কাদরিকে দণ্ড দেওয়া বিচারক প্রাণভয়ে সৌদিতে
পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরের হত্যাকারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া বিচারক সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছেন। কট্টরপন্থীরা হত্যার হুমকি দেওয়ায় পাকিস্তান সরকারই তাঁকে সৌদিতে পাঠিয়েছে।বিতর্কিত ব্লাসফেমি (ধর্ম অবমাননা নিরোধ আইন) আইনের বিরোধিতা করায় গত ৪ জানুয়ারি খুন হন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান। দেহরক্ষী মালিক মুমতাজ হোসেন কাদরি তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন। ঘটনাস্থল থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি খুনের দায় স্বীকার করেন। এ মামলায় গত ১ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালতের বিচারক পারভেজ আলী শাহ কাদরির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ওই দণ্ড স্থগিত করেন।
কাদরির পক্ষের আইনজীবীদের করা আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দণ্ড স্থগিত থাকবে।
কাদরির বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেঁৗসুলি সাইফুল মালুক বলেন, 'কাদরিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর থেকেই ইসলামী উগ্রপন্থীরা বিচারক আলী শাহকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার সপরিবারে তাঁকে সৌদিতে পাঠিয়ে দিয়েছে।' উগ্রপন্থীরা যেকোনো সময় তাঁকে হত্যা করতে পারে_গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ব্লাসফেমি আইনের আওতায় গত বছর পাঞ্জাবে আসিয়া বিবি নামে খ্রিস্টান এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরা ওই রায়ের সমালোচনা করেন। তাঁরা এ আইন সংশোধনের দাবি জানায়। ওই নেতাদের মধ্যে সালমান তাসিরও ছিলেন। সূত্র : এনডিটিভি।
কাদরির বিচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেঁৗসুলি সাইফুল মালুক বলেন, 'কাদরিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়ার পর থেকেই ইসলামী উগ্রপন্থীরা বিচারক আলী শাহকে হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকার সপরিবারে তাঁকে সৌদিতে পাঠিয়ে দিয়েছে।' উগ্রপন্থীরা যেকোনো সময় তাঁকে হত্যা করতে পারে_গোয়েন্দাদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পর সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ব্লাসফেমি আইনের আওতায় গত বছর পাঞ্জাবে আসিয়া বিবি নামে খ্রিস্টান এক নারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। পাকিস্তানের মানবাধিকারকর্মী ও উদারপন্থী রাজনীতিবিদরা ওই রায়ের সমালোচনা করেন। তাঁরা এ আইন সংশোধনের দাবি জানায়। ওই নেতাদের মধ্যে সালমান তাসিরও ছিলেন। সূত্র : এনডিটিভি।
No comments