গ্রিসে এগিয়ে ‘না’ ভোট

গ্রিসে একটি ভোট কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন একজন ভোটার। এদের
ভোটেই দেশটি পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। ছবি: এএফপি
গ্রিসে আজ রোববার গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ভোটে ‘না’ ভোট বিজয়ী হতে পারে। গ্রহণ শেষে প্রকাশিত তাৎক্ষণিক মতামত জরিপ থেকে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। গণভোটের বিষয় ছিল—অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে কঠিন শর্তে ঋণদাতাদের সাহায্য নেওয়া হবে কি, হবে না।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষে এখনো ফল প্রকাশিত হয়নি। কয়েক ঘণ্টা বাদে আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করা হবে। জনগণকে ‘না’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশটির সরকার।
ঋণদাতাদের দেওয়া কঠোর কৃচ্ছ্র সাধনের শর্তসংবলিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রস্তাব (বেইল আউট) গ্রহণ করা হবে কি না-গণভোটে বিবেচ্য ছিল সেটিই। ‘না’-এর উত্তর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। তবে সেই প্রত্যাখ্যানের ফল হয়তো ইউরোজোন (অর্থাৎ যেসব দেশে ইউরো প্রচলিত) থেকেই গ্রিসের বিদায়। এর ফলাফল এখন একেবারেই অজানা।
‘হ্যাঁ’ ভোটের অর্থ
গ্রিসে ‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি হলে দেশটির সরকারের পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে যাবে। তখন দেশটিতে নতুন নির্বাচন আহ্বান করা হতে পারে। অথবা জাতীয় সরকার গঠন হতে পারে। ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে বিপুল সমর্থন থাকলে পুরস্কারস্বরূপ ঋণদাতারা আর্থিক সহায়তা আবার চালু করতে পারে। নতুন নির্বাচন হলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস সম্ভাব্য সময়। সেই নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস আবার জয়ী হতে পারেন।
‘না’ ভোটের অর্থ
‘না’ ভোট জয়ী হওয়ার অর্থই হলো যারা ঋণ দিয়েছিল অর্থাৎ ঋণদাতাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হয়েছে বলেই মনে করবে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, ‘না’-এর মানে আলোচনার সব পথ শেষ। ইতিমধ্যে ১৬০ কোটি ইউরো ফেরত দিতে ব্যর্থ গ্রিসের আর আর্থিক সহায়তা পাওয়ারও পথ বন্ধ। এ মাসের মধ্যে ইসিবির পাওনা ৩০০ কোটি ইউরোও ফেরত দিতে হবে। গ্রিসকে ইউরোজোন থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। অনেকেই মনে করেন, এর ফলে সামাজিক সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে।

No comments

Powered by Blogger.