নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-নির্বাচন নিরপেক্ষ নাও হতে পারে : বিএনপি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচন নিরপেক্ষ নাও হতে পারে_এমন আশঙ্কা করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, 'বর্তমান নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট। তাদের অধীনে অতীতে কেনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি আর ভবিষ্যতেও হতে পারে না।'গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি পরিষদ উপলক্ষে যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আমাদের দলের একজন নেতা সেখানে প্রার্থী হয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কয়েক দিন ধরে সেখানে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমাদের দলীয় প্রার্থীর বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হওয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মনে হয়।' সভায় জানানো হয়, ১ থেকে ৫ নভেম্বর এবং ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি।
যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু এমপি, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সমপাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, এম ইলিয়াস আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সমপাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহদপ্তর সমপাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সমপাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংস্কৃতিকবিষয়ক সমপাদক এম এ মালেক, দলের সহ-মহিলাবিষয়ক সমপাদক ও মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা ও সাধারণ সম্পাদিকা শিরীন সুলতানা, বিএনপি নেতা রাশেদা বেগম হীরা এমপি, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, 'নির্বাচন কমিশন যা-ই বলুক, আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, ওই মেশিনে ভোটের ফল পরিবর্তন করা যায়। এর মাধ্যমে কারচুপি করা সম্ভব। এ জন্য আমরা জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চাই না বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলে আসছেন। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম।'
৭ নভেম্বর সম্পর্কে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর এক ঘটনাবহুল দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের একপর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের উৎখাত করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে আটক করা হয়।' তিনি আরো বলেন, 'জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের ৭ নভেম্বর এক পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াকে মুক্ত করেন। সেই থেকেই ৭ নভেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে আমরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করি। এ দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৭ নভেম্বর সরকারি ছুটি বাতিল করে।'
৭ নভেম্বর উপলক্ষে কর্মসূচি : 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২ নভেম্বর বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা। ঈদুল আজহার জন্য ৬ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে চার দিনের বিরতি থাকবে। ৭ নভেম্বর বিএনপির 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ১০ নভেম্বর আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে বলে আবদুল্লাহ আল নোমান জানান। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও ৭ নভেম্বর পালনের জন্য জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যৌথ সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু এমপি, রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সমপাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, এম ইলিয়াস আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সমপাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহদপ্তর সমপাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সমপাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংস্কৃতিকবিষয়ক সমপাদক এম এ মালেক, দলের সহ-মহিলাবিষয়ক সমপাদক ও মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা ও সাধারণ সম্পাদিকা শিরীন সুলতানা, বিএনপি নেতা রাশেদা বেগম হীরা এমপি, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে নোমান বলেন, 'নির্বাচন কমিশন যা-ই বলুক, আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, ওই মেশিনে ভোটের ফল পরিবর্তন করা যায়। এর মাধ্যমে কারচুপি করা সম্ভব। এ জন্য আমরা জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চাই না বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও ইভিএমের বিপক্ষে কথা বলে আসছেন। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন মেয়র পদপ্রার্থী তৈমূর আলম।'
৭ নভেম্বর সম্পর্কে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, 'স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর এক ঘটনাবহুল দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পালাবদলের একপর্যায়ে সেনানিবাসে বন্দি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর মুক্ত হন। নিহত হন খালেদ মোশাররফসহ অনেক সেনা কর্মকর্তা। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের উৎখাত করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থান হয়। ওই সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে আটক করা হয়।' তিনি আরো বলেন, 'জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে যুক্ত মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহের ৭ নভেম্বর এক পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াকে মুক্ত করেন। সেই থেকেই ৭ নভেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে আমরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করি। এ দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৭ নভেম্বর সরকারি ছুটি বাতিল করে।'
৭ নভেম্বর উপলক্ষে কর্মসূচি : 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২ নভেম্বর বিকেল ৩টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা। ঈদুল আজহার জন্য ৬ থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে চার দিনের বিরতি থাকবে। ৭ নভেম্বর বিএনপির 'বিপ্লব ও সংহতি দিবস'-এ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের নেতা-কর্মীরা। ১০ নভেম্বর আরেকটি আলোচনা সভা হবে। এরপর শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে বলে আবদুল্লাহ আল নোমান জানান। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও ৭ নভেম্বর পালনের জন্য জেলা নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments