প্রস্তাবের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্ষদের মতামত হলো, এখন যারা ঋণখেলাপি বা করখেলাপি রয়েছেন তারা ঋণ পুনঃতফসিল কিংবা জরিমানা দিয়ে কর পরিশোধ করতে পারেন। এ কারণে শর্তারোপের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ড বিবেচেনায় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন ব্যাংকের মূলধন ৪শ' কোটি টাকা থেকে কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। এ ব্যাপারে পর্ষদ বলেছে, ভারতে নতুন ব্যাংকের নূ্যনতম মূলধন ৫শ' কোটি এবং পাকিস্তানে ৮শ' কোটি রুপি। বাংলাদেশে সে বিবেচনায় কম রয়েছে। এছাড়া পরিচালকের সংখ্যা কমানোর প্রস্তাবও রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পর্ষদ মনে করে, ব্যাংকের পর্ষদে কম লোক থাকলে তা সুশাসনের জন্য ভালো। ব্যাংকের উদ্যোক্তা বেশি হলে তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি নেই।
No comments