ক্যামেরাযোদ্ধা রশীদ তালুকদার আর নেই
ঊণসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে রাজপথে একটি শিশুর মুষ্টিবদ্ধ হাতের যে ছবি বাঙালির স্বাধিকারের দাবিকে মূর্ত করে তুলেছিল_সেই ছবির আলোকচিত্রী রশীদ তালুকদার আর নেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই মুক্তিযোদ্ধার।রশীদ তালুকদারের চাচাতো ভাই শেখ মোহাম্মদ সুমন জানান, স্ট্রোক করার পর গত বুধবার বিকেল থেকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা খুলে ফেলা হয়।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত বছর আন্তর্জাতিক 'পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড' পান রশীদ তালুকদার। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির একটি কর্মসূচির আওতায় প্রতিবছর বিশ্বের একজন সেরা ফটো সাংবাদিককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
কীর্তিমান এই আলোকচিত্রীর মেয়ে সোনিয়া রশীদ জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে তাঁর অপারেশন হয়। এর কিছুদিন পর থেকে আচরণে স্বাভাবিকতা হারান। অনেক সময় পরিবারের সদস্যদেরও চিনতে পারতেন না। অযথাই অনেককে বকাবকি করতেন। ১৪ অক্টোবর তাঁকে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেখ মোহাম্মদ জানান, শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার (আজ) জোহরের নামাজের পর আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে রশীদ তালুকদারের লাশ দাফন করা হবে। তাঁর লাশ মঙ্গলবার রাতে রাখা হয় স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে। আজ বাসাবো এলাকায় তাঁর লাশের জানাজা হবে।
রশীদ তালুকদার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। এই আলোকচিত্র সাংবাদিক ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, অসহযোগ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য ছবি তোলেন, যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সংগ্রামের কথা পেঁৗছে দেয়।
পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী রশীদ তালুকদারের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে গণহত্যার অসংখ্য ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘুরে ঘুরেও ছবি তোলেন তিনি।
১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের চবি্বশ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন রশীদ তালুকদার। বাবার চাকরি সূত্রে ছয় বছর বয়সেই তিনি রাজশাহীর 'স্টার স্টুডিও'তে ছবি তোলার কাজ শুরু করেন।
১৯৬২ সালে দৈনিক সংবাদে আলোকচিত্রী হিসেবে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক ফটো সাংবাদিকতার শুরু। সেখানে এক যুগ কাজ করে ১৯৭৫ সালে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। সেখানে টানা ২৯ বছর কাজ করে তিনি অবসরে যান ২০০৭ সালে। এর পর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই তিনি সময় কাটাচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রশীদ তালুকদার তাঁর কর্মজীবনে জাপান ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও আশাহি শিমবুন থেকে সেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার, ইউনেস্কো, থাইল্যান্ড ও বিপিএস স্বর্ণপদকসহ দেশি-বিদেশি ৭৫টি পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেন, রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে দেশ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-উত্তর সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামের এক জীবন্ত সাক্ষীকে হারাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রশীদ তালুকদারের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনেক বিরল আলোকচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ তাঁর কাছে ছিল।
খালেদা জিয়া বলেন, নিরন্ন ও অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার দুর্লভ চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে এবং তা পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করে রশীদ তালুকদার বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলেন।
রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
কীর্তিমান এই আলোকচিত্রীর মেয়ে সোনিয়া রশীদ জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্কয়ার হাসপাতালে তাঁর অপারেশন হয়। এর কিছুদিন পর থেকে আচরণে স্বাভাবিকতা হারান। অনেক সময় পরিবারের সদস্যদেরও চিনতে পারতেন না। অযথাই অনেককে বকাবকি করতেন। ১৪ অক্টোবর তাঁকে ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেখ মোহাম্মদ জানান, শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার (আজ) জোহরের নামাজের পর আজিমপুর কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে রশীদ তালুকদারের লাশ দাফন করা হবে। তাঁর লাশ মঙ্গলবার রাতে রাখা হয় স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে। আজ বাসাবো এলাকায় তাঁর লাশের জানাজা হবে।
রশীদ তালুকদার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। এই আলোকচিত্র সাংবাদিক ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, অসহযোগ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য ছবি তোলেন, যা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সংগ্রামের কথা পেঁৗছে দেয়।
পাইওনিয়ার ফটোগ্রাফার অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী রশীদ তালুকদারের কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছবি। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে গণহত্যার অসংখ্য ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে মুক্তিবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে ঘুরে ঘুরেও ছবি তোলেন তিনি।
১৯৩৯ সালের ২৪ অক্টোবর ভারতের চবি্বশ পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন রশীদ তালুকদার। বাবার চাকরি সূত্রে ছয় বছর বয়সেই তিনি রাজশাহীর 'স্টার স্টুডিও'তে ছবি তোলার কাজ শুরু করেন।
১৯৬২ সালে দৈনিক সংবাদে আলোকচিত্রী হিসেবে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক ফটো সাংবাদিকতার শুরু। সেখানে এক যুগ কাজ করে ১৯৭৫ সালে যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকে। সেখানে টানা ২৯ বছর কাজ করে তিনি অবসরে যান ২০০৭ সালে। এর পর থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই তিনি সময় কাটাচ্ছিলেন।
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রশীদ তালুকদার তাঁর কর্মজীবনে জাপান ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও আশাহি শিমবুন থেকে সেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার, ইউনেস্কো, থাইল্যান্ড ও বিপিএস স্বর্ণপদকসহ দেশি-বিদেশি ৭৫টি পুরস্কার পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোকবার্তায় বলেন, রশীদ তালুকদারের মৃত্যুতে দেশ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা-উত্তর সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামের এক জীবন্ত সাক্ষীকে হারাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে রশীদ তালুকদারের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অনেক বিরল আলোকচিত্রের গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহ তাঁর কাছে ছিল।
খালেদা জিয়া বলেন, নিরন্ন ও অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার দুর্লভ চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে এবং তা পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করে রশীদ তালুকদার বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলেন।
No comments