প্রেরণা চট্টগ্রাম by সঞ্জয় সাহা পিয়াল,
ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। পুরস্কার মঞ্চের বোর্ড সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কারও ফেলে যাওয়া ফটোকপি করা ম্যাচের স্কোরকার্ডটি মালিকানাহীন-ভাবে গড়াগড়ি করছে সেখানে। নিমবাসের ভারতীয় ক্যামেরাম্যানরা গুনে গুনে ক্যামেরা খুলে বাক্সে ভরছেন, রাতের মধ্যেই ঢাকা যাবে সেগুলো। চট্টগ্রাম টেস্টের এই ভাঙা হাটের মধ্যেই কি-না হৈ-হৈ করে নেটে অনুশীলন করছেন দেবেন্দ্র বিশু। হাসিতে খালি স্টেডিয়ামের নীরবতা খানখান করে দিচ্ছেন স্যামুয়েলস। দূর থেকে দৃশ্যটি বেশ করুণই মনে হয়েছিল মুশফিকের। 'হাসতে দেখলে কী হবে, প্রচণ্ড চাপে আছে ওরা। শুধু কি ঢাকা টেস্ট, এখান থেকেই ভারতে যেতে হবে তাদের। তারপর আবার শ্রীলংকা।
অনেক কিছু অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। ফিদেল আজ ব্যাটিং করতে এসে পা খোঁড়াচ্ছিলেন, বললেন, যে উইকেট তোমরা বানিয়েছ তাতে কি আর ঠিক থাকা যায়!' উইকেটের পেছন থেকে মুশফিক তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, 'আমাদের এখানেই এমন, ভারতে গিয়ে কী করবে?' আসলে চট্টগ্রাম টেস্টেই স্পিনের যে ভেলকি দেখিয়েছেন মুশফিক ক্যারিবীয়দের, তাতে চট্টগ্রামেই অর্ধেক ঘায়েল হয়ে গেছেন তিন সপ্তাহ আগে ঢাকায় পা রাখা স্যামিরা। চট্টগ্রাম শিক্ষাটাই এখন ঢাকায় গিয়ে প্রয়োগ করবেন মুশফিক। কোনো রাখঢাক নয়, গতকাল ম্যাচ শেষে একরকম ঘটা করেই সে কথা জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। 'তিন দিনের এ টেস্টে ইতিবাচক অনেক কিছুই পেয়েছি আমরা। প্রথম ইনিংসে আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়েছে। আমাদের বোলাররা তাদের তিনশ'র নিচে অল আউট করতে পেরেছে। আমরা দুটো ইনিংস ডিক্লেয়ার্ড করেছি। আমরা সানি আর নাসিরের মতো দুই নবাগতকে পেয়েছি। সব মিলিয়ে এই টেস্ট থেকে আমাদের সবাই আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। এখন আর আমাদের পিছিয়ে যাওয়ার কিছু নেই। ঢাকা টেস্টে মানসিকভাবেও এসব অর্জন আমাদের এগিয়ে রাখবে।'
বৃষ্টির দু'দিন বাদ দিয়ে যদি শুধু প্রথম ইনিংসের লড়াই ধরা হয়, সেখানে কিন্তু বাংলাদেশ ১০৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে; কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নিরাপদ ব্যাটিংয়ের কারণেই শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচে হার-জিতের ফয়সালা আসেনি। 'তাদের যদি ২১০ থেকে ২২০ রানের মধ্যে অল আউট করে দিতে পারতাম। তাহলে আমরা দ্রুত কিছু রান তুলে আরও আগে ডিক্লেয়ার্ড করতাম। এরপরও আমার মনে হয় এই টেস্টের পর ঢাকা টেস্টে তারা (ক্যারিবীয়রা) চাপে থাকবে। কারণ আমাদের হারানোর কিছু নেই; কিন্তু এ ম্যাচটি ড্র করার পর ওরা ঢাকা টেস্ট মরিয়া হয়ে জিততে চাইবে। আমরাও সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জয়ের জন্যই মাঠে নামব।' মুশফিক মনে করেন, চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টি-কাদা লেগে থাকলেও এখান থেকেই ব্যাটসম্যানরা একটা দারুণ শুরু পেয়েছেন। 'এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আমাদের প্রতিটি ব্যাটসম্যানই শুরুটা ভালো করেছিলেন। আমার বিশ্বাস, তারা সেসব ইনিংসকে ঢাকায় আরও বড় করতে পারবেন। বোলাররাও চট্টগ্রামে যেভাবে চমৎকার লাইনে বোলিং করেছেন ঢাকায় উইকেটের একটু বাড়তি সাহায্য পেলে তারা আরও ভালো করবেন।' ব্যাটিং আর বোলিং নিয়ে অধিনায়কের গর্বের শেষ নেই। তবে ফিল্ডিং এবং ক্যাচ ফসকানো নিয়ে কিছু আফসোস রয়েছে তার। 'আসলে অনেক দিন পর ম্যাচ খেলার কারণে এটা হতে পারে। তবে যারা ক্যাচ মিস করেছেন, তারা জানেন, আগামীতে কী করতে হবে।'
এ টেস্ট শুরুর আগেও কাঁটার মতো একটা বিতর্ক গলায় বিঁধেছিল মুশফিকদের। আশরাফুলের মতো সিনিয়রদের বাদ দেওয়ায় অনেক কানাঘুষা হয়েছে মুশফিকের এই দল নিয়ে। তখন শুধু একটা কথাই বলেছিলেন মুশফিক_ 'একটু অপেক্ষা করুন, দেখুন নতুনরা কী করেন! যদি তারা তাদের মতো করে খেলাটা খেলতে পারেন তাহলে অনেক সিনিয়রের চেয়েও ভালো করবেন।' গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে সে কথাটিই মনে করিয়ে দিলেন মুশফিক। 'বলেছিলাম না, সানি ভাই এরচেয়েও ভালো বোলিং করেন। আর নাসিরের কথা কী বলব, যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি নিজেকে দারুণ মানিয়ে নিতে পারেন।' চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুতে যেমন একটু অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, গতকালও আরেকটু অপেক্ষার কথা বললেন অধিনায়ক। 'মিরপুরে যদি উইকেট থেকে আমাদের স্পিনাররা আরেকটু বাড়তি সহায়তা পান, আর ব্যাটসম্যানরা শুরুটা ভালো করতে পারেন চট্টগ্রামের মতো_ তাহলে সেখানে আর কাউকে আক্ষেপ করতে হবে না।'
মুশফিকের এ কথাতেই নিশ্চিত, ঢাকা টেস্টের পরতে পরতে কানে বাজবে।
বৃষ্টির দু'দিন বাদ দিয়ে যদি শুধু প্রথম ইনিংসের লড়াই ধরা হয়, সেখানে কিন্তু বাংলাদেশ ১০৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে; কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নিরাপদ ব্যাটিংয়ের কারণেই শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচে হার-জিতের ফয়সালা আসেনি। 'তাদের যদি ২১০ থেকে ২২০ রানের মধ্যে অল আউট করে দিতে পারতাম। তাহলে আমরা দ্রুত কিছু রান তুলে আরও আগে ডিক্লেয়ার্ড করতাম। এরপরও আমার মনে হয় এই টেস্টের পর ঢাকা টেস্টে তারা (ক্যারিবীয়রা) চাপে থাকবে। কারণ আমাদের হারানোর কিছু নেই; কিন্তু এ ম্যাচটি ড্র করার পর ওরা ঢাকা টেস্ট মরিয়া হয়ে জিততে চাইবে। আমরাও সে সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জয়ের জন্যই মাঠে নামব।' মুশফিক মনে করেন, চট্টগ্রাম টেস্টে বৃষ্টি-কাদা লেগে থাকলেও এখান থেকেই ব্যাটসম্যানরা একটা দারুণ শুরু পেয়েছেন। 'এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে আমাদের প্রতিটি ব্যাটসম্যানই শুরুটা ভালো করেছিলেন। আমার বিশ্বাস, তারা সেসব ইনিংসকে ঢাকায় আরও বড় করতে পারবেন। বোলাররাও চট্টগ্রামে যেভাবে চমৎকার লাইনে বোলিং করেছেন ঢাকায় উইকেটের একটু বাড়তি সাহায্য পেলে তারা আরও ভালো করবেন।' ব্যাটিং আর বোলিং নিয়ে অধিনায়কের গর্বের শেষ নেই। তবে ফিল্ডিং এবং ক্যাচ ফসকানো নিয়ে কিছু আফসোস রয়েছে তার। 'আসলে অনেক দিন পর ম্যাচ খেলার কারণে এটা হতে পারে। তবে যারা ক্যাচ মিস করেছেন, তারা জানেন, আগামীতে কী করতে হবে।'
এ টেস্ট শুরুর আগেও কাঁটার মতো একটা বিতর্ক গলায় বিঁধেছিল মুশফিকদের। আশরাফুলের মতো সিনিয়রদের বাদ দেওয়ায় অনেক কানাঘুষা হয়েছে মুশফিকের এই দল নিয়ে। তখন শুধু একটা কথাই বলেছিলেন মুশফিক_ 'একটু অপেক্ষা করুন, দেখুন নতুনরা কী করেন! যদি তারা তাদের মতো করে খেলাটা খেলতে পারেন তাহলে অনেক সিনিয়রের চেয়েও ভালো করবেন।' গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে সে কথাটিই মনে করিয়ে দিলেন মুশফিক। 'বলেছিলাম না, সানি ভাই এরচেয়েও ভালো বোলিং করেন। আর নাসিরের কথা কী বলব, যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি নিজেকে দারুণ মানিয়ে নিতে পারেন।' চট্টগ্রাম টেস্টের শুরুতে যেমন একটু অপেক্ষা করতে বলেছিলেন, গতকালও আরেকটু অপেক্ষার কথা বললেন অধিনায়ক। 'মিরপুরে যদি উইকেট থেকে আমাদের স্পিনাররা আরেকটু বাড়তি সহায়তা পান, আর ব্যাটসম্যানরা শুরুটা ভালো করতে পারেন চট্টগ্রামের মতো_ তাহলে সেখানে আর কাউকে আক্ষেপ করতে হবে না।'
মুশফিকের এ কথাতেই নিশ্চিত, ঢাকা টেস্টের পরতে পরতে কানে বাজবে।
No comments