চট্টগ্রাম বন্দরে চালু হচ্ছে নতুন শ্রম শাখা by আসিফ সিদ্দিকী,
চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত ৯ হাজার শ্রমিককে পরিচালনা করতে নতুন শ্রম শাখা চালু হচ্ছে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড বিলুপ্তির পর শ্রমিকদের দেখভাল করার কোনো সংগঠন বন্দরে ছিল না। ফলে দাবিদাওয়া না মানায় শ্রমিকরা একাধিকবার বন্দর অচল করেছেন। এতে বন্দরের স্বাভাবিক গতিশীলতা নষ্ট হয়েছে।এই প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখতে সরকার গত বছরের মার্চে শ্রম শাখা চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর হতে দেড় বছর লেগেছে। গত ২ অক্টোবর একটি গেজেটের মাধ্যমে এ শাখা এডহক ভিত্তিতে চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার।
১৬ সদস্যবিশিষ্ট শ্রম শাখার কার্যক্রম আগামী রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। পুরনো ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড অফিস দিয়েই এর কাজ শুরু হবে।
এ শাখার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিবন্ধন, শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ তদারকি করা, মজুরি বোনাস নিশ্চিত করা, কাজের পালা নির্ধারণ, বার্থ অপারেটরদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করা ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গেজেটে।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নতুন শ্রম শাখার চিফ ওয়েলফেয়ার অফিসার সাদেকা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, '৯ অক্টোবর থেকে সরকারিভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রম শাখায় যোগদান করতে কিছু সময় লাগায় একটু সময় লাগছে। এ ছাড়া অফিস গোছাতেও কিছু সময় লাগছে। রবিবার থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে।' গেজেটে বলা হয়েছে, আপাতত বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করে শ্রম শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন লোকবল নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওই পদে কর্মরত থাকবেন। নতুন শ্রম শাখায় একজন চিফ ওয়েলফেয়ার অফিসার ছাড়াও একজন সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার, দুজন ওয়েলফেয়ার অফিসার, ছয়জন পরিদর্শক, চারজন কম্পিউটার অপারেটর ও দুজন এমএলএসএস থাকবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) বিভাগ এ শাখা কার্যক্রম তদারকি করবে।
ডক বন্দর শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ শ্রম শাখা গঠনকে সাধুবাদ জানিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে গঠিত এই শাখা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করবে বলে আশা করছি।'
জানা গেছে, আগে ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করত। বন্দরে কর্মরত ডক শ্রমিকদের পরিচালনা করা হতো ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড থেকে। আর মার্চেন্ট শ্রমিক পরিচালিত হতো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন দিয়ে। স্টিভিডোরস স্টাফদের পরিচালনা করা হতো বাংলাদেশ মাস্টারস স্টিভিডোরস অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে। অর্থাৎ তিন ধরনের শ্রমিক তিনটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালিত হতো। বন্দর ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড বিলুপ্তির আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ডক শ্রমিক, মার্চেন্ট শ্রমিক, স্টিভিডোরিং স্টাফ মিলিয়ে নিবন্ধিত মোট ৯ হাজার শ্রমিক কর্মরত। ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ, কাজের পালা (রোটেশন) নির্ধারণ, শ্রমিকদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো।
কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গেজেট করে ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড বিলুপ্ত করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চট্টগ্রাম বন্দরে আত্তীকরণ করা হয়। জরুরি অবস্থা চলাকালীন শ্রমিকরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুযোগ না পেলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন ছাড়াও একাধিকবার বন্দর অচলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বারবার বন্দরে অস্থিতিশীলতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরকার গত বছর মার্চে নতুন শ্রম অফিস চালুর নির্দেশ দেয়। বন্দরের লেসিং-আনলেসিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শ্রম শাখা গঠিত হওয়ার পর প্রথম কাজ হবে সুষ্ঠুভাবে ঈদের বেতন-বোনাস শ্রমিকদের নিশ্চিত করা।'
এ শাখার মাধ্যমে শ্রমিকদের নিবন্ধন, শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ তদারকি করা, মজুরি বোনাস নিশ্চিত করা, কাজের পালা নির্ধারণ, বার্থ অপারেটরদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করা ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে গেজেটে।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নতুন শ্রম শাখার চিফ ওয়েলফেয়ার অফিসার সাদেকা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, '৯ অক্টোবর থেকে সরকারিভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শ্রম শাখায় যোগদান করতে কিছু সময় লাগায় একটু সময় লাগছে। এ ছাড়া অফিস গোছাতেও কিছু সময় লাগছে। রবিবার থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে।' গেজেটে বলা হয়েছে, আপাতত বন্দরের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িকভাবে স্থানান্তর করে শ্রম শাখায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন লোকবল নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওই পদে কর্মরত থাকবেন। নতুন শ্রম শাখায় একজন চিফ ওয়েলফেয়ার অফিসার ছাড়াও একজন সিনিয়র ওয়েলফেয়ার অফিসার, দুজন ওয়েলফেয়ার অফিসার, ছয়জন পরিদর্শক, চারজন কম্পিউটার অপারেটর ও দুজন এমএলএসএস থাকবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) বিভাগ এ শাখা কার্যক্রম তদারকি করবে।
ডক বন্দর শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আহাদ শ্রম শাখা গঠনকে সাধুবাদ জানিয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে গঠিত এই শাখা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করবে বলে আশা করছি।'
জানা গেছে, আগে ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করত। বন্দরে কর্মরত ডক শ্রমিকদের পরিচালনা করা হতো ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড থেকে। আর মার্চেন্ট শ্রমিক পরিচালিত হতো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন দিয়ে। স্টিভিডোরস স্টাফদের পরিচালনা করা হতো বাংলাদেশ মাস্টারস স্টিভিডোরস অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে। অর্থাৎ তিন ধরনের শ্রমিক তিনটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালিত হতো। বন্দর ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড বিলুপ্তির আগে চট্টগ্রাম বন্দরে ডক শ্রমিক, মার্চেন্ট শ্রমিক, স্টিভিডোরিং স্টাফ মিলিয়ে নিবন্ধিত মোট ৯ হাজার শ্রমিক কর্মরত। ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ, কাজের পালা (রোটেশন) নির্ধারণ, শ্রমিকদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো।
কিন্তু নানা অনিয়মের কারণে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গেজেট করে ডক শ্রমিক ব্যবস্থাপনা বোর্ড বিলুপ্ত করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চট্টগ্রাম বন্দরে আত্তীকরণ করা হয়। জরুরি অবস্থা চলাকালীন শ্রমিকরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুযোগ না পেলেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন ছাড়াও একাধিকবার বন্দর অচলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বারবার বন্দরে অস্থিতিশীলতার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরকার গত বছর মার্চে নতুন শ্রম অফিস চালুর নির্দেশ দেয়। বন্দরের লেসিং-আনলেসিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'শ্রম শাখা গঠিত হওয়ার পর প্রথম কাজ হবে সুষ্ঠুভাবে ঈদের বেতন-বোনাস শ্রমিকদের নিশ্চিত করা।'
No comments