সরকার গঠনের কাজ শুরু করেছেন ‘মুক্ত’ লিবিয়ার নেতারা
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন ‘মুক্ত’ লিবিয়ার নতুন নেতারা। ৪২ বছর ধরে মুয়াম্মার গাদ্দাফির শাসনে ‘হতাশ’ রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে তাঁরা গতকাল সোমবার একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনের কাজ শুরু করেছেন। এনটিসির নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন সরকার হবে ইসলামি শরিয়া আইনের ভিত্তিতে।
ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) ভাইস চেয়ারম্যান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘আজ আমরা একটি নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা একটি অধ্যায়, যা আমরা পরিকল্পনা করব এবং লিবিয়ার ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাব।’
গত রোববার রাতে বেনগাজি শহরে লিবিয়াকে ‘মুক্ত’ ঘোষণার সময় তিনি আরও বলেন, ‘চলুন, আমরা একটি সংবিধান প্রণয়নে কাজ শুরু করি।’ বেনগাজি শহরে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ওই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজার হাজার লোক অংশ নেয়। এই বেনগাজি শহর থেকেই আট মাস আগে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
এনটিসির রূপরেখা অনুযায়ী, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে এবং মৌলিক বিষয়গুলোতে নতুন খসড়া আইন প্রণয়নে একটি সাংবিধানিক পরিষদ গঠনে আগামী আট মাসের মধ্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৪২ বছর আগে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাদ্দাফি ক্ষমতায় আসার পর এটাই হবে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক ভোটাভুটি। আর পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী এক বছর বা ২০ মাসের মধ্যে।
এনটিসির নেতা মুস্তাফা আবদেল জলিল ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘মুক্ত’ লিবিয়ায় শরিয়া আইন প্রচলন করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘একটি ইসলামি দেশ হিসেবে, আমরা প্রধান আইন হিসেবে শরিয়া আইনকে গ্রহণ করব। এবং যে আইন শরিয়া আইনকে লঙ্ঘন করবে, তা বাতিল বলে প্রতীয়মান হবে।’ এ ছাড়া তিনি গাদ্দাফিকে উৎখাত করতে সহায়তা করার জন্য ন্যাটো ও আঞ্চলিক মিত্র শক্তিগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং গত কয়েক মাসের যুদ্ধে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি দেশ গঠনের জন্য সবাইকে হূদয় থেকে ঘৃণা মুছে ফেলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল জর্ডানের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করা হতে পারে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিবিয়ার মুক্ত ঘোষণাকে ‘প্রতিশ্রুতির নতুন অধ্যায়’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন-প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, লিবিয়ার সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান ছিল সাধারণ ও সাহসী লিবীয় নাগরিকদের কাজ।
ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এনটিসি) ভাইস চেয়ারম্যান আবদেল হাফিজ ঘোগা বলেন, ‘আজ আমরা একটি নতুন অধ্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এটা একটি অধ্যায়, যা আমরা পরিকল্পনা করব এবং লিবিয়ার ভবিষ্যতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাব।’
গত রোববার রাতে বেনগাজি শহরে লিবিয়াকে ‘মুক্ত’ ঘোষণার সময় তিনি আরও বলেন, ‘চলুন, আমরা একটি সংবিধান প্রণয়নে কাজ শুরু করি।’ বেনগাজি শহরে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ওই জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাজার হাজার লোক অংশ নেয়। এই বেনগাজি শহর থেকেই আট মাস আগে গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
এনটিসির রূপরেখা অনুযায়ী, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে এবং মৌলিক বিষয়গুলোতে নতুন খসড়া আইন প্রণয়নে একটি সাংবিধানিক পরিষদ গঠনে আগামী আট মাসের মধ্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ৪২ বছর আগে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাদ্দাফি ক্ষমতায় আসার পর এটাই হবে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক ভোটাভুটি। আর পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী এক বছর বা ২০ মাসের মধ্যে।
এনটিসির নেতা মুস্তাফা আবদেল জলিল ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘মুক্ত’ লিবিয়ায় শরিয়া আইন প্রচলন করা হবে। তিনি বলেছেন, ‘একটি ইসলামি দেশ হিসেবে, আমরা প্রধান আইন হিসেবে শরিয়া আইনকে গ্রহণ করব। এবং যে আইন শরিয়া আইনকে লঙ্ঘন করবে, তা বাতিল বলে প্রতীয়মান হবে।’ এ ছাড়া তিনি গাদ্দাফিকে উৎখাত করতে সহায়তা করার জন্য ন্যাটো ও আঞ্চলিক মিত্র শক্তিগুলোকে ধন্যবাদ জানান এবং গত কয়েক মাসের যুদ্ধে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি দেশ গঠনের জন্য সবাইকে হূদয় থেকে ঘৃণা মুছে ফেলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল জর্ডানের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করা হতে পারে।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা লিবিয়ার মুক্ত ঘোষণাকে ‘প্রতিশ্রুতির নতুন অধ্যায়’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন-প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, লিবিয়ার সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান ছিল সাধারণ ও সাহসী লিবীয় নাগরিকদের কাজ।
No comments