আত্মবিশ্বাসী শ্রীলঙ্কা, তবে এগিয়ে পাকিস্তান

কুমার সাঙ্গাকারার ডাবল সেঞ্চুরি, প্রসন্ন জয়াবর্ধনের সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের জয় কেড়ে নেওয়ায় শ্রীলঙ্কার এ দুই ব্যাটসম্যানের ইনিংস দুটির চেয়েও অবদান কোনো অংশে কম ছিল না খোদ পাকিস্তানিদের। দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে যে ছয় ছয়টি ক্যাচ ফেলেছেন তাঁরা! আর সে কারণেই এখন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশান বলতে পারছেন, দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে বরং মানসিকভাবে এগিয়ে থাকবে তাঁর দলই। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ থেকেই শুরু হচ্ছে সেই টেস্ট, কিন্তু দিলশান যতই আত্মবিশ্বাসী হোন_অন্তত কাগজে-কলমে হলেও এ ম্যাচে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে মিসবাহ-উল হকের দলকেই।


কারণ, বোলিং। ইনজুরি আর কেলেঙ্কারি কেড়ে নিয়েছে মোহাম্মদ আসিফ-মোহাম্মদ আমিরের মতো বোলারকে। তার পরও অন্তত ফাস্ট বোলিংয়ে পাকিস্তানের সুজলা-সুফলা ধারা এখনো সতেজ। আবুধাবিতে সেই ধারায় নতুন যোগ হয়েছে জুনায়েদ খানের নাম। এ বাঁহাতি পেসারের সঙ্গে উমর গুলের নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনের সামনে প্রথম ইনিংসে রীতিমতো অসহায়ই মনে হয়েছিল শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের, দ্বিতীয় ইনিংসেও হতে পারত পাকিস্তানি ফিল্ডাররা অমন 'বদান্যতা' না দেখালে। অন্য দিকে মুরালিধরন-ভাসদের বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কানরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে টেস্ট জয়ে বোলারদের কত প্রয়োজন! আবুধাবি টেস্টে একবারের জন্যও মনে হয়নি পাকিস্তানের ২০ উইকেট তুলে নিতে পারবে তারা। সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে-দিলশানরা মিলে আবুধাবির মতো করে ম্যাচ বাঁচিয়ে হয়তো দিতে পারবেন, কিন্তু জয় পেতে চাইলে জ্বলে উঠতে হবে বোলারদের। এখানেই পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা। তাই দিলশান যতই বলুন, 'আবুধাবির ড্রটা আমাদের অনেকটা এগিয়ে রাখবে'_আসলে এগিয়ে থাকবে পাকিস্তানই।
পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক বলছেন, তাঁর দলকে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে আরো। তবে শুধু ফিল্ডিংই নয়, ব্যাটিং নিয়েও একটু ভাবতে হবে তাঁদের। আবুধাবিতে শ্রীলঙ্কার নির্বিষ বোলিংয়ের বিপক্ষে যেভাবে খোলসের ভেতরে ঢুকে ব্যাট করেছেন তৌফিক উমর-আজহার আলীরা, তাতে জয়ের জন্য ঝাঁপানোর সময় কিছুটা হলেও কম পেয়েছেন তাঁরা। টোয়েন্টি টোয়েন্টির এ যুগে টেস্টেও অমন ব্যাটিং শুধু দর্শকদের বিরক্তই করে না, কৌশলগত দিক থেকেও তা সময় বিশেষে খুব অকার্যকর। ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.