সেঁজুতির আত্মহনন-দুই বখাটেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত, তদন্ত কমিটি গঠন
বাকেরগঞ্জে স্কুলছাত্রী সেঁজুতির আত্মহননের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন বখাটের মধ্যে নাসির উদ্দীন ও সাইফুল ইসলামকে কলেজ থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাসির ও সাইফুল পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাঁঠালতলীর আখতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বাণিজ্য শাখার ছাত্র। গতকাল মঙ্গলবার কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের কলেজ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে অভিযুক্ত সবুজ খান এইচএসসি পাস করে কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় তার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
সেঁজুতির আত্মহননের ঘটনায় অভিযুক্তরা এর আগেও মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে অপহরণের চেষ্টা করেছিল, যা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানত না। এ-সংক্রান্ত সংবাদ কালের কণ্ঠে প্রকাশের পর এর সত্যতা পেয়ে বখাটেদের বিরুদ্ধে ত্বরিত বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের কর্তব্য পালনে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল কালের কণ্ঠের ১৫ পৃষ্ঠায় 'সেঁজুতির আত্মহনন : তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের; ওদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে' শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বলে এ প্রতিবেদককে জানান কলেজের অধ্যক্ষ গাজী মো. বজলুর রহমান।
অধ্যক্ষ গাজী মো. বজলুর রহমান বলেন, সেঁজুতির আত্মহননের ঘটনায় থানায় যে মামলা হয়েছে, সেখানে তিন আসামির তালিকায় তাঁর কলেজের শিক্ষার্থী নাসির ও সাইফুলের নাম রয়েছে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ ব্যাপারে গতকাল সকালে শিক্ষকদের নিয়ে তাঁর (অধ্যক্ষ) কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত কলেজছাত্র নাসির উদ্দীন ও সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অন্য আসামি সবুজ খান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বের হয়ে যাওয়ায় তার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। সে অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভা শেষে বহিষ্কারাদেশ নাসির ও সাইফুলের অভিভাকদের কাছে পাঠানো হবে। অধ্যক্ষ বলেন, নাসির উদ্দীন, সবুজ খান ও সাইফুল ইসলাম বখাটে প্রকৃতির। এদের মধ্যে নাসির উদ্দীন ও সাইফুল ইসলাম বড় রঘুনাথপুর সালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১০ সালে দাখিল পাস করে। ওই বছর তারা আখতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে একাদশ (বাণিজ্য) শ্রেণীতে ভর্তি হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল কালের কণ্ঠের ১৫ পৃষ্ঠায় 'সেঁজুতির আত্মহনন : তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের; ওদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে' শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বলে এ প্রতিবেদককে জানান কলেজের অধ্যক্ষ গাজী মো. বজলুর রহমান।
অধ্যক্ষ গাজী মো. বজলুর রহমান বলেন, সেঁজুতির আত্মহননের ঘটনায় থানায় যে মামলা হয়েছে, সেখানে তিন আসামির তালিকায় তাঁর কলেজের শিক্ষার্থী নাসির ও সাইফুলের নাম রয়েছে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ ব্যাপারে গতকাল সকালে শিক্ষকদের নিয়ে তাঁর (অধ্যক্ষ) কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করা হয়। বৈঠকে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত কলেজছাত্র নাসির উদ্দীন ও সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কারের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অন্য আসামি সবুজ খান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বের হয়ে যাওয়ায় তার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি তারা। সে অনুযায়ী আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভা শেষে বহিষ্কারাদেশ নাসির ও সাইফুলের অভিভাকদের কাছে পাঠানো হবে। অধ্যক্ষ বলেন, নাসির উদ্দীন, সবুজ খান ও সাইফুল ইসলাম বখাটে প্রকৃতির। এদের মধ্যে নাসির উদ্দীন ও সাইফুল ইসলাম বড় রঘুনাথপুর সালেহীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০১০ সালে দাখিল পাস করে। ওই বছর তারা আখতার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে একাদশ (বাণিজ্য) শ্রেণীতে ভর্তি হয়।
No comments