শেভরন বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়
মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। তবে কী পরিমাণ বিনিয়োগ বাড়াবে তা স্পষ্ট করেনি কোম্পানির বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিওফ্রে স্ট্রং। তিনি বলেছেন, যদিও শেভরন বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে, তবু আরও বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। কারণ সরকার গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে বলেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে আয়োজিত 'বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের প্রসারণ' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে শেভরন সভাপতি এসব কথা বলেন।
শেভরন এরই মধ্যে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। এই মার্কিন কোম্পানি দেশের তিনটি গ্যাসফিল্ড থেকে প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করছে। জিওফ্রে স্ট্রং বলেন, শেভরন কর্তৃপক্ষ আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা আগামী বছরের মধ্যে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন বাড়ানোর কথা বলেছে। বর্তমান ঘাটতি দূর করতে পেট্রোবাংলা এ কথা বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, তারা এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এজন্য শেভরন কত বিনিয়োগ করবে তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জুওলজিক্যাল সার্ভেতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৩২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। বর্তমানে বাংলাদেশে ৭ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৫ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট মজুদের সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিস্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান হারে গ্যাসের ব্যবহার অব্যাহত থাকলে আগামী ২০১৫ সালে গ্যাসের মজুদ শেষ হয়ে যাবে।
দেশে বর্তমানে প্রতিদিন ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফটন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
দেশে বর্তমানে প্রতিদিন ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার মিলিয়ন ঘনফটন গ্যাস উৎপন্ন হয়।
No comments