ইইউ নিয়ে গণভোট হবে না-ক্যামেরনের নির্দেশ সত্ত্বেও বিপক্ষে ভোট ৮১ টোরি এমপির-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এই প্রথম দলে তীব্র বিরোধিতার শিকার ক্যামেরন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। সরকারের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যাত হলেও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এ বিষয়ে নিজ দলের এমপিদের তীব্র বিরোধীতার শিকার হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ৮১ জন এমপি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।ইইউয়ের সঙ্গে থাকা বা না থাকা-সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে গত সোমবার ওই ভোটাভুটি হয়। এতে কনজারভেটিভ পার্টি তাদের জোটসঙ্গী লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির সমর্থনে জিতে যায়।
প্রস্তাবের পক্ষে পড়েছে ৪৮৩ ভোট। বিপক্ষে পড়েছে ১১১ ভোট। এর মধ্যে আবার ৮১টি ভোটই কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যদের। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন এমপি ভোটদানে বিরত ছিলেন।
ঋণ সংকটে জর্জরিত ইউরোজোনকে এখনই বিদায় জানানোর বা বিষয়টি সুরাহায় কোনো গণভোট আয়োজনের ইচ্ছা এ মুহূর্তে ক্যামেরনের নেই। তিনি মনে করেন, ব্রিটিশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্যই ইউরোপে তাঁদের জোরালো কণ্ঠ থাকা প্রয়োজন। তিনি স্পষ্টভাবেই ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য দলীয় এমপিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে তাতে কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকালে গত ১৮ মাসে এই প্রথম দলে তীব্র বিরোধিতার শিকার হলেন ক্যামেরন।
ইইউতে থাকা-না থাকা নিয়ে ব্রিটেনে বিরোধ নতুন নয়। প্রায় চার দশক ধরে এ দ্বন্দ্ব চলছে। কনজারভেটিভ দলের ভেতর ১৯৯০-এর দশক থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। ছয় বছর আগে ক্যামেরন দলীয় প্রধানের পদ গ্রহণের পরই বিষয়টি সুরাহার অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে তিনি যে সফল হননি, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ গত সোমবারের ভোট। গত মার্চে লক্ষাধিক মানুষ ইইউয়ের সদস্যপদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন জমা দেয়। ফলে আবারো বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই পার্লামেন্টে গণভোটের প্রস্তাব তোলা হয়। ইইউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা বা না রাখা নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার গণভোটের দাবি উঠেছে ব্রিটেনে।
এবার শুরু থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, গণভোটের প্রস্তাব খুব সহজেই পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্পষ্ট হয়ে উঠে, টোরি এমপিদের বড় একটি অংশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিবেন। যদিও এ বিলের ব্যাপারে মন্ত্রীদের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। প্রস্তাব পাস হলেও তা বাস্তবায়নের বাধ্য নয় সরকার।
ভোটভুটির আগে পার্লামেন্টের সহকর্মীদের সামনে দেওয়া ভাষণে ক্যামেরন বলেন, প্রস্তাবের বিরোধীরা যে সংস্কারের কথা বলছেন, তার সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বিমত নেই। 'সামনে সংস্কারের সময় আসছে' বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্রাসেলসের (ইইউয়ের সদরদপ্তর) কাছ থেকে আরো ক্ষমতা ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতীজ্ঞ তিনি। তবে গণভোটের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইইউ বর্তমানে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এটা গণভোটের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থেই এখন ইইউয়ের সঙ্গে থাকা উচিত। তিনি বলেন, 'প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে প্রথম চেষ্টাই হওয়া উচিত তাদের আগুনের ভেতর থেকে বের করে আনা। সেই সঙ্গে নিজের বাড়িকে আগুন থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টাও থাকবে।'
বিরোধী দল লেবার পার্টি বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য চরম অবমাননাকর হিসেবে অভিহিত করেছে। দলীয় প্রধান এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ড এ প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটা অসম্মানজনক। এর থেকেই স্পষ্ট যে, 'টোরির (কনজারভেটিভ পার্টি) এমপিরা ব্রিটেনের জন্য নয়, বরং নিজেদের মধ্যে লড়তেই বেশি আগ্রহী।'
বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন না টোরিদের শিক্ষামন্ত্রী মিশেল গভ। তাঁর মতে, এখানে অসম্মানের কিছু নেই। সরকার ও দলীয় এমপিদের লক্ষ্য এক। দলে কোনো বিরোধ নেই। তবে মতানৈক্য রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দলের বিরোধিতাকারী এমপিদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
মতামত জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউয়ের সদস্যপদের ব্যাপারে গণভোট চায়। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আরেক জরিপে দেখা যায়, ৪৯ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউয়ের সঙ্গে থাকতে আগ্রহী নয়। আর ইইউতে থাকতে চায় ৪১ শতাংশ মানুষ। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
ঋণ সংকটে জর্জরিত ইউরোজোনকে এখনই বিদায় জানানোর বা বিষয়টি সুরাহায় কোনো গণভোট আয়োজনের ইচ্ছা এ মুহূর্তে ক্যামেরনের নেই। তিনি মনে করেন, ব্রিটিশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্যই ইউরোপে তাঁদের জোরালো কণ্ঠ থাকা প্রয়োজন। তিনি স্পষ্টভাবেই ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য দলীয় এমপিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে তাতে কাজ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকালে গত ১৮ মাসে এই প্রথম দলে তীব্র বিরোধিতার শিকার হলেন ক্যামেরন।
ইইউতে থাকা-না থাকা নিয়ে ব্রিটেনে বিরোধ নতুন নয়। প্রায় চার দশক ধরে এ দ্বন্দ্ব চলছে। কনজারভেটিভ দলের ভেতর ১৯৯০-এর দশক থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিভক্তি রয়েছে। ছয় বছর আগে ক্যামেরন দলীয় প্রধানের পদ গ্রহণের পরই বিষয়টি সুরাহার অঙ্গীকার করেছিলেন। তবে তিনি যে সফল হননি, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ গত সোমবারের ভোট। গত মার্চে লক্ষাধিক মানুষ ইইউয়ের সদস্যপদ নিয়ে গণভোট আয়োজনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন জমা দেয়। ফলে আবারো বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই পার্লামেন্টে গণভোটের প্রস্তাব তোলা হয়। ইইউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা বা না রাখা নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার গণভোটের দাবি উঠেছে ব্রিটেনে।
এবার শুরু থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, গণভোটের প্রস্তাব খুব সহজেই পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে স্পষ্ট হয়ে উঠে, টোরি এমপিদের বড় একটি অংশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিবেন। যদিও এ বিলের ব্যাপারে মন্ত্রীদের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। প্রস্তাব পাস হলেও তা বাস্তবায়নের বাধ্য নয় সরকার।
ভোটভুটির আগে পার্লামেন্টের সহকর্মীদের সামনে দেওয়া ভাষণে ক্যামেরন বলেন, প্রস্তাবের বিরোধীরা যে সংস্কারের কথা বলছেন, তার সঙ্গে তাঁর কোনো দ্বিমত নেই। 'সামনে সংস্কারের সময় আসছে' বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্রাসেলসের (ইইউয়ের সদরদপ্তর) কাছ থেকে আরো ক্ষমতা ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতীজ্ঞ তিনি। তবে গণভোটের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইইউ বর্তমানে প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। এটা গণভোটের জন্য উপযুক্ত সময় নয়। ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থেই এখন ইইউয়ের সঙ্গে থাকা উচিত। তিনি বলেন, 'প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন লাগলে প্রথম চেষ্টাই হওয়া উচিত তাদের আগুনের ভেতর থেকে বের করে আনা। সেই সঙ্গে নিজের বাড়িকে আগুন থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টাও থাকবে।'
বিরোধী দল লেবার পার্টি বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য চরম অবমাননাকর হিসেবে অভিহিত করেছে। দলীয় প্রধান এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ড এ প্রসঙ্গে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটা অসম্মানজনক। এর থেকেই স্পষ্ট যে, 'টোরির (কনজারভেটিভ পার্টি) এমপিরা ব্রিটেনের জন্য নয়, বরং নিজেদের মধ্যে লড়তেই বেশি আগ্রহী।'
বিষয়টিকে এভাবে দেখছেন না টোরিদের শিক্ষামন্ত্রী মিশেল গভ। তাঁর মতে, এখানে অসম্মানের কিছু নেই। সরকার ও দলীয় এমপিদের লক্ষ্য এক। দলে কোনো বিরোধ নেই। তবে মতানৈক্য রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, দলের বিরোধিতাকারী এমপিদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
মতামত জরিপে দেখা যায়, ৬৮ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউয়ের সদস্যপদের ব্যাপারে গণভোট চায়। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আরেক জরিপে দেখা যায়, ৪৯ শতাংশ ব্রিটিশ ইইউয়ের সঙ্গে থাকতে আগ্রহী নয়। আর ইইউতে থাকতে চায় ৪১ শতাংশ মানুষ। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, আলজাজিরা।
No comments