অর্থনীতি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দু’দিক থেকেই ঝুঁকিতে - বিশ্বব্যাংক : ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অনিশ্চিত
বাংলাদেশের অর্থনীতি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দু’দিক থেকেই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হুমকিতে পড়বে। আইএমএফ এই প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করেছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি সূচকে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় এ আশঙ্কা করা হয়েছে।সংস্থার মতে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রসু্ততি না থাকার পাশাপাশি সরকারের অভ্যন্তরীণ নীতিমালার ত্রুটির কারণে প্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ব্যাহত হতে পারে। গতকাল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ইকোনমিক আপডেট ২০১১ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে দ্রব্যমূল্য, বিশেষ করে খাবারের মূল্য ব্যাপকহারে বেড়ে যাওয়ায় রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি অর্জনে চলমান অগ্রগতি অব্যাহত থাকলেও দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং অভ্যন্তরীণ নীতির কারণে চলতি অর্থবছরে নির্ধারিত প্রবৃদ্ধি অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, বৈদেশিক মুদ্রাপ্রবাহ কমে যাওয়া, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রানীতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা, ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি এবং তার অর্থায়ন প্রক্রিয়ার দুর্বলতা সরকারের প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাঘাত ঘটাবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতি, অভ্যন্তরীণ নীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল। সম্ভাব্য বিশ্বমন্দা বাংলাদেশকে নানাভাবে আঘাত করতে পারে। আমদানি-রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিয়ম হারে চাপ এবং বিনিয়োগ হ্রাস প্রবৃদ্ধি অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি বিবেচনা করে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া বলেন, দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি খুবই কম। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বন্ধ হয়ে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বিশাল বাজেট ঘাটতি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসাইন বলেন, জ্বালানি সঙ্কট, দুর্বল অবকাঠামো ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগকে নিরুত্সাহিত করছে। এছাড়া দুর্বল আর্থিক খাত রফতানি এবং বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আর এজন্য চলমান প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগ : বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিশেষ করে লাগামহীনভাবে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ স্পর্শ করেছে। ১৯৯৯ সালের পর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এটা নতুন রেকর্ড।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে জীববনযাত্রার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। খাদ্যদ্রব্যের বাইরে এ সময়ে পোশাক, পরিবহন ব্যয় এবং গৃহস্থালি সামগ্রীসহ সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাবে অন্য সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ললীতা মূর্তি বলেন, সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরাজমান ঝুঁকিগুলো আরও বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে দেশের চলতি হিসাবে চাপ পড়তে পারে, এমনকি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যেতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি অর্জনে চলমান অগ্রগতি অব্যাহত থাকলেও দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং অভ্যন্তরীণ নীতির কারণে চলতি অর্থবছরে নির্ধারিত প্রবৃদ্ধি অর্জন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সংস্থাটি বলছে, বৈদেশিক মুদ্রাপ্রবাহ কমে যাওয়া, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, মুদ্রানীতি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা, ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি এবং তার অর্থায়ন প্রক্রিয়ার দুর্বলতা সরকারের প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাঘাত ঘটাবে। বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্ব অর্থনীতি, অভ্যন্তরীণ নীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভরশীল। সম্ভাব্য বিশ্বমন্দা বাংলাদেশকে নানাভাবে আঘাত করতে পারে। আমদানি-রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিয়ম হারে চাপ এবং বিনিয়োগ হ্রাস প্রবৃদ্ধি অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবে। ফলে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি বিবেচনা করে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া বলেন, দ্বিতীয় দফায় বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি খুবই কম। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বন্ধ হয়ে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বিশাল বাজেট ঘাটতি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসাইন বলেন, জ্বালানি সঙ্কট, দুর্বল অবকাঠামো ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগকে নিরুত্সাহিত করছে। এছাড়া দুর্বল আর্থিক খাত রফতানি এবং বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। আর এজন্য চলমান প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বেগ : বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিশেষ করে লাগামহীনভাবে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ স্পর্শ করেছে। ১৯৯৯ সালের পর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এটা নতুন রেকর্ড।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে জীববনযাত্রার ব্যয়ভার বেড়ে গেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। খাদ্যদ্রব্যের বাইরে এ সময়ে পোশাক, পরিবহন ব্যয় এবং গৃহস্থালি সামগ্রীসহ সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রভাবে অন্য সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ললীতা মূর্তি বলেন, সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে হবে। সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিরাজমান ঝুঁকিগুলো আরও বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে দেশের চলতি হিসাবে চাপ পড়তে পারে, এমনকি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যেতে পারে।
No comments