সিরতে তেলের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে নিহত ১০০
লিবিয়ার সিরতে তেলের ডিপোর একটি ট্যাঙ্ক বিস্ফোরিত হয়ে ১০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছে। একটি বৈদ্যুতিক জেনারেটর থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় পরিষদের (এনটিসি) কমান্ডার লেইথ মোহাম্মদ জানান, সোমবার রাতে একটি ডিপোর ট্যাঙ্কে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও পরে ব্যাপক আগুন দেখা দেয়। এতে ১শ'র বেশি লোক নিহত ও ৫০ জনের মতো আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে তেল ভরার জন্য অনেক লোক ট্যাঙ্কের কাছে অপেক্ষা করছিল। তিনি জানান, ট্যাঙ্কের পাশের একটি বৈদ্যুতিক জেনারেটর থেকে সৃষ্ট আগুনের ফুলকি থেকে এ দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়।
দুর্ঘটনাকবলিতদের বেশিরভাগই গাদ্দাফির মৃত্যু ও শহরটি এনটিসির দখলে যাওয়ার পর নিজেদের বাড়িঘর দেখতে এসেছিল। স্থায়ীভাবে ফেরার আগে বাড়িঘরের কী অবস্থা তা পর্যবেক্ষণ করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। গত বৃহস্পতিবার নিজ জন্মশহর সিরতে গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই এ রকম বহু লোক শহরটিতে ফিরছে। গাদ্দাফিবিরোধী লড়াইয়ের আগে শহরটির বাসিন্দা ছিল প্রায় এক লাখ ২০ হাজার। গাদ্দাফির পতনের পর বাসিন্দাদের অনেকে শহরটিতে এলেও তাদের খুব কমই সেখানে স্থায়ীভাবে থাকছে। শহরটির বেশিরভাগ বাড়িঘরই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নিরাপত্তার অভাবও বোধ করছে গাদ্দাফিপন্থিদের শক্ত এ ঘাঁটির বাসিন্দারা।
সিরতে বিপুল অস্ত্র অরক্ষিত অবস্থায় : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবি্লউ) বলছে, সিরতের কাছে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। লুটপাট ঠেকাতে অস্ত্র ভাণ্ডারটির নিরাপত্তা বিধান করতে এনটিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। মজুদ এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। গতকাল মঙ্গলবার এইচআরডবি্লউর পিটার বুকায়েরট বলেন, মাসখানেক ধরেই আমরা এনটিসি ও ন্যাটোকে এসব অস্ত্র ভাণ্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলছি। আট মাসের যুদ্ধে লিবিয়ায় ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো উদ্ধার করাই এনটিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে।
সরানো হলো সেই ৫৩ লাশ :লিবিয়ার সিরতে শহরের সেই মাহারি হোটেল থেকে ৫৩টি মৃতদেহ সরানো হয়েছে। বিদ্রোহী সেনারা তাদের হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছে একটি মানবাধিকার সংস্থা। মৃতদেহ সরানো হলেও হোটেল চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে হত্যাযজ্ঞের নমুনা। এদিকে গাদ্দাফি অনুগতদের হত্যার তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবি্লউ) গত রোববার জানায়, সিরতের হোটেল মাহারির একটি বাগানে ঘাসের ওপর ৫৩টি অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। তাদের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই গাদ্দাফি অনুগত ও স্থানীয় বাসিন্দা। লিবীয় শহর মিসরাতা থেকে সিরতে আগত বিদ্রোহী সেনাদের বেশ কয়েকটি ব্রিগেড গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পরদিন পর্যন্ত ওই হোটেল দখল করে রেখেছিল। গত সোমবার স্বেচ্ছাসেবকরা এগুলো সরিয়ে নেয়। তবে ওই বাগানজুড়ে এখনও হত্যাযজ্ঞের নমুনা স্পষ্ট হয়ে আছে। সেখানে হাত বাঁধার দড়ি, গুলির খোসা ও ঘাসের ওপর রক্তের দাগ রয়েছে এখনও।
মৃতদেহ সরানো হলেও মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তদন্ত এখনও শুরু করেনি লিবিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ (এনটিসি)। তদন্তের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বা কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেও যাননি।
এসব অপরাধ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে এইচআরডবি্লউ বলেছে, এনটিসি এসব অপরাধের তদন্ত করতে ব্যর্থ হলে গাদ্দাফিবিরোধী যোদ্ধারা শাস্তির ভয় মাথায় না রেখে যখন তখন যা খুশি করতে শুরু করবে।
সিরতে বিপুল অস্ত্র অরক্ষিত অবস্থায় : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবি্লউ) বলছে, সিরতের কাছে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। লুটপাট ঠেকাতে অস্ত্র ভাণ্ডারটির নিরাপত্তা বিধান করতে এনটিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। মজুদ এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। গতকাল মঙ্গলবার এইচআরডবি্লউর পিটার বুকায়েরট বলেন, মাসখানেক ধরেই আমরা এনটিসি ও ন্যাটোকে এসব অস্ত্র ভাণ্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলছি। আট মাসের যুদ্ধে লিবিয়ায় ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ে। এগুলো উদ্ধার করাই এনটিসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে।
সরানো হলো সেই ৫৩ লাশ :লিবিয়ার সিরতে শহরের সেই মাহারি হোটেল থেকে ৫৩টি মৃতদেহ সরানো হয়েছে। বিদ্রোহী সেনারা তাদের হত্যা করেছে বলে সন্দেহ করছে একটি মানবাধিকার সংস্থা। মৃতদেহ সরানো হলেও হোটেল চত্বরজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে হত্যাযজ্ঞের নমুনা। এদিকে গাদ্দাফি অনুগতদের হত্যার তদন্ত দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডবি্লউ) গত রোববার জানায়, সিরতের হোটেল মাহারির একটি বাগানে ঘাসের ওপর ৫৩টি অর্ধগলিত লাশ পাওয়া গেছে। তাদের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই গাদ্দাফি অনুগত ও স্থানীয় বাসিন্দা। লিবীয় শহর মিসরাতা থেকে সিরতে আগত বিদ্রোহী সেনাদের বেশ কয়েকটি ব্রিগেড গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পরদিন পর্যন্ত ওই হোটেল দখল করে রেখেছিল। গত সোমবার স্বেচ্ছাসেবকরা এগুলো সরিয়ে নেয়। তবে ওই বাগানজুড়ে এখনও হত্যাযজ্ঞের নমুনা স্পষ্ট হয়ে আছে। সেখানে হাত বাঁধার দড়ি, গুলির খোসা ও ঘাসের ওপর রক্তের দাগ রয়েছে এখনও।
মৃতদেহ সরানো হলেও মৃত্যুর বিষয়ে কোনো তদন্ত এখনও শুরু করেনি লিবিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীন জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ (এনটিসি)। তদন্তের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বা কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেও যাননি।
এসব অপরাধ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে এইচআরডবি্লউ বলেছে, এনটিসি এসব অপরাধের তদন্ত করতে ব্যর্থ হলে গাদ্দাফিবিরোধী যোদ্ধারা শাস্তির ভয় মাথায় না রেখে যখন তখন যা খুশি করতে শুরু করবে।
No comments